Issue area তথ্য চুরি

ব্যক্তিগত বা পেশাগত যে কারণেই আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না কেন, আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট দুনিয়ার ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কারণ, ইন্টারনেটের ঝুঁকিগুলি মারাত্মক হলেও সচেতনতার মাধ্যমে সেগুলিকে এড়িয়ে অনাকাঙ্খিত অনেক বিপদ থেকে বাঁচা সম্ভব। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ যে কয়েকটি সম্ভাব্য বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন তার মধ্যে ‘তথ্য চুরি’ অন্যতম। বিভিন্নভাবেই ইন্টারনেট থেকে আপনার তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে। যেমন:১. অরক্ষিত ওয়েবসাইট বা পাব্লিক Wi-Fi-এ শেয়ার করা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। ২. আপনার মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার চুরি হয়ে গেলে এসব ডিভাইস থেকেও ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাঙ্ক একাউন্টের তথ্য ইত্যাদি চুরি হতে পারে। ৩. প্রতারকরা ইমেইল হ্যাকিং এর মাধ্যমে ব্যাঙ্ক এবং ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট, পূর্ব-অনুমোদিত ক্রেডিট কার্ড অফার, কর-প্রদান সংক্রান্ত তথ্য এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্যের নাগাল পেতে পারে।   ৪. বিভিন্ন থার্ড পার্টি সোর্স (উৎস) থেকে ব্যক্তিগত তথ্য কিনে নেওয়ার মাধ্যমেও প্রতারকরা অনেক স্পর্শকাতর তথ্যের নাগাল পেতে পারে। ৫. ইন্টারনেট তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানের অসাধু কর্মচারী, যার কাছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের অ্যাক্সেস আছে, এমন মানুষের মাধ্যমেও আপনার ইন্টারনেটে দেওয়া তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে। ৬. একজন হ্যাকিং এর শিকার হলে, তার ডিভাইসের মাধ্যমে পরিবারের বা কর্মসংস্থানের অন্যান্য কর্মীদের তথ্য ও চুরি হতে পারে। ৭. থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি হয়ে যাওয়া বা বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।৮. যে কোন মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেইল অ্যাকাউন্ট ওপেন করে কাজ করার পর কাজ শেষে যদি ঠিকমত লগআউট না করা হয় তবে সেখান থেকে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে।৯. আফিসে কাজের বিরতির (লাঞ্চ, নামাজ বা ব্রেক) সময় কম্পিউটার লক করে রাখতে হবে বা সকল অ্যাকাউন্ট লগ আউট করে রাখতে হবে। অন্যথায় সেখান থেকেও তথ্য চুরি হতে পারে।  সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন অবৈধ কাজে আপনার তথ্য ব্যবহার করতে পারে। এমনকি ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে টাকা চুরি, আপনার নামে ক্রেডিট কার্ড অথবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে বা আরও বড় কোন অপরাধ করতে পারে। এর ফলে আর্থিক বা সামাজিক ক্ষতিসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ভারও পড়তে পারে আপনারই ওপর। কাজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান ও সংরক্ষণে যত্নবান হওয়া একান্তই জরুরি।

