 ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন পরিচিতি
                            ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন পরিচিতি
                            ব্রাউজার কী?ডিজিটাল ডিভাইসের সাথে সাথে তোমার কাছে যদি ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তবে অনেককিছু তোমার হাতের মুঠোয় চলে আসে । কিন্তু এর জন্য কিছু প্রক্রিয়া আছে। ইন্টারনেটে নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করতে হয়।যেমন করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণের জন্য সবাইকে https://surokkha.gov.bd/ এই ওয়েব সাইটে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। কিন্তু এই ওয়েব সাইটে কীভাবে যাবে? ওয়েব সাইটের ঠিকানা কোথায় লিখবে?বিভিন্ন ওয়েব সাইটে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যার আছে। যে কোন ওয়েব সাইটে প্রবেশের আগে ঐ নির্দিষ্ট সফটওয়্যার চালু করতে হবে। তারপর ঐ সফটওয়্যারের মাধ্যমে চাহিদামাফিক ওয়েব সাইটে প্রবেশ করা যাবে।যে সফটওয়ার বা অ্যাপ ব্যবহার করে ইন্টারনেটে প্রবেশ করা হয় তাকে ব্রাউজার বলে। ব্রাউজারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোন ওয়েব সাইট বা তথ্য অনুসন্ধান করার প্রক্রিয়াকে বলে ব্রাউজিং।গুগল ক্রোম, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, অপেরা, মজিলা ফায়ার ফক্স এগুলো ব্রাউজারের উদাহরণ। সার্চ ইঞ্জিন কী?ধরো, কেউ একজন করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহনের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে চায়, কিন্তু সে জানে না কোন ওয়েব সাইট থেকে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। ইন্টারেনেট ব্যবহার করে সে কিন্তু এই তথ্যটি খুঁজে বের করতে পারে। ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে বের করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট বা সফটওয়ার আছে, এগুলোকে বলে সার্চ ইঞ্জিন। যে কোন একটি সার্চ ইঞ্জিন চালু করে সেখানে “করোনা ভাইরাসের টিকা রেজিষ্ট্রেশন” লিখে সার্চ দিলে https://surokkha.gov.bd/ এই ওয়েব সাইটের সন্ধান পাওয়া যাবে।বিভিন্ন ধরনের তথ্যের সন্ধান করার জন্য যে সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করা হয় তাকে সার্চ ইঞ্জিন বলে। গুগল, ইয়াহু, বিং সার্চ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন এর উদাহরণ।
আরও জানুন কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে কার্যকরভাবে তথ্য অনুসন্ধান পদ্ধতি
                            কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে কার্যকরভাবে তথ্য অনুসন্ধান পদ্ধতি
                            "ইন্টারনেট হলো তথ্যের সমুদ্র। এই কোটি কোটি তথ্যের মাঝ থেকে নিজের প্রয়োজন মাফিক সঠিক তথ্য খুঁজে বের করতে তাই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। না হলে তথ্যের সমুদ্রে হাবুডুবু খেতে হয়। তথ্যের সমুদ্র থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য বের করার কিছু কৌশল উল্লেখ করা হলো: ১. জোড় উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার:মনে করো, বাংলাদেশের নদী সম্পর্কে তোমার তথ্য প্রয়োজন। তুমি বাংলাদেশের নদী লিখে গুগলে সার্চ দিলে। এখন বিভিন্ন ওয়েব সাইট ও ব্লগে ”বাংলাদেশের” এবং “নদী” সম্পর্কিত যত তথ্য আছে গুগল তা প্রদর্শন করবে। বাংলাদেশের খেলুধুলা, বাংলাদেশের রাস্তাঘাট, বাংলাদেশের