Issue area কিশোর বাতায়ন

মূলত কিশোর-কিশোরীদের জন্য উপযোগী ওয়েব সাইট কিশোর বাতায়ন। কিশোর কিশোরীরা দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে http://konnect.edu.bd/ এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে অ্যাকাডেমিক পাঠ, জীবন দক্ষতা অর্জন, প্রিয় লেখকের বই পড়ার সুযোগ, অ্যাকাডেমিক অ্যাসাইনমেন্ট সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে।বাংলাদেশ সরকারের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন এর একটি উদ্যোগ কিশোর বাতায়ন প্ল্যাটফর্মটি। ২০১৮ সালে এই উদ্যোগটির যাত্রা শুরু হয়। কিশোর বাতায়ন ব্যবহারের জন্য ওয়েব সাইটে প্রবেশের পর হোম পেইজের উপরের দিকে “খবরদার” “ আইডিয়া বক্স” ও “লগ ইন” নামে তিনটি মেনু পাওয়া যাবে। খবরদারে ক্লিক করলে কিশোর কিশোরীরা যে সকল ছবি বা লেখা আপলোড করেছে সেগুলো দেখা যাবে। আইডিয়া বক্সে তাদের তাদের শেয়ার করা বিভিন্ন আইডিয়া সম্পর্কে জানা যাবে। আর লগইন সেকশনে গিয়ে নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি সহ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে লগইন করা যাবে।ওয়েব সাইটটির সবথেকে আকর্ষণীয় দিক হলো এর হোম পেইজের মূল সেকশনটি। সবুজ মাঠের ভিতরে কার্টুন আকা একটি ছেলে বসে বই পড়ছে। একটি মেয়ে আতসী কাচ দিয়ে কিছু খুঁজছে, আরেকটি মেয়ে পেন্সিল দিয়ে আকছে ইত্যাদি। এগুলো পেইজের মেনু। প্রথমেই হাতের ছাপ দিয়ে সবুজ গাছের আদলে তৈরী মেনুতে লেখা আছে জীবন দক্ষতা। সেখানে ক্লিক করলে জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে। কিশোর কিশোরীদের বয়সন্ধিকালীন বিষয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা, ক্যারিয়ার, জেন্ডার ভাবনা, করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবেলা, স্বাস্থ্য কথা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু ইত্যাদি তথ্য আছে এখানে। এসকল তথ্য দেখার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগইন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ইউটিউব ভিডিও লিংক পাওয়া যাবে এখান থেকে। হোম পেইজে বই লেখা আইকনে  ক্লিক করলে বিখ্যাত লেখকদের বই এর তালিকা পাওয়া্ যাবে। কিশোর কিশোরীদের উপযোগী এই বইগুলো পড়তে লগ ইন করার প্রয়োজন নেই। পিডিএফ আকারে থাকা এই বইগুলো ডাইনলোড করে পড়া যাবে যেখানে ইচ্ছা সেখানে থেকে। আমার স্কুল এই মেনুটি মূলত অ্যাকাডেমিক পাঠের জন্য। মেনুতে প্রবেশ করে তোমার শ্রেণী, বিষয়, অধ্যায় ঠিক করে দিয়ে সার্চ দিলে সেই অধ্যায়ের ভিডিও লেকচার পাওয়া যাবে। দেশের বিখ্যাত স্কুলের শিক্ষকগণ এই ভিডিও লেকচারগুলো তৈরি করেছেন। একই অধ্যায়ের উপর একাধিক লেকচার পাওয়া যাবে এবং একটা লেকচার একাধিকবার দেখা যাবে। ভিডিও ক্লাশগুলো দেখার জন্য লগইন করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে লগইন করে মন্তব্য করা যাবে এবং সে অনুযায়ী শিক্ষকের জবাবও পাওয়া যাবে। কিশোর বাতায়ন ওয়েবসাইটটির সবথেকে প্রয়োজনীয় মেনু এই অংশটি। দেশের যে কোন প্রান্তের যেকোন ছাত্রছাত্রী এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে স্বনামধন্য শিক্ষকের ক্লাশ দেখার সুযোগ পাচ্ছে যা তাদের অ্যাকাডেমিক পাঠের জন্য খুবই উপকারী।এগুলো ছাড়াও পেইজে কমিকস নামে একটি সেকশন আছে যেখান থেকে কিশোর কিশোরীরা মজার মজার বিভিন্ন কমিকস পড়তে পারবে। এছাড়া আপলোড নামে একটি সেকশন আছে যেখানে লগইন করার পর বিভিন্ন সৃজনশীল কাজের ছবি, ভিডিও, লেখা আপলোড করা যাবে।। ওয়েবসাইটের একদম নীচে যোগাযোগ নামে একটি মেনু আছে যেখান থেকে ওয়েবসাইট কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা পাওয়া যাবে।কিশোর বাতায়ন থেকে যে যে সুবিধা পাওয়া যায়:# যেকোন স্থান থেকে যেকোন সময় ক্লাশের ভিডিও দেখা যাবে।# ক্লাশ, বিষয় ও অধ্যায় অনুযায়ী সার্চ দিয়ে সে অনুযায়ী লেকচার দেখার সুযোগ# একাধিকবার ক্লাশ দেখার সুযোগ# যে কোন ক্লাশের বই পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করে পড়ার সুযোগ# পছন্দের লেখকের বই ডাউনলোড করে পড়ার সুযোগ# মজার মজার কমিকস পড়ার সুযোগ# সৃজনশীল কাজ আপলোডের মাধ্যমে সারা দেশের কিশোর-কিশোরীদের জানানোর সুযোগ# জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন দক্ষতার জ্ঞান অর্জন।