আরও জানুন
Issue area অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং

রকিবুল একজন তরুণ উদ্যোক্তা। ব্যাংকের সাথে নিয়মিত লেনদেন করেন তিনি। লটারিতে অনেক টাকা জয়ের কথা বলে তার কাছে একটি মেইল আসে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা জমা হবে। এজন্য রকিবুলের কাছে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর তথ্য, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের তথ্য, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি তথ্য জানতে চাওয়া হয়। রকিবুলের মেইলে একটি লিংক পাঠিয়ে সেই লিংকে তথ্যগুলো লিখে দিতে বলা হয়।  রকিবুল মেইলটির উৎস পর্যবেক্ষণ না করেই লটারিতে টাকা জয়ের আনন্দে লিঙ্কটিতে প্রবেশ করে সকল তথ্য প্রদান করে দেয়। এর কয়েকদিনের মধ্যেই রকিবুলের ক্রেডিট কার্ড এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় দুষ্টচক্র।   রকিবুলের মতো আরো অনেকেই এভাবে সামান্য অসাবধানতা বশতঃ হ্যাকিং এর শিকার হচ্ছেন এবং ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়া, আর্থিক ক্ষয় ক্ষতি, তথ্য চুরি কিংবা পরিচয় নকল হওয়ার মতো ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন।আপনি কি জানেন হ্যাকিং কী?হ্যাকিং হল কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার একটি প্রচেষ্টা। সহজ কথায় বলতে গেলে, অসৎ উদ্দেশ্যে (যেমন- তথ্য, ফাইল ইত্যাদি চুরি বা পরিবর্তন) কম্পিউটারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করাকে হ্যাকিং বলা হয়ে থাকে।অসৎ ব্যক্তিরা বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন কারণে হ্যাকিং করে থাকে। যারা হ্যাকিং করে তাদেরকে হ্যাকার বলা হয়। একসময় হ্যাকিং অসৎ ব্যক্তির খামখেয়ালি হিসেবে পরিচিতি পেলেও এখন তা বিলিয়ন ডলারের অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলি যেভাবে হ্যাকিং হয়ে থাকে:প্রযুক্তির অপব্যবহারের অন্যতম উদাহরণ হলো হ্যাকিং। হ্যাকাররা বিভিন্ন কৌশলের সাহায্যে এই অপকর্মটি করে থাকে। যেমন- ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন প্ররোচনা প্রদানের মাধ্যমে ক্ষতিকর লিঙ্ক বা অ্যাটাচমেন্ট ব্যবহার করিয়ে। এক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টকে মনোবিজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যাচাই করা হয় এবং ব্যবহারকারীর জন্য লোভনীয় বা আগ্রহ সঞ্চারক লিঙ্ক বা অ্যাটাচমেন্ট প্রদান করে তাকে এসব লিঙ্ক বা অ্যাটাচমেন্ট ব্যবহারে আগ্রহী করে তোলা হয়। এছাড়াও, ম্যালওয়্যার এর সাহায্যে ব্যাপক হারে হ্যাকিং হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সরাসরি প্রযুক্তির অপপ্রয়োগের মাধ্যমে হ্যাকাররা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অজান্তেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে থাকে।প্রযুক্তির অপপ্রয়োগ, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টের মনোবিজ্ঞানিক যাচাই পদ্ধতি ছাড়াও আরো কিছু উপায় অবলম্বন করে হ্যাকাররা আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং করতে পারে। যেমন- বটনেট ব্যবহার করে, ব্রাউজার হাইজ্যাকিং করে, র‍্যানসমওয়্যার ব্যবহার করে, ভাইরাস প্রয়োগ করে, ইত্যাদি। হ্যাকিং এর উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে এই অসৎ কাজটিকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। যেমন-ক) আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে - হ্যাকাররা ক্রেডিট কার্ড নম্বর চুরি করা, একাউন্ট সম্পর্কিত স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ বা সম্পূর্ণ ব্যাঙ্কিং সিস্টেম হ্যাকের মাধ্যমে প্রতারণা করে থাকে।খ) কর্পোরেট বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গুপ্তচরবৃত্তি করার উদ্দেশ্যে – অনেক সময়ে কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের হ্যাকাররা সুবিধা অর্জনের জন্য প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের পণ্য এবং পরিষেবাগুলির তথ্য চুরি করে থাকে।গ) জাতীয় নথিপত্র চুরির উদ্দেশ্যে – আন্তর্জাতিক মহলে প্রভাব ও প্রতিপত্তি বিস্তারের জন্য অনেক সময়ে শক্তিশালী দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি প্রতিযোগী দেশের জাতীয়, স্পর্শকাতর এবং গুরূত্ববহ তথ্য চুরি করে থাকে। হ্যাকিং থেকে বাঁচতে যে সকল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি –-      ম্যালওয়্যার ও র‍্যানসমওয়্যার এর হাত থেকে বাঁচতে ‘অ্যান্টি মালওয়্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ ও ‘অ্যান্টি-র‍্যানসমওয়্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গুগলের ‘প্লে স্টোর’ থেকে এই জাতীয় বিভিন্ন সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ইসেট, ক্যাস্পারস্কি, অ্যাভাস্ট ইত্যাদির ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়।-      অ্যাপসমূহ ডাউনলোড ও ব্যবহারের পূর্বে এর উৎসের যোগ্যতা ও যথার্থতা যাচাই করতে হবে। ‘প্লে স্টোরে’ বিভিন্ন অ্যাপের রিভিউ দেওয়া থাকে। তাছাড়া, ব্যবহারকারীরা নিজেদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতাও মতামত সেকশনে লিখে থাকেন। কোনো অ্যাপ ডাউনলোড ও ব্যবহারের পূর্বে এই সকল রিভিউ এবং মতামত যাচাই করে নিতে হবে।-      নিয়মিত সফটওয়্যারগুলো হালনাগাদ (আপডেট) করতে হবে। এক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত উৎস থেকে হালনাগাদ ফাইল নামাতে হবে। গুগল প্লে স্টোর, আই টিউন্স, সফটোনিক, সফটপিডিয়া ইত্যাদি সাইটগুলি থেকে নির্ভরযোগ্য আপডেটসমূহ ডাউনলোড করা যায়।-      ইন্টারনেট ব্যবহারকালীন সময়ে অপরিচিত এবং অপ্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট ও লিঙ্কে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। -      নিয়মিত পাসওয়ার্ড হালনাগাদ করতে হবে এবং একটি শক্ত পাসওয়ার্ড নির্বাচন ও ব্যবহার করতে হবে। শক্ত বলতে অনুমান করা কঠিন এমন পাসওয়ার্ড। যেমন- অনেকে পাসওয়ার্ড হিসেবে মোবাইল নাম্বার কিংবা জন্মতারিখ ব্যবহার করে, যেটা অনুমান করা সহজ। তা না করে যদি সংখ্যা, চিহ্ন, ছোট হাতের-বড় হাতের বর্ণ মিলিয়ে একটা ১২-১৩ ডিজিটের পাসওয়ার্ড বানানো যায়, তাহলে সেটা যে কারো পক্ষে অনুমান করা কঠিন হবে। 