রাজনীতি এসব তথ্যও যেমন গুগল প্রদর্শন করবে তেমনি কোলকাতার নদী, শ্রীলংকার নদী, নেপালের নদী এসব তথ্যও গুগল প্রদর্শন করবে। যা তোমার প্রয়োজন নেই। এখন বাংলাদেশের নদী শব্দ দুইটিকে যদি ” “ জোড় উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করে “বাংলাদেশের নদী” এভাবে লিখে গুগলে সার্চ করা হয় তবে গুগল কেবল মাত্র বাংলাদেশের নদী সম্পর্কিত তথ্যগুলোই প্রদর্শন করবে। ২. নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে তথ্য পেতেমনে করো, যে তথ্যটি তোমার প্রয়োজন সেটি কোন ওয়েবসাইটে আছে তা তুমি জানো কিন্তু এখন খুঁজে পাচ্ছো না। এরকম ক্ষেত্রে কী ওয়ার্ডের সাথে ওয়েব সাইটের ঠিকানা লিখে সার্চ করলে গুগল শুধুমাত্র ঐ ওয়েব সাইটে সার্চ করে তথ্যটি তোমার সামনে তুলে ধরবে। যেমন বা্ংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর ওয়েব সাইটে কম্পিউটার সম্পর্কিত কী কী সেবা আছে তা খুজে পেতে “কম্পিউটার সেবা site: bcc.gov.bd” লিখে সার্চ দিতে হবে। ৩. নির্দিষ্ট ফরম্যাটের ফাইলগুগলে কেবল ওয়েবপেজ বা তথ্যই নয়, চাইলে নির্দিষ্ট ফরম্যাটের ফাইলও খোঁজা যায়। তবে সে ফাইল অবশ্যই কোনো ওয়েবসাইটে যুক্ত থাকতে হবে। তুমি হয়তো কম্পিউটার শিক্ষার বই বা তথ্য চাও পিডিএফ আকারে। সেক্ষেত্রে” কম্পিউটার শিক্ষা filetype: pdf” লিখে সার্চ করতে হবে। তাহলে কম্পিউটার শিক্ষা সম্পর্কিত সকল পিডিএফ ফাইল গুগল তোমার সামনে প্রদর্শন করবে। ৪. একই নামে একাধিক ধরনের তথ্য থাকলেসঠিকভাবে তথ্যের অনুসন্ধান করতে না পারলে সার্চ ইঞ্জিন কোনো কোনো সময় অতিরিক্ত তথ্য দেখাতে পারে। যেমন তুমি হয়তো বাংলাদেশের জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে জানতে চাও। সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। অনেকগুলো চলচ্চিত্রেরও নির্মাতা ছিলেন তিনি। এখন ধরো, তুমি হুমায়ূন আহমেদ এবং তার লেখা বই সম্পর্কে তথ্য চাও, তার নির্মিত চলচ্চিত্র সম্পর্কে তথ্যের কোন প্রয়োজন তোমার নেই । তাহলে, book-এর আগে একটা যোগ চিহ্ন এবং movie-এর আগে একটা বিয়োগ চিহ্ন বসিয়ে দাও। এভাবে লিখে সার্চ দিতে হবে ‘হুমায়ূন আহমেদ +book -movie’।৫. নির্দিষ্ট সময়ের তথ্য খোঁজার কৌশলগুগলে তথ্য খোঁজার একটা সমস্যা হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে কোনো কোনো ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টে শুরুতে দেখাতে পারে। সেই ওয়েবসাইটটি বহুদিন আগে তৈরি করা হয়েছে, নাকি সাম্প্রতিক, তা তখন গুরুত্ব পায় না। সাম্প্রতিক তথ্য পাওয়ার একটা উপায় আছে গুগলে। যখন কিছু সার্চ করা হয়, তখন অন্যান্য অপশনের সঙ্গে Tools নামে একটি বোতাম থাকে সার্চ রেজাল্ট পেজে। টুলসে ক্লিক করলে Any time অর্থাৎ যেকোনো সময়ের তথ্যের অপশন আসবে, এটি বদলে গত এক ঘণ্টা, এক দিন, এক সপ্তাহ, এক মাস কিংবা এক বছর করে দাও। আবার চাইলে নির্দিষ্ট দুটি তারিখের মধ্যে যত তথ্য আছে, সেগুলো দেখতে Custom range-এ ক্লিক করে From ও To ঘরে তারিখ বসিয়ে দাও। তাহলে উল্লেখিত সময়ের তথ্যই কেবল সামনে আসবে।৬. ছবি সম্পর্কে তথ্য পেতেতথ্য খোঁজার পাশাপাশি গুগলে ছবি, ভিডিও, খবর, মানচিত্র, বই খোঁজা যায়। এদের মধ্যে বিশেষ করে গুগল ইমেজ সার্চ খুব কাজের। তুমি চাইলে গুগলে ছবি আপলোড করে কিংবা ছবির লিংক দিয়ে একই ধরনের আরও ছবি খুঁজতে পারো। এ জন্য কম্পিউটার থেকে গুগল ইমেজে (images.google.com) গিয়ে সার্চ বারের ডান দিকের ক্যামেরা শাটার আইকনে ক্লিক করো। এবার হয় এখানে ছবির লিংক পেস্ট করে অথবা ‘আপলোড অ্যান ইমেজ’ বোতামে ক্লিক করে কম্পিউটার থেকে নির্দিষ্ট ছবিটি আপলোড করো। এভাবে সার্চ করলে প্রদত্ত ছবির মতো আরো যেসব ছবি আছে সেগুলো গুগল প্রদর্শন করবে।
