সামাজিক মাধ্যমে (মোবাইল ফোন কল, বার্তা আদান প্রদান, ইমেইল, মেসেঞ্জার কিংবা হোয়াটসএপ ইত্যাদি) যোগাযোগের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য আচরণ

অতি সহজ উপায়ে কম সময়ের মধ্যে যোগাযোগ সম্ভব বিধায় বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আধুনিক যুগে মানুষজন যোগাযোগের জন্য মূলত এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপরই নির্ভরশীল। বিভিন্ন বয়স, ধর্ম, জাতি ও পেশার মানুষ এই মাধ্যমের দ্বারাই একে অপরের সাথে যুক্ত। এই জন্য এই মাধ্যমগুলোতে যোগাযোগের ক্ষেত্রে উপযুক্ত  আচরণগুলো জেনে নিতে হবে যা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত।

সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য আচরণ:

১) বন্ধু, পরিচিতজন, সহপাঠী, সহকর্মী , আত্মীয়-স্বজন সকলের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সম্বোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যার সাথে যোগাযোগ করছেন সেই অনুযায়ী সম্বোধন করুন। কেবল মাত্র নিজের প্রয়োজনে যোগাযোগ না করে সাধারণ খোঁজ খবর নেওয়ার জন্যও সকলের সাথে যোগাযোগ রাখা উচিত। 

২) বয়স্ক বা গুরুত্বপূর্ণ কারও সাথে যোগাযোগের সময় ভাষার সংক্ষিপ্ত রুপ যেমন LoL, ASAP এই টাইপের বিষয়গুলো বর্জন করা উচিত।

৩) ব্যক্তিগত যোগাযোগ কিংবা সাধারণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে কারো বিরক্তি উদ্রেক করছেন কিনা খেয়াল করুন। ব্যক্তিগত মেসেজ দেয়ার ক্ষেত্রে সম্মান রেখে কথা বলুন এবং ফোন দেয়ার পূর্বে প্রয়োজনে অনুমতি নিয়ে নিন। মেসেঞ্জার বা অন্য কোন মাধ্যমে সরাসরি কল করার আগে অনুমতি নিয়ে নিন। অপ্রয়োজনীয় ফোন দিবেন না। যোগাযোগের ক্ষেত্রে সময়ের বিষয়টা মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন অফিশিয়াল কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করলে অফিস সময়ে যোগাযোগ করা ভালো। আবার রাত ১২টায় স্বল্পপরিচিত কাউকে অনলাইনে দেখেই আমরা বার্তা পাঠিয়ে দিই, যা উচিৎ নয়। 

৪) অফিসিয়াল বা ফরমাল কাজের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চেয়ে ইমেইল বেশি উপযুক্ত মাধ্যম। তাই এসব ক্ষেত্রে মেসেঞ্জার, সোশ্যাল মিডিয়া বা এ ধরনের মাধ্যম পরিহার করে ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা উচিত।

৫) পছন্দের কোন ছবি কিংবা উক্তি অথবা মজার কোন ভিডিও আমরা যখন তখন যাকে তাকে মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দিই। ঐ ব্যক্তির সাথে নিজের সম্পর্কের ধরণ কেমন সেসব চিন্তা না করেই অনেকসময় এরকম আচরণ করে বসি আমরা, যা অনেকেরই বিরক্তির উদ্রেক করে। একইভাবে বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপেও এধরণের কনটেন্ট শেয়ার করার সময় ভেবে চিন্তে করতে হবে। 

 ৬) খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া একবার একজনকে কল করে না পেলে দ্বিতীয়বার কল করা উচিত নয় বরং কলের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। কেননা সে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকতে পারে। আবার, একইভাবে কেউ যদি কলটি কেটে দেয়, তাহলে তাকে আবার কল দিয়ে বিরক্ত করা যাবে না।

 আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগের সময় এমন আচরণ প্রকাশ করব যাতে মাধ্যমগুলোর সকল ব্যবহারকারী বিনা সংকোচে এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করতে পারে। খেয়াল রাখবেন, এই ডিজিটাল পরিমণ্ডলে আমরা যাতে কারো জন্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না করে ফেলি।