আরও জানুন
Issue area আর্থিক, সামাজিক ও মানসিক ক্ষয়ক্ষতি

বর্তমান বিশ্বে শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত সবাই জীবনযাপনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটমুখী হয়ে গিয়েছে। জামাকাপড়, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি কিংবা খাবার কেনা, গবেষণা, গ্যাস-বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করা, এবং অন্যদের সাথে যোগাযোগ করার উদ্দেশ্যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেকটাই অনলাইনে ব্যয় হয়। ইন্টারনেটের ব্যবহার জীবনকে সহজতর করেছে ঠিকই, তবে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার সাথে এর সামঞ্জস্যতা ঠিক না থাকলে বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়। ব্যক্তিগত বা পেশাগত যে কারণেই আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না কেন, আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট  ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ যে কয়েকটি সম্ভাব্য বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন তার মধ্যে আর্থিক, সামাজিক ও মানসিক ক্ষয়ক্ষতিগুলো উল্লেখযোগ্য। সামাজিক ক্ষয়ক্ষতি: ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ যে সকল সামাজিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারেন তার মধ্যে প্রধান হলো –১। পরিচয় নকল করে অন্য কারো মাধ্যমে কোনো আপত্তিকর অথবা বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী তথ্য ছড়ানোর কারণে হয়রানির শিকার হওয়া।২। থার্ড পার্টি অ্যাপের ব্যবহারের কারণে ব্যক্তিগত গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া।৩। যোগাযোগের জন্য অধিক ইন্টারনেট নির্ভরতার কারণে ব্যক্তিপর্যায়ের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ও সামাজিক মেলামেশায় অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়।৪। ধর্মীয়, ভাষাগত বা জাতিগত কারণে প্রতিহিংসামূলক আচরণের শিকার হওয়া।   ৫। অপ্রাপ্ত বয়ষ্কদের কাছে আপত্তিকর কন্টেন্ট (ছবি, লেখা বা ভিডিও) ছড়িয়ে যেতে পারে।৬। কর্মক্ষেত্রে দুর্ভোগ, যেমন- কাজে ক্রমাগত দেরি হওয়া, সময়সীমা মিস করা, ত্রুটিপূর্ণ কাজ জমা দেওয়া, ইত্যাদি।৭। অনলাইন কার্যাবলি ও বন্ধুদেরকে অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে।৮। 'বাস্তব বিশ্ব' থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং বন্ধু ও পরিবারের সাথে যোগাযোগ কমে যেতে পারে। মানসিক ক্ষয়ক্ষতি: ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ যে সকল মানসিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারেন তার মধ্যে প্রধান হলো –১। নিদ্রাহীনতা অথবা রাতে নির্বিঘ্ন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা।২। যারা ইন্টারনেটে অত্যধিক সময় ব্যয় করে তারা বাস্তবতার সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে এবং একটি কল্পনার জগতে বাস করে। যার ফলে হতাশা-উদ্বেগের মতো ব্যাপারগুলো নিত্যসঙ্গী হয়ে থাকে।৩। সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে অক্ষম হওয়া।৪। মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকা, ইত্যাদি।৫। প্রতিদিন অনেক্ষণ কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি: ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ যে সকল আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারে তার মধ্যে প্রধান হলো –১। পাসওয়ার্ড/পিন কোড চুরির মাধ্যমে হ্যাকাররা আপনার সঞ্চিত অর্থ-সম্পদ চুরি করতে পারে।২। ইন্টারনেটে কোনো ব্যাক্তির অগোছালোভাবে ছড়িয়ে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে ভুয়া ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, ব্যাঙ্ক একাউন্ট বানিয়ে প্রতারকরা আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।৩। প্রতারক চক্র বিভিন্ন লোভনীয় অফার এর কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে।৪। প্রতারক চক্র বিভিন্ন মোবাইল ব্যাঙ্কিং কোম্পানির কাস্টমার সেবাদানকারী ব্যক্তি সেজে ফোন কল অথবা এসএমএস-এর মাধ্যমে পিন নম্বর সংগ্রহ করে থাকে। উপরোক্ত ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও ইন্টারনেট এর অধিক এবং অসচেতন ব্যবহার আমাদের বিভিন্ন বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই, ইন্টারনেটের উপর অত্যাধিক মাত্রায় নির্ভরশীল না হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ইন্টারনেটের সুষম ও সচেতন ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।  