আরও জানুন তথ্যের সত্যাসত্য এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাইবাছাই করার প্রয়োজনীয়তা
                            তথ্যের সত্যাসত্য এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাইবাছাই করার প্রয়োজনীয়তা
                            অনলাইনে পরীক্ষার রুটিন ভুল জায়গা থেকে দেখলে, ফ্লাইট বা বাসের টাইম ভুল সময়ে দেখালে, অনলাইন রেফারেন্সে ভুল জায়গায় গিয়ে ভুল ভ্যাকসিন নিয়ে আসলে যথেষ্ট ক্ষতি হতে পারে। তাই সঠিক তথ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো তথ্য। তথ্যের সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তবে একটি বিষয়ে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে যে তথ্যটি “সঠিক”। সঠিক তথ্য যেমন বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে, তেমনি ভুল তথ্য অনেক বড় বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক তথ্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, মিথ্যা বা ভুল তথ্য তেমন ভয়ঙ্কর। মিথ্যা বা ভুল তথ্যের কারণে মানুষ প্রতারিত হতে পারে, মানুষের ভিতরে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়তে পারে, সামাজিক ও রাজনৈতিক হানাহানি, সংঘাত এমন কি প্রাণহানিও ঘটতে পারে এছাড়া আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি, সামাজিকভাবে হেয় হওয়া সহ আরও অনেক সমস্যার উদ্ভব ঘটতে পারে ভুল তথ্য শেয়ারের ফলে। এজন্য কোন তথ্য প্রকাশ বা শেয়ারের আগে তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুমি যখন কোন তথ্য পোস্ট বা শেয়ার করবে তখন অবশ্যই তোমাকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কোনো কিছু পোস্ট বা শেয়ার করার আগে তোমাকে তথ্যের নির্ভুলতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হতে হবে। এছাড়া এই তথ্য শেয়ারের কোন ঝুঁকি আছে কিনা, এর ফলে কোন বিভ্রান্তি, ভুল বোঝাবুঝি বা সংঘাতের সৃষ্টি হবে কিনা এসব বিষয়ও ভাবা দরকার। কেননা তোমার দেওয়া তথ্যে কোন ভুল থাকলে সমস্ত দায় তোমাকেই বহন করতে হবে। শেয়ার বা পোষ্ট করার পূর্বে বিষয়বস্তু সত্য কিনা তা যাচাই করতে অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং সংবাদ মাধ্যমে খোঁজ করতে হবে। বিষয়বস্তু নির্মাতার কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে সে সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। বিষয়বস্তু তৈরি করার সময় নির্মাতা তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মিথ্যা মতামতকে সত্য হিসাবে উপস্থাপন করতে পারে। বিষয়বস্তুটি সমাজের কারো উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না তা চিন্তা করতে হবে। টাকার বিনিময়ে যদি তুমি কোন কিছু শেয়ার বা পোষ্ট করো, তবে তুমি অনিচ্ছাকৃতভাবে সমাজের ক্ষতি করছো।
আরও জানুন তথ্যের সঠিকতা, নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইবাছাই করার প্রক্রিয়া/কৌশল/ ধাপসমূহ
                            তথ্যের সঠিকতা, নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইবাছাই করার প্রক্রিয়া/কৌশল/ ধাপসমূহ
