অনলাইন শ্রেণিকার্যক্রমে অংশগ্রহণ

অনলাইন ক্লাশের বিষয়টি বাংলাদেশে একদমই নতুন। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসের দিকে দিকে বাংলাদেশে অনলাইন ক্লাশ বিষয়টির ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়। এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রী সকলেরই ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সংযোগ বাধ্যতামূলক। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকেই ছাত্রছাত্রীরা এই ক্লাশে অংশগ্রহণ করতে পারবে। স্বশরীরে স্কুলের ক্লাশরুমে বসে ক্লাশ করার মত অনলাইন ক্লাশেও শিক্ষার্থীরা নিজেদের মত বিনিময় করতে পারবে, শিক্ষককে প্রশ্ন করতে পারবে এবং শিক্ষক তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং মূল্যায়নও অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্ভব।

ইন্টারনেটের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার একটি আধুনিক ব্যবস্থা এই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষা উপকরণগুলো সঠিকভাবে সরবরাহ করা গেলে এই ব্যবস্থাটি দেশ ও জাতির জন্য কার্যকরি ফল নিয়ে আসতে পারবে। অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ টুলস এর সাহায্যে শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। এ সকল টুলস, শিক্ষণ-শিখন পদ্ধতিতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। যেমন-

১। ক্লাসরুম এবং ক্লাসরুম পরিচালনাঃ গতানুগতিক পদ্ধতিতে ক্লাসরুম বলতে শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শারীরিক উপস্থিতি নির্ভর একটি ব্যবস্থাকে নির্দেশ করলেও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে ক্লাসরুম হলো বিভিন্ন অ্যাপ এর সাহায্যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সমাবেশ। যেমন- গুগল মিট, জুম, মাইক্রসফট টিমস, স্কাইপ ইত্যাদি অ্যাপের সাহায্যে ক্লাসরুমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমাবেশ সহজতর হয়েছে এবং এসব অ্যাপের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিও অত্যন্ত সহজ। 

২। জরুরি প্রশ্নোত্তর, জিজ্ঞাসা এবং যোগাযোগঃ গতানুগতিক পদ্ধতিতে জরুরি প্রশ্নোত্তর, জিজ্ঞাসা এবং যোগাযোগের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মিথষ্ক্রিয়া জরুরি ছিলো। যা অনেকক্ষেত্রেই সময়সাপেক্ষ ছিলো। বর্তমানে, ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, মেসেঞ্জার ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘গ্রুপ’ গুলিকে ব্যবহার করে এই কাজ আর অনেক সহজতর করা সম্ভব হয়েছে।

৩। জরুরি ডকুমেন্টস ব্যবস্থাপনাঃ এক্ষেত্রে মাইক্রোসফট অফিস, ওয়ান ড্রাইভ, ড্রপবক্স ইত্যাদি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে বহুল ব্যবহৃত হয়। 

৪। কুইজ বা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহঃ এক্ষেত্রে মেন্টি.কম, গুগল ফরম ইত্যাদি ব্যবহার হয়।

৫। এসাইনমেন্ট এবং বাড়ির কাজ ব্যবস্থাপনাঃ এই সংক্রান্ত কাজে গুগল ক্লাসরুমের ব্যবহার সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনানুসারে ইমেইল, হোয়াটস অ্যাপ ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম ও ব্যবহার হয়ে থাকে।