আরও জানুন
Issue area ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে করনীয়

বর্তমানে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার ছাড়া আমরা দৈনন্দিন জীবন কল্পনা করতে পারি না। কাছের কিংবা দূরের মানুষের সাথে যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন সেবা গ্রহণের জন্য আমরা ডিজিটাল ডিভাইসের উপর নির্ভরশীল। এজন্য আপনার ব্যক্তিগত ডিভাইসটি যাতে সুরক্ষিত থাকে এবং ডিভাইসটির সর্বোচ্চ ব্যবহার যাতে আপনি করতে পারেন সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।চলুন, তাহলে আমরা জেনে নিই কীভাবে আমরা আমাদের ব্যক্তিগত ডিভাইসটি সুরক্ষিত রাখতে পারি। (১) ডিভাইসটি লক রাখতে পিন, পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন ব্যবহার করুনআপনার ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত রাখতে একটি পাসকোড, পিন বা প্যাটার্ন লকের ব্যবস্থা করে রাখুন৷ আপনি যদি আপনার ডিভাইসটি কোথাও ফেলে আসেন বা হারিয়ে ফেলেন  তাহলে এই ব্যবস্থাগুলো একটি প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করবে; ফলে অন্য কেউ আপনার তথ্যগুলো ব্যবহার করতে পারবে না। অর্থাৎ আপনার সংবেদনশীল তথ্যগুলোকে সুরক্ষিত থাকবে। (২) অ্যাপ ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুনপ্লে স্টোর থেকে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার পূর্বে অ্যাপটির রেটিং এবং রিভিউ বা মন্তব্যগুলো পড়ে দেখুন। অ্যাপটি ডাউনলোড করা অবস্থায় এন্টিভাইরাস চালু রাখবেন এবং ডাউনলোড শেষে কোনো অপ্রয়োজনীয় প্রবেশাধিকার চাইলে অ্যাপটি আনইনস্টল করে ফেলুন।  (৩) অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ আপডেট রাখুনআপনার ডিভাইসটির অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ আপডেট বা হালনাগাদ রাখুন। সাধারণত আপনার ডিভাইস আপডেটেড বা হালনাগাদকৃত করা থাকলে তা শুধুমাত্র নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করে না, বরং কঠোর নিরাপত্তাও প্রদান করে। (৪) অনলাইন লেন-দেনের পর ওয়েবসাইটগুলি থেকে লগ আউট করুনআপনি যদি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিং বা অন্য কোনো লেনদেন করেন তাহলে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সেই সাইটগুলি থেকে লগ আউট করুন। আর সর্বজনীন (পাবলিক) ওয়াই ফাই-এ থাকাকালীন লেনদেনগুলি এড়িয়ে যান৷ (৫) ডিভাইসের ওয়াই ফাই এবং ব্লুটুথ বন্ধ রাখুন ব্যবহার না হলে  আপনার ডিভাইসের ওয়াই ফাই এবং ব্লুটুথ বন্ধ করে রাখুন৷(৬) ওয়াই-ফাই থেকে সতর্ক থাকুনসুরক্ষিত রাখার জন্য আপনার ডিভাইসকে সর্বজনীন (পাবলিক) বা অরক্ষিত (পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন নেই) এমন ওয়াই ফাই-এর সাথে সংযুক্ত করা থেকে এড়িয়ে চলুন। (৭) ডিভাইস চার্জের ব্যবহারে সতর্ক থাকুনআপনার ডিভাইসটিতে সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাওয়ার পরেও ডিভাইসটি চার্জে দিয়ে রাখবেন না। আপাতদৃষ্টিতে এতে ডিভাইসের কোনো ক্ষতি চোখে পড়ে না। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর ব্যবহার করা না হলে ফোনটি লক  করে রাখা উচিত। ফোন লক করা না থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু সেবা চলে এবং স্বাভাবিকভাবেই এতে ব্যাটারি খরচ হয়। তাই চার্জ ধরে রাখতে লকের দিকে খেয়াল রাখা উচিত।(৮) অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুনডেস্কটপ বা ল্যাপটপে হালনাগাদকৃত এন্টিভাইরাস ব্যবহার করলে আপনার ডিভাইসটিকে বিভিন্ন ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল ডিভাইস ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকায় আমাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও নিরাপত্তার সাথে ডিভাইসের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্কযুক্ত হয়ে পড়েছে। তাই বর্ণিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে ডিভাইসের সুরক্ষায় যত্নবান হোন। 