আরও জানুন
Issue area খান একাডেমি বাংলা

যে কোন স্থানে যে কারো কাছে বিনামূল্যে বিশ্বমানের শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে খান একাডেমির ওয়েব সাইটের যাত্রা শুরু হয়। সে সময় ওয়েব সাইটের কন্টেন্ট ছিল ইংরেজীতে। ২০১৬ সালে বাংলা ভাষায় খান একাডেমির যাত্রা শুরু হয়। মূলত গণিত এবং কম্পিউটার শিক্ষা এই দুইটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে খান একাডেমির বিষয়বস্তু তৈরী করা হয়েছে। https://bn.khanacademy.org/ ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে প্রয়োজন অনুযায়ী জ্ঞান অর্জন করা যাবে। খান একাডেমি বাংলা ওয়েব সাইট থেকে যে যে সুবিধা পাওয়া যাবে: # দেশী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিক্ষাবিদ দ্বারা খান অ্যাকাডেমির কন্টেন্ট তৈরী করা হয়।# জি মেইল বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকলেই এই ওয়েব সাইটের সব কন্টেন্ট দেখা যায়। আলাদা করে রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই।# ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যায় অনুযায়ী গণিতের সকল সমস্যার সমাধান।# ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে অধ্যায় অনুযায়ী ক্লাশ সাজানো হয়েছে। প্রতিটি ভিডিও যতবার ইচ্ছা ততবার দেখার সুযোগ আছে।# প্রতিটি অধ্যায়ে আলাদা আলাদা অনুশীলন এর মাধ্যমে মূল্যায়ন এর ব্যবস্থা আছে। মূল্যয়নের মাধ্যমে শিশু কিশোরেরা বুঝতে পারবে নির্দিষ্ট অধ্যায়ের উপর তার দক্ষতা কতখানি।# সরকারি পাঠ্য পুস্তকের বাইরেও শ্রেণী অনুযায়ি শিশু কিশোরদের উপযোগী করে গণিতের বিভিন্ন বিষয়ের ভিডিও আছে।# কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ও কম্পিউটার বিজ্ঞান সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান অর্জনের ব্যবস্থা।# বাংলা ভাষা বাদেও পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ আছে এখানে।# শিক্ষিত তরুণদের ইন্টার্নশীপের ব্যবস্থা আছে খান একাডেমিতে।# খান একাডেমির মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের জন্য কোন টাকা খরচ করতে হবে না।# কেউ যদি খান একাডেমির কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য অনুদান হিসাবে অর্থ প্রদান করতে চায়, সে ব্যবস্থা রাখা আছে।# সঠিক, সুন্দর এবং বোধগম্য করে কিভাবে শিশু কিশোরদের পাঠ দেওয়া যায় সেজন্য শিক্ষকদের উপযোগী কন্টেন্ট ও নির্দেশনা আছে খান একাডেমিতে। সালমান আমিন খান এর উদ্যোগে খান একাডেমির যাত্রা শুরু হয়েছিল আমেরিকাতে। কিছুদিনের মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই যুক্ত হন এই প্রকল্পের সাথে। বাংলাদেশেী শিক্ষার্থীরাও এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে দেশী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিক্ষাবিদ দ্বারা তৈরী কন্টেন্ট এর মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে জাতির জন্য অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছে। 

