তথ্যের সত্যাসত্য এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাইবাছাই করার প্রয়োজনীয়তা

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো তথ্য। তথ্যের সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তবে একটি বিষয়ে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে যে তথ্যটি সঠিক/সত্য কিনা। সঠিক তথ্য যেমন বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে, ঠিক তেমনি ভুল তথ্য অনেক বড় বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক তথ্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, মিথ্যা বা ভুল তথ্য তেমন ক্ষতিকর। ভুল তথ্য শেয়ারের ফলে

  • মিথ্যা বা ভুল তথ্যের কারণে মানুষ প্রতারিত হতে পারে, 
  • মানুষের ভিতরে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে, 
  • মানসিক ভাবে ভেঙে পড়তে পারে, 
  • সামাজিক ও রাজনৈতিক হানাহানি, 
  • সংঘাত এমন কি প্রাণহানিও ঘটতে পারে। 
  • আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি বা সামাজিকভাবে হেয় হওয়া সহ আরও অনেক সমস্যার উদ্ভব ঘটতে পারে । 

এজন্য কোন তথ্য প্রকাশ বা শেয়ারের আগে তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। 

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আপনি যখন কোন তথ্য পোস্ট বা শেয়ার করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কোনো কিছু পোস্ট বা শেয়ার করার আগে আপনাকে তথ্যের নির্ভুলতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে নিন। এছাড়া এই তথ্য শেয়ারের কোন ঝুঁকি আছে কিনা, এর ফলে কোন বিভ্রান্তি, ভুল বোঝাবুঝি বা সংঘাতের সৃষ্টি হবে কিনা এসব বিষয়ও ভাবা দরকার। কেননা আপনার দেওয়া তথ্যে কোন ভুল থাকলে সমস্ত দায় আপনাকেই বহন করতে হবে। 

শেয়ার বা পোষ্ট করার পূর্বে বিষয়বস্তু সত্য কিনা তা যাচাই করতে অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং সংবাদ মাধ্যমে খোঁজ করতে হবে। বিষয়বস্তু নির্মাতার কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে সে সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। বিষয়বস্তু তৈরি করার সময় নির্মাতা তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মিথ্যা মতামতকে সত্য হিসাবে উপস্থাপন করতে পারে। তাই বিষয়বস্তুটি সমাজের কারো উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না তা চিন্তা করা অত্যন্ত জরুরী। টাকার বিনিময়ে যদি আপনি কোন কিছু শেয়ার বা পোষ্ট করে থাকেন, তাহলে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে সমাজের ক্ষতি করছেন।