অ্যাকাউন্ট সুরক্ষা

এই আধুনিক যুগে আমরা অনলাইন মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকি যেমন জিমেইল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট ইত্যাদি । এইগুলো ব্যবহারের সাথে এর সুরক্ষা খুব বেশি প্রয়োজন তা না হলে আমাদের অনেক ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় পড়তে পারি। এসব সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য কীভাবে অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখবেন সে ব্যাপারে জানা খুবই জরুরি।

আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে?

১। কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পারেন

অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা রক্ষার্থে আপনি একটি নিরাপদ ফোন নম্বর অথবা ইমেইল অ্যাড্রেস যুক্ত করতে পারেন । এই নিরাপদ নম্বর বা ইমেইল আপনাকে সবসময় আপনাকে নিরাপদ বার্তা প্রেরণ করবে যে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করলো কিনা । আমাদের অ্যাকাউন্টের সাথে সাধারণত অনেক স্মৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। অ্যাকাউন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে এসব তথ্য আমাদের থেকে বেহাত হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি অ্যাকাউন্টের সাথে ফোন নাম্বার ও ইমেইল এড্রেস যুক্ত করে রাখেন তাহলে অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করা সহজ হবে।

২। সফটওয়্যার আপডেট  রাখতে হবে

আপনার অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজার, অ্যাপ যদি আপডেট করা না থাকে তাহলে হ্যাকার দ্বারা আক্রান্ত  হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর আপনি যদি আপনার সিস্টেম, ব্রাউজার, অ্যাপ আপডেট  রাখেন তাহলে এ সম্ভাবনা কমে যায়। মনে করুন আপনি গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করেন তাহলে আপনি ক্রোমের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে লেটেস্ট ভার্শন ডাউনলোড করে নিন অথবা ডিভাইসে থাকা সফটওয়্যার আপডেট করে নিন। অ্যান্ড্রয়েড ফোন এর ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট স্টোর, অ্যাপলের প্লে স্টোর বা গুগল প্লে-স্টোর যাই আপনি ব্যবহার করুন না কেন সেই স্টোরে  গিয়ে সকল অ্যাপ আপডেট করতে পারবেন।

৩। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা

আপনার একটা অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার জন্য  শক্তিশালী পাসওয়ার্ড খুব বেশী জরুরী । পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন সংকেত, সংখ্যা এবং অক্ষর মিলিয়ে তৈরি করতে পারেন। অক্ষর ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বড় হাতের-ছোট হাতের মিলিয়ে ব্যবহার করলে পাসওয়ার্ড শক্তিশালী হবে। একইসাথে খেয়াল করবেন পাসওয়ার্ড যাতে বেশ বড় হয় এবং গতানুগতিক না হয়। এবং সবশেষে একটি অতি জরুরি ব্যাপার হচ্ছে কোন ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে না রাখা এবং পাসওয়ার্ড গোপনীয়তার সাথে সংরক্ষণ করা।

৪। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ এবং ব্রাউজার বাদ দিয়ে দিতে হবে

প্রয়োজনের বেশী অ্যাপ ইন্সটল করার দরকার নাই। অপরিচিত অ্যাপ বা অপরিচিত সূত্র থেকে অ্যাপ ইন্সটল করা যাবে না। কারণ এসব অ্যাপ আপনার সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকে, যা আপনার নিরাপত্তার ক্ষতি করতে পারে।

৫। সন্দেহজনক কিছু এড়িয়ে চলুন

যদি আপনার কোন ওয়েবসাইট বা অ্যাপকে সন্দেহ হয় তাহলে সেগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এই সন্দেহ নিয়ে কারো সাথে আলোচনা করুন তাহলেই দ্বিধা দূর হয়ে যাবে। যদি এই সাইট বা অ্যাপ খুব জরুরি প্রয়োজনের কিছু হয় তাহলে এক্সপার্ট কারো সহযোগিতা নিন।

৬। অগ্রিম সুরক্ষা নিশ্চিত করা

আপনার অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কোনভাবে কেউ পেয়ে গেলেও যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করতে পারেন। এটি চালু করে রাখলে আপনি লগইন করার সময় ইমেইল, পাসওয়ার্ড দেয়ার পর ফোন বা ইমেইলের মাধ্যমে একটি কোড আসবে। যে কোড দিয়ে ভ্যারিফাই না করলে লগইন করতে পারবেন না। ধরুন কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে চাইলেও এই কোড না পাবার কারণে প্রবেশ করতে পারবে না।

৭। নিরাপদ ষ্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন

হ্যাকাররা অনেক সময় আপনার ডিভাইসে ক্ষতিকর সফটওয়্যার বা ম্যালওয়ার ডাউনলোড করতে কৌশল ব্যবহার করে। এইগুলো প্রতিরোধ করতে উন্নতমানের ব্রাউজার ব্যবহার করুন। অ্যাপ ডাউনলোডের জন্য নিরাপদ মাধ্যম যেমন গুগল প্লে ষ্টোর, অ্যাপলের অ্যাপ ষ্টোর বা মাইক্রোসফট ষ্টোর থেকে ডাউনলোড করন।