আরও জানুন
Issue area ৯৯৯

সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছে দুই বন্ধু। শহর পেরিয়ে মহাসড়কের রাস্তা ধরে ঘুরতে ঘুরতে অনেকদূর চলে যায় তারা। হঠাৎ করেই অসাবধানতার কারনে ট্রাকের সাথে দূর্ঘটনার শিকার হয় তাদের একজন। বেশ গুরুতর দুর্ঘটনা। অপর বন্ধু জনমানবহীন সড়কে কি করা উচিত ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। মোবাইল বের করে বাবাকে ফোন করতে গিয়ে তার মনে পড়ে ৯৯৯ এর কথা। সাথে সাথে ৯৯৯ এ ফোন করে সমস্যার কথা জানায় সে। কিছুক্ষণের ভিতরেই অ্যাম্বুলেন্স চলে আসে সেখানে। ৯৯৯ জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর। এই নম্বরে ফোন দিয়ে জরুরি পুলিশী সহায়তা, এম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস সহায়তা পাওয়া যায়। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে এই জরুরী সেবা নম্বর। দেশের যে কোন প্রান্তে থেকে যে কোন নাগরিক জরুরী প্রয়োজনে এই নম্বরে ফোন করে প্রয়োজনীয় জরুরী সহায়তা গ্রহন করতে পারবে। টেলিফোন বা মোবাইল থেকে এই নম্বরে ফোন করা যাবে এবং এই নম্বরে ফোন করার জন্য কোন টাকার প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশ পুলিশ জনগনের বন্ধু। জরুরী প্রয়োজনে জনগনকে সহায়তা করা পুলিশের কর্তব্য। পুলিশি সহায়তা সহজে প্রাপ্তির মাধ্যম ৯৯৯ নম্বরটি। কেউ যদি কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চুরি, ছিনতাই, বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন বা কোন বে-আইনী কাজের সম্ভাবনা দেখে তাহলে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে পুলিশ নিয়ে আসার আগেই বে-আইনি কাজটি সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু, ফোন কলের মাধ্যমেই দ্রুত সমাধান পাওয়া সম্ভব। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অবৈধ কার্যালাপ সম্পর্কে সু নির্দিষ্ট কিছু তথ্য দিলেই দ্রুত পুলিশ হাজির হবে জনগনের কাছে। পুরো প্রক্রিয়ায় অভিযোগকারীর নাম গোপন রাখা হয় তাই চিন্তার কিছু নেই। কল সেন্টার টি ২৪ ঘন্টাই চালু থাকে অর্থাৎ দিন রাত যে কোন সময়ই ৯৯৯ এ ফোন করে জরুরী সহায়তা পাওয়া যাবে। ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশি সহায়তার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয় যেমন:# ৯৯৯ এ অপ্রয়োজনে বা কৌতুহল বশত ফোন করা উচিত নয়। তোমার সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলতে গেলে কর্তৃপক্ষ হয়তো কোন প্রয়োজনীয় ফোন টি রিসিভ করতে পারবে না।# সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সাহায্য প্রার্থীর ঠিকানা। ফোন করে প্রয়োজন অনুযায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে। যথাযথ ঠিকানা না পেলে সাহায্যকারী সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে পৌছাতে ব্যর্থ হবে।# সাহায্যের জন্য ৯৯৯ এ ফোন করার পর কতৃপক্ষ কিছু প্রশ্ন করতে পারে সাহায্যপ্রার্থীকে। সে সকল প্রশ্নের সঠিক এবং যথাযথ জবাব দিতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে এবং আবেগে আক্রান্ত হওয়া যাবে না।# অপরাধীকে চিনতে পারলে বা চেহারা দেখতে পারলে বা কাউকে সন্দেহ করলে যথাযথভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।# ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশি সহায়তার পাশাাপাশি এম্বলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস সহায়তা পাওয়া যায়। অ্যাম্বলেন্স এর সার্ভিসটি কিন্তু ফ্রি নয়। এর জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।# ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চাওয়ার পর অবশ্যই ফোন চালু রাখতে হবে। সাহায্যকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন প্রয়োজনে সাহায্যপ্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করতে পারে। 

আরও জানুন