অনলাইন নৈতিকতা সম্পর্কে ধারণা

অনলাইন মাধ্যমগুলোতে আমাদের বিচরণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ছি। যোগাযোগের উদ্দেশ্যে আমরা প্রতিনিয়ত অনলাইন মাধ্যমগুলো ব্যবহার করছি। আমরা যাতে অনলাইনে এমন কিছু করে না বসি যা পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি করবে, সেদিকে আমাদের বিশেষ সচেতনতা প্রয়োজন। তাই অনলাইন নৈতিকতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনলাইনে যুক্ত থাকা অবস্থায় আমাদের যে ধরনের আচরণ করা উচিৎ, তার যাবতীয় নির্দেশনাই অনলাইন নৈতিকতা হিসেবে পরিচিত। এগুলো সাধারণত একটি দেশের আইন এবং ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। অনলাইন নৈতিকতা নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যথা –

ক) ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা

খ) ব্যক্তি স্বাধীনতার যথোচিত ব্যবহার

গ) ব্যক্তি মর্যাদা

নিম্নে এর মূল দিকসমূহ ব্যাখ্যা করা হলো -

(১) রাষ্ট্রদ্রোহী পোস্ট/বক্তব্য প্রচার না করা

রাষ্ট্রের প্রতি অসম্মানজনক কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক/রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কোন ধরনের পোস্ট/বক্তব্য অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা থেকে নিজে বিরত থাকুন এবং অন্যকেও বিরত রাখুন। যদি এমন কোন পোস্ট/বক্তব্য আপনার নজরে আসে তাহলে তা রিপোর্ট করুন। 

(২) নিজের বা অন্য কারো ব্যক্তিগত তথ্য যাতে ঝুঁকির সম্মুখীন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা

অনলাইন মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবসময় নিজের অথবা অন্য কারো ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। নিজের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী সবসময় নিরাপদ রাখার চেষ্টা করুন। সেই সাথে অন্য কোন ব্যক্তির তথ্যও যদি আপনার কাছে থেকে থাকে তাহলে সেগুলোও নিরাপদ রাখতে সচেষ্ট হবেন।

(৩) অন্যের জন্য সম্মানহানীকর এমন কাজ না করা

অনলাইনে কোন মানুষের জন্য মানহানীকর কিছু করা যাবে না। সকলের সম্মান বজায় রাখার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখবেন, আপনি কারো সম্মান রক্ষা করলে সেও আপনার সম্মান রক্ষা করবে। 

(৪) সকল শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করা

অনলাইনে বিভিন্ন রকমের মানুষের সাথে আমাদের প্রতিনিয়ত পরিচয় ঘটে অথবা যোগাযোগ করার দরকার হয়। তাই কখনোই কাউকে ছোট মনে করবেন না। বড়-ছোট, ধনী-গরিব সবাইকেই যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবেন।

(৫) কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে অনলাইন মাধ্যমসমূহ ব্যবহার না করা

আপনার কোন কাজে যাতে কেউ কখনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে অন্যের ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে অনলাইন মাধ্যমগুলো ব্যবহার করবেন না।