আরও জানুন
Issue area অ্যাকাউন্ট তৈরি ও লগইন ক্ষেত্রে সতর্কতাবাণী ও পাসওয়ার্ড নির্বাচন

রিপন একজন ফুড ব্লগার। নতুন নতুন খাবারের দোকানের চমকপ্রদ সব খাবারের রিভিউ ভিডিও বানানোর কারণে তার পরিচিতি বেড়েই চলেছে। হঠাৎ একটি এড দেখে রিপন জানতে পারে যে, একটি নতুন অ্যাপের মাধ্যমে তার ফেসবুক-ইউটিউব অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার করলে তার বানানো ভিডিওগুলো আরো দ্রুত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। খুব বেশি চিন্তাভাবনা ছাড়াই রিপন অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করা শুরু করলো। অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য তাকে ফেসবুক-ইউটিউব অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য (লগ-ইন তথ্য যেমন, পাসওয়ার্ড, ইমেইল, মোবাইল নম্বর, ইত্যাদি) প্রদান করতে হলো। এর কয়েক মূহুর্ত পরেই রিপনের ফেসবুক এবং ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি হ্যাকিং এর শিকার হলো।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অসতর্ক ব্যবহারের কারণে নানারকম ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকেই। ফলে ব্যক্তিগত তথ্যাদি বেহাত হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই আর্থিক ও সামাজিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। মূলত অ্যাকাউন্ট তৈরি বা লগ-ইন করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন না করার কারণেই তারা বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই অনলাইনে বিভিন্ন কাজের জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি বা লগ-ইন করার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যেমন: অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময়ে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে:১। একটি শক্তিশালী এবং অনন্য (ইউনিক) পাসওয়ার্ড বাছাই করতে হবে।২। টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (জিমেইল, ইয়াহু, ফেসবুক, হোয়াটস আপ, টুইটার ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার বাড়তি একটি ধাপ) এর মাধ্যমে একাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।৩। ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকুন।  অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করার সময়ে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে:১। আপনার ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্যসমূহ ব্যবহার করে লগ-ইন করার ক্ষেত্রে ঐ ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মটির যথাযথ গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করতে হবে।২। সন্দেহজনক লিঙ্কসমূহ ব্যবহার করা অথবা এসব লিঙ্কে প্রবেশ করতে একাউন্টের তথ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।৩। পাবলিক (গণ) ওয়াই-ফাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা মেনে চলতে হবে। যেমন ফ্রি ওয়াই-ফাই চালিয়ে কখনোই অনলাইন ব্যাংকিংয়ের কাজ করা উচিত নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাবহার এড়িয়ে যাওয়াটাই সবচেয়ে নিরাপদ। ইমেইল বা স্কাইপেও লগ ইন না করাটাই নিরাপদ হবে।৪। সাইবার ক্যাফে ব্যবহার করলে অথবা ব্যক্তিগত ডিভাইস ছাড়া অন্য কোথাও একাউন্ট লগ ইন করে থাকলে অবশ্যই কাজ শেষে লগ-আউট করতে হবে। এ সমস্ত জায়গায় কী-লগার থাকতে পারে যেটি কী-বোর্ডে টাইপ হওয়া সমস্ত ডাটা রেকর্ড করে রাখতে পারে। ৫। সাইবার ক্যাফে ব্যবহার করলে অথবা ব্যক্তিগত ডিভাইস ছাড়া অন্য কোথাও একাউন্ট লগ ইন করে থাকলে, কখনোই লগ-ইন তথ্য সেভ করে রাখা যাবে না।  একাউন্টের জন্য পাসওয়ার্ড নির্বাচনের সময়ে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে:১। অক্ষর, সংখ্যা এবং কীবোর্ড সংকেতসমূহের সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড নির্বাচন করলে তা অন্যদের পক্ষে ধারণা করা কঠিন হয়ে থাকে।২। ইংরেজি অক্ষর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছোট ও বড় হাতের অক্ষরের মিশ্র ব্যবহার পাসওয়ার্ডটিকে আরো শক্তিশালী করবে।৩। নিজের নাম বা পরিচিত আদ্যাক্ষর, জন্মদিন, জন্মের সাল, ফোন নাম্বার ইত্যাদি তথ্যের ব্যবহার পাসওয়ার্ডকে দুর্বল করে ফেলে। কারণ, তা অন্যদের পক্ষে ধারণা করা অপেক্ষাকৃত সহজ।৪। কমপক্ষে ৮ টি অক্ষর ব্যবহার করুন। সংখ্যা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরলধারা (যেমন ১১১, ৯৯৯, ১২৩) ব্যবহার না করাই উত্তম।৫। অনলাইনে সকল পরিষেবাগুলির জন্য একটি পাসওয়ার্ড পুনঃব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।৬। কোনো অবস্থায়ই অন্যদের সাথে পাসওয়ার্ড শেয়ার করা যাবে না।

