কপিরাইট ধারণা

কপিরাইট কী?

কপিরাইট হচ্ছে মেধা সম্পদের উপর সে সম্পদ উৎপাদনকারীর অধিকারের স্বীকৃতি। অর্থাৎ এর মাধ্যমে যিনি মালিক তার নামে মেধা সম্পদটি রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এবং অন্য যে কেউ এই সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার অধিকার ক্ষুণ্ণ করতে পারবেন না এই মর্মে আইনি নিরাপত্তা দেয়াকে বলে কপিরাইট।

কপিরাইট আইন কি?

সৃজনশীল কাজ যেমন গান, কবিতা, বই, চলচ্চিত্রের মত বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ যিনি তৈরি করেন সেসবের উপর তার অধিকারকে বলে মেধা-স্বত্ব। অর্থাৎ এ ধরণের মেধা-সম্পদের উপর মালিকের কর্তৃত্ব স্থাপনের স্বীকৃতি দেয় এবং সংরক্ষণ করা হয় কপিরাইট আইনের মাধ্যমে। বাংলাদেশে কপিরাইট আইন-২০০০ প্রচলিত আছে এই আইন ২০০৫ সালে সংশোধিত অবস্থায় চালু করা হয়। সেই আইনকে ২০১৮ সালে আবারো পরিমার্জন করা হয়।  

কপিরাইট আইন থাকার সুবিধাগুলো কী?

-মেধা-সম্পদের অপব্যবহার রোধ

-কর্মের মালিকের কর্তৃত্ব স্থাপন

-নতুন সৃষ্টি করার জন্যে অনুপ্রেরণা দান

-মেধা-সম্পদের চুরি রোধ করা সম্ভব হয়

-মেধা-স্বত্বের বিভিন্ন স্তরের সুবিধাভোগীদের অধিকারের সমন্বয়

 কপিরাইটের মেয়াদ কতদিন থাকে?

- ফটোগ্রাফ, চলচ্চিত্র, রেকর্ডিং ব্যতীত অন্যান্য কর্মের কপিরাইট প্রণেতার মৃত্যুর পর ৬০ বছর পর্যন্ত থাকে

- চলচ্চিত্র, রেকর্ডিং এবং ফটোগ্রাফের কপিরাইটের মেয়াদ ৬০ বছর পর্যন্ত থাকে।

কখন বুঝবেন কপিরাইট লঙ্ঘন হয়েছে?

১। এমন কিছু করেন কপিরাইট আইন অনুযায়ী যে অধিকার একচেটিয়াভাবে কপিরাইটের মালিককে দেয়া হয়েছে।

২। কর্মটির কপি তৈরি করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিক্রি করেন।

৩। অন্য কারো তৈরিকৃত অবৈধ কপি ভাড়া বা বিক্রি করেন।

৪। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে প্রদর্শন করেন।

৫। মালিকের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় এমন জায়গায় বিতরণ করেন।

৬। কপিরাইট আইন ভঙ্গকারী অনুলিপি বাংলাদেশে আমদানি করেন।

 সৃজনশীল কোন কাজের কপিরাইট কীভাবে করা যাবে?

কোন সৃজনশীল কাজে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করা খুব জরুরি। তা না হলে এসব মেধা-সম্পদের অধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক এসব মেধা-সম্পদের কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করবেন যেভাবে –

-কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি এবং ট্রেজারি চালান, সৃজনশীল কর্মের ২ কপি নমুনাসহ নির্ধারিত ফরমে রেজিস্টার অব কপিরাইটের নিকট আবেদন করতে হবে।

- এই আবেদনের প্রেক্ষিতে রেজিস্টার প্রয়োজনীয় তদন্ত করার পর কর্মটির বিবরণ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করবেন। এবং এই রেজিস্ট্রেশনের প্রমাণ হিসেবে একটি সনদপত্র কপিরাইটের মালিককে দিবেন।

- কপিরাইট লঙ্ঘন হলে এই সনদকে মালিকানার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

 কপিরাইট আইন কেউ ভঙ্গ করলে কোথায় অভিযোগ করবেন?

কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে কারো মেধা-সম্পদের অপব্যবহার করলে বাংলাদেশের কপিরাইট অফিস বরাবর অভিযোগ করতে হবে। কপিরাইট অফিসটি জাতীয় গ্রন্থাগার ভবন আগারগাঁও, ঢাকা এ অবস্থিত। নিজের কর্মের কপিরাইট সনদ সহ কপিরাইট অফিসে যোগাযোগ করলে প্রতিকার পাবেন। কপিরাইট অফিসে অভিযোগ জানানোর মাধ্যম -

ই-মেইল : Copyrightoffice_bangladesh@yahoo.com,

ওয়েবসাইট : www.copyrightoffice(.)gov.bd;

Facebook ID : www.facebook(.)com/copyrightoffice;

ফোন : ০২-৯১১৯৬৩২,

ফ্যাক্স : ৮১৪৪৮৯৫;

Helpline : ০১৫১১-৪৪০০৪৪

হেল্পলাইনটি অফিস চলাকালীন সময়ে সচল থাকে।