                            বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বিপ্লবের এ সময়ে নতুন শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভুয়া খবর বা ফেক নিউজ ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি। যে কোনো আলোচিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুয়া খবর ভাইরাল হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। ভুয়া খবরের কারণে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা, সংঘাত, হানাহানি থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আবার ভূয়া খবর বা বার্তার মাধ্যমে স্প্যাম ছড়িয়ে ঘটতে পারে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি, তথ্য চুরি, প্রাইভেসি বিনষ্ট হওয়ার মত নানাবিধ সমস্যা। তাই ভূয়া খবর সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। যেকোন তথ্য প্রকাশ বা শেয়ার করার আগে তথ্যের সঠিকতা যাচাই বাছাই করে নিতে হবে। তথ্যের সঠিকতা যাচাই বাছাই করার কৌশল: নিম্নলিখিত বিষয়গুলো ভালো করে খেয়াল করলেই তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। সন্দেহজনক শিরোনাম: কোন খবরের শিরোনাম বেশি চিত্তাকর্ষক হলে এবং তাতে অত্যাধিক বিস্ময় সূচক বা প্রশ্ন চিহ্ন থাকলে সতর্ক হতে হবে। এমনকি, হেডলাইনের শব্দগুলি যদি অত্যাধিক বোল্ড-এ লেখা থাকে ও অবিশ্বাস্য কিছু দাবি করা হয়, তাহলে এগুলি ফেক নিউজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।ইউআরএল”টি ভালো করে চেক করে নাও: সাধারণত কোন ভূয়া ওয়েবসাইট থেকে বা প্রতিষ্ঠিত কোন ওয়েব সাইটের কাছাকাছি নামে নতুন ওয়েব সাইট করে সেখান থেকে ফেক নিউজ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর সন্দেহজনক মনে হলে ওয়েব সাইটটির বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। বিশ্বের ওয়েবসাইট ঠিকানার বিষয়াদি দেখভাল করে থাকে আইক্যান (ICANN)। কোন ওয়েবসাইট নিয়ে তোমার সন্দেহ হলে, আইক্যানের ডোমেইন অনুসন্ধান পাতায় গিয়ে তাদের ওয়েবসাইট ঠিকানাটি লিখে দাও বা পেস্ট করো।https://whois.icann.org/en এই পাতায় গিয়ে ওয়েবসাইটটি কবে তৈরি হয়েছে, কে তৈরি করেছে ইত্যাদি দেখতে পাবে। সাধারণত ভূয়া ওয়েব সাইটের নির্মাতাদের পরিচয় লুকানো থাকে এবং অসম্পূর্ণ তথ্য থাকে। ছবি যাচাই: অনেক সময় পুরানো কোন ছবি এডিট করে ভূয়া তথ্য ছড়ানোর সহায়ক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তাই সন্দেহজনক খবরের সাথে কোন ছবি থাকলে তা যাচাই করতে হবে। ছবি যাচাই করার জন্য https://images.google.com/ ঠিকানায় গিয়ে ছবি বা ছবির লিংকটি সার্চ মেনুতে প্রদান করতে হবে। সেখান থেকেই জানা যাবে ছবিটি প্রথম কবে এবং কী প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়েছিল। এভাবে ছবির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। সংবাদ মাধ্যমে যাচাই: সন্দেহজনক কোন ঘটনার তারিখ খেয়াল করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমে ঐ তারিখে ঘটনাটি সার্চ দিতে হবে। প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সন্দেহজনক ঘটনাটির কোন তথ্য না থাকলে ঘটনাটিকে মোটামুটি ভুয়া হিসেবে শনাক্ত করা যেতে পারে।
আরও জানুন ভুয়া তথ্য শনাক্তরণ ও রিপোর্ট করার পদ্ধতি
                            ভুয়া তথ্য শনাক্তরণ ও রিপোর্ট করার পদ্ধতি
