Requirement to refrain from disclosing sensitive information

রুবেল সাহেব তার একমাত্র ছেলে সাফি ও স্ত্রীসহ ঢাকা শহরে বাস করেন। হঠাৎ মাথার চুল পড়ে যাওয়ায় তিনি অফিসে নকল চুল (উইগ) পরেন। একদিন দুপুরে খাবারের আগে তিনি তার নকল চুল খুলে হাত-্মুখ ধোয়ার সময় তার এক সহকর্মী সেটা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে এবং সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।  

 খাবার শেষে নিজের ডেস্কে পৌঁছানো মাত্রই খেয়াল করলেন অফিসের সকলেই তার দিকে তাকিয়ে আছেন। ডেস্কে এসে দেখলেন অফিসের অনলাইন গ্রুপে সবাই তার ভিডিও  নিয়ে আলোচনা করছে।

আমাদের আশেপাশে প্রায়ই এভাবে বিভিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। তড়িৎ উত্তেজনার কারণে আমরা যেকোনো সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করে ফেলি। তাই সংবেদনশীল ঘটনা প্রচারের পূর্বে দরকার যথাযথ বিবেচনা ও সচেতনতা। যে কারনে এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্য প্রচারের পূর্বে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা নিম্নরূপ:

 

১. অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ: সংবেদনশীল ঘটনা থেকে উত্তেজনাবশত ঘটে যেতে পারে নানান দুর্ঘটনা। এ কারনে এ ধরনের তথ্য প্রচারের পূর্বে চাই পূর্ণ সচেতনতা।

 

২. কারোর অনুভুতি আঘাত না দেয়া: ধর্ম সম্পর্কিত কিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো সম্প্রচারের কারণে কারোর আবেগীয় বা ধর্মীয় অনুভুতি আঘাত পেতে পারে। তাই সেই সকল সংবেদনশীল তথ্য প্রচারে সতর্ক থাকা জরুরী।

 

৩. সমাজের সম্প্রীতি রক্ষা: আমাদের সমাজে নানা মত-ধর্ম-আদর্শের মানুষ বসবাস করে। সমাজের সকল স্তরে শান্তি রক্ষার জন্যে প্রয়োজন সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশে সাবধানতা।

 

৪. পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি: সকলে মিলে সুখে শান্তিতে বসবাসের জন্য প্রয়োজন পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। আর তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজন সংবেদনশীল তথ্য প্রচারে বিরত থাকা।

 

৫. গোপনীয়তা রক্ষা: একসাথে চলতে পথে আমরা আমাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠী বা সহকর্মীদের সম্পর্কে এমন অনেক তথ্য জেনে থাকি যেগুলো তাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ । এমনও হতে পারে সেই তথ্যগুলো তারা গোপন রাখতে চাচ্ছে; সেই ধরনের তথ্যগুলো প্রচার করে কখনোই তাদের জন্য অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা যাবে না।