প্যারেন্টাল কন্ট্রোল এ্যাপের ব্যবহার, ফিল্টারিং অ্যাপ, সেফ সার্চ, এ্যক্টিভিটি মনিটরিং অ্যাপ ব্যবহার

প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের ব্যবহার

প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপের মাধ্যমে অভিভাবক সন্তানের ডিভাইস ব্যবহার এবং অনলাইন কর্মকাণ্ড মনিটরিং করতে পারেন। আপনার সন্তান কোন ধরনের সিনেমা, গান, বই, অ্যাপ ডাউনলোড ও ব্যবহার করতে পারবে তা এখানে নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন।

প্যারেন্টাল কন্ট্রোল কীভাবে সেট আপ করবেন?

১। আপনার ফোন থেকে গুগল প্লে স্টোর ওপেন করুন

২। প্লে স্টোরের সেটিংসে যান। এজন্য প্লে স্টোর ওপেন হবার পর উপরে ডানদিকে আপনার প্রোফাইল ছবি/আইকনের ওপর ক্লিক করুন। একটি মেনু আসবে যেখানে নিচের দিকে সেটিংস অপশনটি পাবেন। 

৩। সেটিংসে গেলে দেখবেন Family নামে একটা অপশন আছে যার মধ্যে আরেকটি অপশন পাবেন  parental control নামে।

৪। Parental control এ ক্লিক করে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অন করতে হবে।

৫। অন করার সাথে সাথে একটি পিন দিতে বলবে। এই পিন আপনার পছন্দমত দিবেন। প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের অন্য যে কোন পরিবর্তনের জন্য এই পিন নাম্বার ব্যবহার করতে হবে।

৬। পিন দেয়ার পরে একই পিন আবারও কনফার্ম করতে হবে।

৭। তার পরের ধাপে গেলে বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্টে নিয়ন্ত্রণ আরোপের অপশন দেখাবে। যেমন Apps and games, Movies, Music

৮। এইবার যেকোনো একটি ক্যাটাগরি নির্বাচন করে ক্লিক করলে বিভিন্ন বয়সের ক্যাটাগরি দেখাবে যে আপনি কোন বয়সের উপযোগী কন্টেন্ট রেস্ট্রিক্ট করতে চান।

৯। সেগুলো নির্বাচন করে Save চাপলে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অন হয়ে যাবে।

১০। একইভাবে Apps and games, Movies, Music এর মত সবগুলো ধরনেই প্যারেন্টাল কন্ট্রোল দিতে হবে।

 ফিল্টারিং অ্যাপ

ফিল্টারিং অ্যাপ এর মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ এবং বয়সের জন্য অনুপযোগী ওয়েবসাইট ব্লক করা যায়। আবার কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে শিশুরা অনেক বেশি সময় ব্যয় করে পড়াশোনার ক্ষতি করে ফেলে। এ ধরনের ওয়েবসাইট, অ্যাপ ব্লক করে দিলে এগুলো আর ব্যবহার করতে পারবে না। বা এসবের জন্য সময়ের সীমা দিয়ে দিলে নির্দিষ্ট সময় এসব ব্যবহার করতে পারবে। ফিল্টারিং অ্যাপ যেসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে-

-  অযাচিত ওয়েবসাইটে যাওয়া

- ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং চ্যাটিং মাধ্যমে খুব বেশি সময় ব্যয় করা

-  বয়সের অনুপযোগী কন্টেন্ট দেখা

কয়েকটি ফিল্টারিং অ্যাপ

১। FlashStart

২। Net Nanny

৩। Kaspersky Safe Kids

সেফ সার্চ

বাচ্চাদের ডিভাইসে সেফ সার্চ অন করে রাখলে এডাল্ট কন্টেন্ট বা ভায়োলেন্ট কন্টেন্ট বাচ্চাদের সার্চ রেজাল্টে আসে না। এর মাধ্যমে বাচ্চাদের ডিভাইস ব্যবহার অনেকটাই নিরাপদ করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ডিভাইসে সেফ সার্চ অন করবেন।

১। ডিভাইসে থাকা G এর মত দেখতে গুগল অ্যাপটি ওপেন করুন

২। সেখান থেকে সেটিংস এ যান

৩। সেখানে দেখবেন Hide explicit results নামে একটি অপশন আছে।

৪। এই অপশনে ক্লিক করে সেফ সার্চ অন করতে পারবেন।

৫। স্ক্রিনের উপরে তালা চিহ্ন থাকলে বুঝবেন সেফ সার্চ অন আছে।

৬। একইভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজারেও সেফ সার্চ অপশন চালু করে রাখতে পারবেন।

 এ্যক্টিভিটি মনিটরিং অ্যাপ

শিশুরা ডিজিটাল ডিভাইস বা ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় তাদের জন্য উপযোগী নয় এমন কন্টেন্ট থেকে তাদের দূরে রাখার জন্য এক্টিভিটি মনিটরিং অ্যাপ এর প্রয়োজন রয়েছে। শিশুদের অনলাইন এক্টিভিটি মনিটর করা এবং তাদের ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এই অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত।

বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি এক্টিভিটি মনিটরিং অ্যাপ-

১। iOS 12

২। Circle

৩। Monqi Phone

৪। Boomerang

৫। Qustodio

শিশু কি এসব অ্যাপের নিয়ন্ত্রণের সেটিংস পরিবর্তন করে ফেলতে পারে?

নতুন প্রজন্ম তার আগের প্রজন্মের থেকে প্রযুক্তিগত জ্ঞানের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে থাকে। বাচ্চা যদি বুঝতে পারে যে তার ডিভাইসে প্যারেন্টিং কন্ট্রোল, সেফ সার্চ, ফিল্টারিং অ্যাপ এসব সেট আপ করে দেয়া হয়েছে তাহলে তারা ইন্টারনেট ঘেঁটে বা কোন বন্ধুর সহায়তা নিয়ে এগুলোকে পাশ কাটিয়ে রেস্ট্রিক্ট করা কন্টেন্ট ব্যবহার করতে পারে। সেজন্য অভিভাবকদের প্রযুক্তি ব্যবহার ও জানার প্রতি আগ্রহী হতে হবে। এসব অ্যাপের মধ্যে যেগুলো সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা দেয় সেগুলোই ব্যবহার করার চেষ্টা করুন তাহলে এই সমস্যা এড়ানো যাবে। পাসওয়ার্ড দিয়ে নিরাপত্তা দেয়া অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন সেক্ষেত্রে।