                            দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারিয়া ২০১৮ সালের এক বিকেলে ফেসবুকে এক বন্ধুর পোস্ট দেখে জানতে পারে যে, ‘মি. বিন’ -খ্যাত জনপ্রিয় ব্রিটিশ অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসন মারা গিয়েছেন। প্রিয় তারকার মৃত্যুতে শোকাহত মারিয়া তথ্যটির সত্যতা যাচাই না করেই, গুগল থেকে রোয়ান অ্যাটকিনসনের কিছু ছবি সংগ্রহ করে এবং এর সাথে কিছু আবেগঘন কথা সংযুক্ত করে রোয়ান অ্যাটকিনসন স্মরণে একটি পোস্ট করে। পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং কয়েকঘন্টার মধ্যেই দেশ-বিদেশের লক্ষাধিক মানুষের কাছে পোস্টটি পৌছে যায়। এবং ঘটনাক্রমে তা পৌঁছায় রোয়ান অ্যাটকিনসনের কাছে ও।বিব্রত রোয়ান অ্যাটকিনসন সকলের ভুল ভাঙাতে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে আসেন। এতে করে ভুয়া তথ্যের অসত্যতা প্রকাশ পায়। মারিয়া উপলব্ধি করে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভুয়া তথ্য সনাক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। এসব ভুয়া তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট করার সঠিক পদ্ধতি জানা ও প্রয়োগ করা গেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া তথ্যের বিস্তার হ্রাস করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি এর ফলে অনাকাঙ্খিত অনেক সমস্যা থেকেও বাঁচা যাবে।মারিয়ার মতো এধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না পড়তে চাইলে তোমাকে ভুয়া তথ্য সনাক্তকরণের উপায় গুলো জানতে হবে। যেমন- ১। উৎসটি যাচাই করা- ফেসবুকে বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভুয়া তথ্যগুলির শিরোনাম তোমাকে আকৃষ্ট করতে পারে। তবে বিভিন্ন রঙচঙা শিরোনামের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার সাথে সাথেই তা শেয়ার করে ছড়িয়ে দেওয়ার আগে অবশ্যই উৎসটি যাচাই করে নিতে হবে।২। নিশ্চিতকরণের জন্য গুগলের সাহায্য নেওয়া- কোনো তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার পূর্বে তার সত্যতা নিশ্চিত করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে, তোমরা গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তা নিয়ে বিভিন্ন তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারবে।৩। প্রমাণাদি যাচাই-বাছাইকরণ- বিভিন্ন প্রমাণাদি যাচাই করার মাধ্যমে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য সূত্র, সংবাদ মাধ্যম এবং তথ্যের উৎস যাচাই করার মাধ্যমে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ৪। বিরতি নাও – ইন্টারনেট বা অনলাইনে কোনো তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া, তথ্যটি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানানো কিংবা মনোভাব প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ হলো ‘একটু বিরতি নেওয়া’। কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে একটু থেমে চিন্তা ভাবনা গুছিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি রক্ষা করা সহজ হয়। এতে করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করার জন্যও কিছুটা সময় পাওয়া যায়।উল্লেখিত পদক্ষেপ গুলির সাহায্যে তথ্যের সত্যতা যাচাই-বাছাইকরণের মাধ্যমে ভুয়া তথ্য সনাক্ত করণ সম্ভব। এর পাশাপাশি কোনো ভুয়া তথ্য সামনে আসলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট করা একজন সচেতন নাগরিকের বৈশিষ্ট্য। নিচের পদক্ষেপগুলির সাহায্যে ভুয়া তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট করা যায়। পদক্ষেপগুলি পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করতে হবে। যেমন-১। তুমি যে পোস্ট, ছবি, বা তথ্যকে মিথ্যা হিসাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে চাও সেটির ডান পাশের ( … ) তিনফোটা দেওয়া চিহ্নে ক্লিক করতে হবে।