আরও জানুন
Issue area পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করণীয়

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা হরহামেশাই যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন, তারমধ্যে পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া অন্যতম। বিভিন্ন মাধ্যমের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড থাকলে একাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত হয় ঠিকই কিন্তু, পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় বহুগুণ। তাছাড়া, নিরাপত্তাজনিত কারণে অথবা জরুরি প্রয়োজনে অনেক সময়ই পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা যায়। পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের জন্য পুরনো পাসওয়ার্ডটি মনে রাখা জরুরি। এমতাবস্থায় পুরনো পাসওয়ার্ডটি ভুলে গেলে তখন সেটি পুনরুদ্ধার করতে হয়। তাই, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণের পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়াগুলি জেনে রাখা প্রয়োজন। গুগল একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করণীয়:ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ যেসকল ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন তার মধ্যে গুগল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। ফেসবুক, ইউটিউব বা ইন্সটাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে, জি স্যুট (গুগল ফর্ম, স্প্রেডশিট ইত্যাদি) ব্যবহার করতে অথবা গুগল ক্লাসরুমে জয়েন করতেও গুগল একাউন্ট থাকা আবশ্যক। আবার ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ‘ইমেইল’ আদান-প্রদানের জন্য গুগল সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। তাই গুগল একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করণীয় সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে যা করবেন –১। প্রথমে ‘জি-মেইল সাইন-ইন’ পাতায় (পেজে) প্রবেশ করতে হবে এবং ফরগট পাসওয়ার্ড (পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়েছি) অপশনটি বাছাই করতে হবে।২। গুগল আপনার কাছে ‘রিকভারি ইমেইল ঠিকানা’ (যেই ইমেইল ঠিকানায় পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার কোড পাঠানো হবে) জিজ্ঞেস করবে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রিকভারি ইমেইল ঠিকানা সাধারণত ইমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার সময়েই সংযোজন করে রাখা উচিৎ। রিকভারি ইমেইল ঠিকানার পাশাপাশি রিকভারি মোবাইল নম্বর ও সংযুক্ত করে রাখা যায়।৩। পরবর্তী ধাপে গুগল রিকভারি ইমেইল ঠিকানাতে একটি ৬ সংখ্যার কোড পাঠিয়ে দিয়ে থাকে। এটি ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন। ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করণীয়:ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ যেসকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন তার মধ্যে ফেসবুক খুব জনপ্রিয়। বন্ধুদের সাথে সংযুক্ত থাকা, অনলাইনে বিভিন্ন কেনাকাটা কিংবা নিজের মনের ভাব প্রকাশের জন্য ফেসবুকের জুড়ি মেলা ভার। এর পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রুপ-পেজ সমূহ ব্যবহার করে সচেতনতা তৈরির কাজও হয়ে থাকে অনেক। সর্বস্তরের মানুষের মতামত জানা ও ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি বেশ চমকপ্রদভাবে ফেসবুক করে আসছে। তবে বিভিন্ন থার্ড পার্টি অ্যাপ্স এর অবাধ ব্যবহারের কারণে ফেসবুক থেকে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেহাত হওয়া, অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই, ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে অথবা বেহাত হয়ে গেলে করণীয় সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে যা করবেন –১। প্রথমে ‘ফেসবুক লগ-ইন’ পাতায় (পেজে) প্রবেশ করতে হবে এবং ফরগট পাসওয়ার্ড (পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়েছি) অপশনটি বাছাই করতে হবে।২। এবারে স্ক্রিনে প্রদত্ত ফর্মটিতে ব্যবহারকারীর ইমেইল ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর বসাতে হবে।৩। প্রদত্ত ইমেইল ঠিকানায় বা মোবাইল নম্বরে একটি কোড আসবে। ৪। স্ক্রিনে আপনার অ্যাকাউন্ট আসলে সেটিকে বাছাই (সিলেক্ট) করতে হবে।৫। কোডটি ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের সুযোগ পাওয়া যাবে।

