শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস

তথ্য প্রযুক্তির এই ডিজিটাল যুগে ছোট ছেলেমেয়েরা শিশুরাও আকৃষ্ট হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি। তার আগ্রহ বাড়ছে আপনার হাতের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বা বাসার ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের প্রতি। কিন্তু শিশুর হাতে ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দিয়েই আপনার দায়িত্ব শেষ, যদি এমনটি ভেবে থাকেন তবে অনেক বড় ভুল করবেন আপনি। শিশুকে তার বয়স এবং চাহিদা অনুযায়ী উপযোগী কন্টেন্ট এর সন্ধান দিতে হবে আপনাকে। এখানে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয়ও, উপযোগী এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যের উৎসগুলো নীচে তুলে ধরা হলো:

১। কিশোর বাতায়ন: মূলত ‍শিশু-কিশোরদের জন্য উপযোগী ওয়েব সাইট কিশোর বাতায়ন। কিশোর কিশোরীরা দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে http://konnect.edu.bd/ এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত যে কোন বিষয়ের অ্যাকাডেমিক পাঠ ও অ্যাসাইনমেন্ট করার সুযোগ পাবে। প্রিয় লেখকের বই পড়ার সুযোগ, মজার মজার কমিকস, জীবন দক্ষতা অর্জন, সৃজনশীল কাজ শেয়ার করাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইট থেকে। বাংলাদেশ সরকারের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এর একটি উদ্যোগ কিশোর বাতায়ন প্ল্যাটফর্মটি। ২০১৮ সালে এই উদ্যোগটির যাত্রা শুরু হয়।

২। ইউনিসেফ: শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে ইউনিসেফ, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ক্ষেত্রে ইউনিসেফ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। বাংলাদেশের শিশুদের জন্মের পর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠা পর্যন্ত -- পুরো জীবনচক্র নিয়ে কাজ করে ইউনিসেফ বাংলাদেশ। https://www.unicef.org/bangladesh/ এই ওয়েব সাইটে গিয়ে শিশু জন্মের পর থেকে শিশুর খাদ্য ও পুষ্টি, বেড়ে ওঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশুর সুরক্ষা ইত্যাদি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এর বাইরেও শিশুর বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা করে থাকে ইউনিসেফ। এই গবেষণার ফলগুলো শিশুর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অভিভাবকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

৩। বেবী টিউব: শিশু-কিশোরদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ও সুস্থ বিনোদনের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ‘বেবিটিউব’। গুগল প্লেস্টোর থেকে বেবিটিউব অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে সহজেই। অ্যাপের পাশাপাশি সেবা পাওয়া যাবে বেবিটিউবের ওয়েবসাইটেও। বেবিটিউবে ইতোমধ্যে ছয়শর অধিক ভিডিও কনটেন্ট রয়েছে। একসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে খেলাধুলা, কার্টুন, পড়াশোনা, মুভি, নাটক, গেম, গান, গজল, ট্রাভেল, ব্লগ, টেকনোলজিসহ শিশু-কিশোরনির্ভর সব ধরনের কনটেন্ট।

৪। ইউটিউব কিডস: ইউটিউবেরই শিশু উপযোগী ভার্সন হলো ইউটিউব কিডস যেখানে শিশুদের উপযোগী বিভিন্ন কন্টেন্ট রয়েছে। মোবাইল ফোনে ইউটিউব কিডস এর আলাদ অ্যাপ ব্যবহার করে বা ওয়েবসাইট থেকে ইউটিউব কিডস-এ গিয়ে এটি ব্যবহা করা যায়। এর সুবিধা হলো শিশুদের জন্যই তৈরি হওয়ায় কোন অযাচিত/অনাকাঙ্খিত কনটেন্ট এর সম্মুখীন হতে হয় না শিশুকে, তাছাড়া শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট ক্যাটাগরি, চ্যানেল থেকে শুরু করে সবকিছু অভিভাবকগণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এক্ষেত্রে। 

৫। শিশুর জন্য প্রশাসনিক বা কোন ধরনের আইনি সহায়তার প্রয়োজোন হলে শিশু সহায়ক ফোন নন্বর ১০৯৮ নম্বরে ফোন করতে পারেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন টোল ফ্রি এই নম্বরে ফোন করলে সহজেই বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক ও আইনি সহায়তা পাওয়া যাবে।

৬। সিমিপুর এবং দূরন্ত টিভি থেকেও শিশু বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়। 

সিসিমপুর (https://sisimpur.org.bd/)