২। এবার তোমার স্ক্রিনে একটি ডায়লগ পৃষ্ঠা আসবে যেখানে পোস্ট, ছবি, বা তথ্যটি সেভ করা, লুকিয়ে (হাইড) ফেলা, রিপোর্ট করা ইত্যাদি অপশন আসবে।৩। তোমাকে ‘রিপোর্ট পোস্ট’ অপশনটি বাছাই করতে হবে।৪। ফলে তোমার স্ক্রিনে নতুন আরেকটি ডায়লগ পৃষ্ঠা আসবে যেখানে রিপোর্ট করার অপশন হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরি দেওয়া থাকবে।৫। প্রদত্ত ক্যাটাগরিসমূহের মধ্যে ‘মিথ্যা তথ্য’ ক্যাটাগরিটি বাছাই করতে হবে।৬। ফলে তোমার স্ক্রিনে নতুন আরেকটি ডায়লগ পৃষ্ঠা আসবে। সেখানে ‘সম্পন্ন করুন’ অপশনটি বাছাই করার মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।
আরও জানুন ভুয়া ওয়েবসাইট, অনলাইন সেবা ও মোবাইল আ্যপ শনাক্তরণ ও রিপোর্ট করার পদ্ধতি
                            ভুয়া ওয়েবসাইট, অনলাইন সেবা ও মোবাইল আ্যপ শনাক্তরণ ও রিপোর্ট করার পদ্ধতি
                            বিশ্বায়নের এই যুগে দৈনন্দিন জীবনের বেশিরভাগ কাজই সম্পন্ন হচ্ছে ইন্টারনেটের সাহায্যে। ইন্টারনেটভিত্তিক পরিষেবা সমূহ সাধারণত কোনো ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপের সাহায্যে প্রদান করা হয়ে থাকে। এই সকল ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপের উৎস, তথ্য অথবা বিষয়াবলী অনেক সময়ে বিভ্রান্তিমূলক হতে পারে। অনেক সময়ে দুষ্টু মানুষেরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে বাজারে নিয়ে আসে। এসকল পরিষেবা গ্রহণ করলে তথ্য চুরি, ফিশিং, হ্যাকিং ইত্যাদির মতো অনলাইনভিত্তিক ঝুঁকির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আবশ্যিকভাবে ভুয়া ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং সেবা সনাক্তকরণ ও রিপোর্ট করার পদ্ধতি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা উচিৎ।ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়-১। URL তথা লিঙ্কটিতে কোনো ভুল বানান আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। ভুল বানান সম্পৃক্ত লিঙ্কগুলি সাধারণত ভুয়া হয়। যেমন- amaz0n.com (‘O’ এর পরিবর্তে ‘0’) ২। সাইট সিল পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সাধারণত ভুয়া ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে সাইট সিলগুলিতে ক্লিক করলে কোনো ডায়লগ বার আসে না।(সাইট সিল হল দৃশ্যমান একধরণের সূচক যা একটি ওয়েবসাইট এনক্রিপ্ট করা হয়েছে কী না তা নির্দেশ করে। আর এনক্রিপ্ট হওয়া যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য যথার্থতা নির্দেশ করে।)৩। ‘তালা’ চিহ্ন দেখে শনাক্ত করতে হবে। মৌলিক ওয়েবসাইট গুলোর URL এর পূর্বে একটি ‘তালা’ প্রতীক বা চিহ্ন থাকে। এটি সার্ভারের সাথে যোগাযোগের গোপণীয়তা নিশ্চিত করে।৪। ওয়েবসাইট চেকারের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি চালিয়ে দেখতে হবে। বহুল ব্যবহৃত ওয়েবসাইট চেকারের মধ্যে পিংডম (Pingdom), গুগল পেজ স্পিড ইনসাইট (Google Page Speed Insight), ওয়েবসাইট গ্রেডার (Website Grader), আপট্রেন্ডস (Uptrends), ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।