আরও জানুন
Issue area অ্যাকাউন্ট পুনঃরুদ্ধার

পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া, অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়াসহ নানা কারণে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। তখন প্রয়োজন হয় অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করা। তাই, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণের অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়াগুলি জেনে রাখা জরুরি। গুগল, ফেসবুক ইত্যাদি বহুল প্রচলিত মাধ্যমগুলির অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়া নিম্নরুপ: গুগল অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়া: গুগল অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার জন্য যে সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে – ১. পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া দুটি উপায়ে শুরু করা যেতে পারে। যথা-ক) https://mail.google.com/ এ গিয়ে Gmail সাইন ইন পৃষ্ঠাতে গিয়ে আপনার ইমেইল ঠিকানাটি প্রবেশ করানোর পরে "পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন বা Forgot Password?" লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।অথবা,খ) পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করতে সরাসরি https://accounts.google.com/signin/recovery তে যান।২। এখানে আপনাকে একটি "Account Support" পৃষ্ঠা দেখবে, যেখানে আপনার ইমেল ঠিকানাটি দিতে হবে এবং প্রক্রিয়াটি শুরু করতে Next বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। ৩। পরবর্তী ধাপে গুগল আপনার নিকট অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জানতে চাইবে। পাসওয়ার্ড মনে থাকলে তা প্রদান করার সাথে সাথেই একাউন্টে প্রবেশ করার সুযোগ পাওয়া যাবে।৪। যদি সর্বশেষ ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড মনে না থাকে তখন –·         এই অ্যাকাউন্টের জন্য পূর্বে ব্যবহার করেছেন এমন পাসওয়ার্ড গুগল আপনার কাছে জানতে চাইবে।·      আপনি যদি পূর্বে ব্যবহার করা কোনো পাসওয়ার্ডই মনে করতে না পারেন তবে, আপনাকে কিছু প্রশ্নোত্তরের সম্মুখীন হতে হবে।৫। প্রশ্নোত্তরের কোনো উত্তর এড়িয়ে না গিয়ে সম্ভাব্য সকল উত্তর প্রদান করলে গুগলে আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এছাড়াও, ৬। যদি আপনার অ্যাকাউন্টে ‘রিকভারি ইমেইল ঠিকানা’ (যেই ইমেইল ঠিকানায় পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার কোড পাঠানো হবে) সংযুক্ত থাকে তবে, গুগল আপনার কাছে ‘রিকভারি ইমেইল ঠিকানা’ জিজ্ঞেস করবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রিকভারি ইমেইল ঠিকানা সাধারণত ইমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার সময়েই সংযোজন করে রাখা উচিৎ। রিকভারি ইমেইল ঠিকানার পাশাপাশি রিকভারি মোবাইল নম্বর ও সংযুক্ত করে রাখা যায়।৭। পরবর্তী ধাপে গুগল রিকভারি ইমেইল ঠিকানাতে একটি ৬ সংখ্যার কোড পাঠিয়ে দিয়ে থাকে। এটি ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড পুনরায় সংযোজন করা যাবে এবং অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার হয়ে যাবে। ফেসবুক একাউন্ট পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়া: ১। প্রথমে ‘facebook.com/login/identify’ পাতায় প্রবেশ করতে হবে এবং প্রদত্ত নির্দেশাবলি অনুসরণ করতে হবে।এক্ষেত্রে, অবশ্যই এমন কম্পিউটার/মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন যেটির মাধ্যমে ইতোপূর্বে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিতে লগ-ইন করা হয়েছিলো।২। এবারে, যেই অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে চান, নির্দিষ্ট ঘরে সেই একাউন্টের ‘ইউজার নেইম (অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা নাম), ইমেইল ঠিকানা অথবা ফোন নম্বরের সাহায্যে অ্যাকাউন্টটি খুজতে হবে।৩। স্ক্রিনে আপনার অ্যাকাউন্ট আসলে সেটিকে বাছাই (সিলেক্ট) করতে হবে।৪। এরপরে অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত ইমেইল ঠিকানা অথবা মোবাইল নম্বরে পুনরুদ্ধার কোড পাঠানোর অনুরোধ করতে হবে।৫। এই কোডটি ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের সুযোগ পাওয়া যাবে এবং একাউন্টটি পুনরুদ্ধার করা যাবে।

