ডিজিটাল ডিভাইস কী

আমরা প্রায় সকলেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে হিসাব নিকাশ করার জন্য ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে থাকি। এই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার ফলে জটিল গাণিতিক সমস্যাগুলোর সমাধান খুব সহজেই করা যাচ্ছে। এই ক্যালকুলেটর হলো এক ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস।

আবার, আমরা অনেকেই টেলিভিশনে খেলা দেখি, বিভিন্ন দেশ-বিদেশের খবর দেখি; নাটক-সিনেমা দেখে থাকি। বিনোদনের জন্য এই টেলিভিশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি হলো আরেক ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস।

এবার তাহলে,মোবাইল ফোনের কথা বলা যাক। মোবাইল ফোন কম বেশি সবাই ব্যবহার করে থাকে। আবার, অনেকে অফিস আদালতের বিভিন্ন কাজে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপও ব্যবহার করে থাকে।

তবে আমরা কি এটা জানি যে এই যে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করি সেগুলো প্রত্যেকটিই ডিজিটাল ডিভাইস?

চলুন তাহলে আমরা জেনে নিই, ডিজিটাল ডিভাইস বলতে আসলে কী বুঝায়।

ডিজিটাল ডিভাইস হচ্ছে এমন ধরনের ইলেকট্রনিক বা তথ্য প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র যার মাধ্যমে আপনি কোনো তথ্য তৈরি, সংরক্ষণ, প্রেরণ ও শেয়ার করতে পারবেন। তবে ডিজিটাল ডিভাইসের কাজ এখানেই শেষ নয়। বরং এসকল কাজ ছাড়াও দূর দূরান্তে মানুষের সাথে যোগাযোগ থেকে শুরু করে আমাদের দৈনন্দিন জীবন, শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে নানাবিধ কাজকে অনেক বেশি সহজতর করে তুলছে এই ডিজিটাল ডিভাইস।বর্তমানে প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে বিদ্যমান ডিজিটাল ডিভাইসগুলোও প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত হচ্ছে। পরিচিত কিছু ডিজিটাল ডিভাইস:

·         ডেস্কটপ কম্পিউটার

·         ল্যাপটপ

·         ডিজিটাল ক্যামেরা

·         টেলিভিশন

·         রেডিও

·         মোবাইল ফোন

·         যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক বুক রিডার

·        ক্যালকুলেটর

·         স্টোরেজ ডিভাইস (যেমন- পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড, সিডি) 

·         ইনপুট ডিভাইস (যেমন- কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার)

·         আউটপুট ডিভাইস (যেমন- প্রিন্টার, স্পিকার)

·         মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর

এই ডিভাইসগুলো ব্যবহার আমাদের সময় ব্যবস্থাপনাকে তুলনামুলক সহজ করে তুলেছে, বিশাল দূরত্বে অবস্থান করা কাছের মানুষগুলোকে কাছে এনে দিয়েছে। এজন্য এই ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ব্যবহারে আমরা সচেতন হব যাতে এগুলোর অসতর্ক ব্যবহার আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।