৫। এছাড়াও আরো কিছু উপায়ে ওয়েবসাইটের যথার্থতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। যেমন-- ওয়েবসাইটটির প্রাইভেসি পলিসি পর্যবেক্ষণ করে- যোগাযোগের তথ্যাবলি পর্যবেক্ষণ করে- ওয়েবসাইটের বিষয়াবলিতে ব্যাকরণগত অথবা বানান ভুল থাকলে- গুগলে ‘নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের’ রিভিউ পড়েউল্লেখিত পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই ভুয়া ওয়েবসাইট চেনা সম্ভব। ভুয়া ওয়েবসাইট শনাক্ত করার পরে প্রাথমিক কাজ হলো তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট করা। যেকোনো ক্ষতিকর, সন্দেহজনক অথবা ভুয়া ওয়েবসাইট তুমি গুগল, মাইক্রোসফট, এবং বিভিন্ন এন্টি ভাইরাস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের (নর্টন, ক্যাস্পারস্কি, ম্যাকাফি প্রভৃত্তি) নিকট রিপোর্ট করতে পারবে। গুগলে কোনো সন্দেহজনক ভুয়া ওয়েবসাইট রিপোর্ট করার জন্য তুমি নিম্নে বর্ণিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারো। যেমন- ভুয়া ওয়েবসাইট রিপোর্ট করতে করণীয়-১। প্রথমে ‘নিরাপদ ব্রাউজিং রিপোর্ট পৃষ্ঠায়’ যেতে হবে। এক্ষেত্রে https://safebrowsing.google.com/safebrowsing/report_badware/ লিঙ্কটি ব্যবহার করতে হবে।২। স্ক্রিনে প্রদত্ত নির্দিষ্ট ঘরে ‘ক্ষতিকর/সন্দেহজনক ওয়েবসাইটের URL (লিঙ্ক) টি লিখতে হবে।৩। ক্যাপচা (CAPTCHA) প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। এটি সম্পন্ন করতে ‘আমি রোবট নই’ লেখাটির পাশের ঘরে ক্লিক করতে হবে।৪। নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটটি রিপোর্ট করার পিছনে তোমার কারণগুলি লিখতে নির্দিষ্ট একটি ঘর থাকবে। সেখানে ওয়েবসাইটটি সম্পর্কে তোমার অভিযোগ জানাতে পারবে। (এই পর্যায়টি ঐচ্ছিক, এবং চাইলে বাদ দেওয়ার সুযোগ আছে)৫। এবারে ‘রিপোর্ট জমা দিন’ লেখাটিতে ক্লিক করলেই তোমার রিপোর্টটি সম্পন্ন হবে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ভুয়া ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ভুয়া অ্যাপগুলিও বিড়ম্বনা সৃষ্টির একটি কারণ। তাই ভুয়া অ্যাপ শনাক্ত করা ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট করার প্রক্রিয়াগুলি জানা ও প্রয়োগ করার মাধ্যমে ইন্টারনেটের সচেতন ব্যবহার নিশ্চিত করা যেতে পারে।ভুয়া অ্যাপ শনাক্ত করার উপায় –
আরও জানুন অ্যাপ স্টোর বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড বিষয়ে সর্তকতাবলি ও অ্যাপে ডাটা সংরক্ষণ বিষয়ে সতর্কতা/করণীয়
                            অ্যাপ স্টোর বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড বিষয়ে সর্তকতাবলি ও অ্যাপে ডাটা সংরক্ষণ বিষয়ে সতর্কতা/করণীয়
                            ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাপ জীবনকে করছে সহজ ও গতিশীল। শুধুমাত্র স্মার্টফোনই নয়, স্মার্ট টিভি, স্মার্ট ঘড়ি এগুলোর জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে অসংখ্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা ও ব্যবহার যেমনি দিন দিন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে এগুলো ব্যবহারের ঝুঁকি। যে কোন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন না করলে মোবাইলের সকল তথ্য চুরি হওয়া ছাড়াও মোবাইল ও মোবাইলে ব্যবহৃত বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। তাই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সময় যে সকল সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত সেগুলো হচ্ছে -১) গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাপের নাম দিয়ে সার্চ দিলে একই নামে একাধিক অ্যাপ সামনে চলে আসতে পারে এবং এর ভিতরে ভুয়া অ্যাপ থাকার সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে অ্যাপের রিভিউ (অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মতামত) এবং ডিসক্রিপশন (বিবরণ) পড়তে হবে। অনেক অ্যাপে পেইড রিভিউ দেখতে পাওয়া যায়। ভালো মত খেয়াল করলেই বুঝতে পারা যাবে কোনটি পেইড রিভিউ আর কোনটি নিয়মিত ব্যবহারকারীর রিভিউ।