আরও জানুন
Issue area অনিরাপদ ওয়েবসাইট চেনার উপায়

ওয়েবসাইটের সাহায্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করা হয়ে থাকে। যেমন- ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে যোগাযোগের একটি আধুনিক, দ্রুত এবং সহজ উপায় হিসেবে ওয়েবসাইটের ব্যবহার রয়েছে। এছাড়াও, কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ (যোগাযোগের জন্য জরুরি তথ্য, প্রতিষ্ঠানের পরিষেবা প্রদানের সময়, প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা, পণ্যের ছবি প্রদর্শন, ইত্যাদি) সর্বসাধারণের সার্বক্ষণিক নাগালের মধ্যে রাখতে এবং সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানতে ওয়েবসাইট ব্যবহার হয়ে থাকে।ওয়েবসাইটের যেমন অনেক উপকারী দিক রয়েছে, তেমনি কিছু কিছু ওয়েবসাইট ক্ষয়ক্ষতির কারণও হয়ে থাকে। অসাধু মানুষদের দৌরাত্ম্যের কারণে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়েবসাইটসমূহ কখনো কখনো ফাঁদে পরিণত হয়। তাই, অনিরাপদ ওয়েবসাইট চেনার উপায়গুলি জেনে রাখা আবশ্যক। অনিরাপদ ওয়েবসাইট চেনার উপায়: কোনো ওয়েবসাইট অনিরাপদ কিনা তা বোঝার কিছু সহজ উপায় আছে:১। ওয়েবসাইটটি আপনাকে কোনো একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে, একটি ফাইল সংরক্ষণ (Save) করতে বা একটি প্রোগ্রাম চালাতে বলতে পারে।২। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি অপ্রত্যাশিত উইন্ডো (নতুন ওয়েব পেজ) চালু হতে পারে।৩। আপনাকে একটি ফাইল ডাউনলোড করতে বলা হতে পারে। (যেমন কোনো একটি PDF, .zip, .rar, বা .scr ফাইল)৪। এছাড়াও ক্ষতিকর ওয়েবসাইট আপনাকে ভড়কে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কথা বলতে পারে। যেমনঃ-      আপনার কম্পিউটার ইতিমধ্যে ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে-      আপনার ব্রাউজারটি পুরানো এবং সংস্কার প্রয়োজন-      আপনি একটি প্রতিযোগিতা, নিলাম অথবা লটারি জিতেছেন। এরপরে পুরস্কার সংগ্রহের জন্য ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর তথ্য প্রদান করতে বলতে পারে।-      আপনাকে খুব কম মূল্যে কোন পণ্য বা সেবা অফার করতে পারে বা বিনামূল্যে অর্থপ্রাপ্তির রশীদও দেওয়া হতে পারে যা সংগ্রহের জন্য আপনার ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাঙ্কিং তথ্য প্রদান করতে বলতে পারে। 

আরও জানুন