২) যে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় অবশ্যই আপডেটেড অ্যান্টি-ভাইরাস সচল রাখতে হবে।৩) ফ্রি অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় অন্য কোন অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার বা ফাইল ডাউনলোড হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই ধরনের সফটওয়্যার ও ফাইল অবশ্যই ডিলিট করতে হবে এবং কোন অবস্থাতেই সেগুলো ইনস্টল করা যাবে না।৪) যে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে প্লে স্টোরের ডিসক্রিপশন পেইজে “এডিটরস চয়েস” অথবা “টপ ডেভেলপার” জাতীয় ট্যাগলাইন থাকলে সেটি আসল অ্যাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ডেভেলপারের ওয়েবসাইট ভিজিট করে অ্যাপটির বিষয়ে আরো নিশ্চিত হয়ে নিতে পারবেন।৫) ইনস্টল করার সময় যে কাজের জন্য অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে তা বাদে যদি অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারে অনুমতি চায় (যেমন- হিসাব-নিকাশের একটি অ্যাপ ইন্সটল করার সময় যদি আপনার মোবাইলের ক্যামেরা, মাইক্রোফোন বা ছবিতে প্রবেশ অধিকার চায়) তাহলে ঐ অ্যাপটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। এই ধরনের অ্যাপ আন-ইনস্টল করে দিন। দিন দিন ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় অল্প সময়ের কাজেই মোবাইল ডাটা অনেকখানি খরচ হয়ে যায়। মোবাইলের ডাটা খরচ কমানোর জন্য তাই অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত করে দিচ্ছেন। কিন্তু একটু সতর্ক হলেই মোবাইলের ডাটা সংরক্ষণ করা সম্ভব। এজন্য নিচের বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখা জরুরী - ১) গুগল ক্রোম ব্রাউজারে ডাটা সেভার নামে একটি ফিচার আছে। এই ফিচারটি চালু করলে গুগল ক্রোম বিভিন্ন ছবি ও ওয়েব সাইটের তথ্য সংকুচিত করে প্রদর্শন করবে। ফলে মোবাইল ডাটা সঞ্চয় করা সহজ হবে। এই সুবিধাটি পাওয়ার জন্য গুগল ক্রোমের সেটিংসে প্রবেশ করে ডাটা সেভার অপশনটি চালু করতে হবে।২) অনলাইনে অডিও/ভিডিও প্লে করার ক্ষেত্রে অডিও/ভিডিওয়ের কোয়ালিটি যদি গুরুত্বপূর্ণ না হয় তবে তা একদম কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডাটা সাশ্রয় হবে। ফেইসবুক, ইনস্টাগ্র্যাম ও টুইটার অ্যাপের সেটিংসে এই সুবিধা পাওয়া যায়।৩) বর্তমানে বিভিন্ন অ্যাপের লাইট ভার্সন প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো ব্যবহার করলে প্রচুর ডাটা সাশ্রয় করা সম্ভব।৪) বেশিরভাগ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যাকগ্রাউন্ডে সচল থাকে। এর ফলে প্রচুর মোবাইল ডাটা অপচয় হয়। ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা রেস্ট্রিক্ট করে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এজন্য এই ধাপটি অনুসরণ করুন: Settings > Data Usage > Tap on the menu button > Restrict background data > OK.৫) ম্যাপ/মিউজিক/ভিডিও প্রভৃতি ডাউনলোড করে অফলাইনে উপভোগ করার সুযোগ থাকলে ইন্টারনেটে অযথা এগুলো প্লে করে মোবাইল ডাটা অপচয় করার প্রয়োজন নেই।
আরও জানুন