Issue area ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন পরিচতি

ব্রাউজার:আপনার ডিজিটাল ডিভাইসের (কম্পিউটার, স্মার্টফোন ইত্যাদি) অনেকগুলো সুবিধার মধ্যে একটি হচ্ছে মোবাইল ডাটা বা ওয়াই-ফাই থাকলে আপনি যখন তখন ইন্টারনেটে যুক্ত হতে পারছেন। ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগের ফলে বিশ্বের অনেক কিছুই আমাদের হাতে চলে আসে। তবে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে হলে কিছু প্রক্রিয়া আছে। ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বিষয়। এই দুইটি সম্পূর্ণ আলাদা হলেও অনেকেই এগুলো একই বলে মনে করেন। তাই ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিনের ব্যাপারে সবারই স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার।উদাহরণস্বরূপ – আধুনিক কৃষি তথ্য সেবা সহজলভ্যকরণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার “কৃষি তথ্য সার্ভিস” নামে একটি ওয়েবসাইট (https://www.ais.gov.bd/) চালু করেছেন। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যে কেউ কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। কিন্তু আপনি কীভাবে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন?ওয়েবসাইটসমূহে প্রবেশ করার জন্য নির্দিষ্ট ধরনের অ্যাপ/সফটওয়্যার আছে। এই অ্যাপ/সফটওয়্যার চালু করে প্রয়োজন অনুযায়ী ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। সুতরাং, ব্রাউজার হচ্ছে এমন অ্যাপ বা সফটওয়্যার যা ডিভাইসে ইনস্টল করে ইন্টারনেটে প্রবেশ করা যায় এবং বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করা যায়। ব্রাউজার থাকলে আপনি ইন্টারনেটের বিশাল তথ্য ভাণ্ডারে প্রবেশ করতে পারবেন এবং তথ্য অনুসন্ধান (ব্রাউজিং) করতে পারবেন। কয়েকটি সুপরিচিত ব্রাউজার হচ্ছে : গুগল ক্রোম, মোজিলা ফায়ারফক্স, মাইক্রোসফট এজ, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইত্যাদি। সার্চ ইঞ্জিন:আবার ধরা যাক, কেউ একজন কৃষি সংক্রান্ত কোন নির্দিষ্ট তথ্য জানতে চান। কিন্তু তিনি জানেন না যে কোন ওয়েবসাইটে এসব তথ্য তিনি খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে করণীয় কি হতে পারে?যে কোন ব্রাউজার চালু করে সার্চ বক্সে ‘কৃষি তথ্য’ লিখে খোঁজ করলেই এই সংক্রান্ত এই সংক্রান্ত তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট ওয়েব লিঙ্ক তার সামনে চলে আসবে। এমনকি https://www.ais.gov.bd/ ওয়েবসাইটটির সন্ধানও পাওয়া যাবে।অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন এমন ধরনের সফটওয়্যার যা ইন্টারনেট থেকে আমাদের চাহিদামাফিক তথ্য খুঁজে দেয়। এই তথ্য খুঁজে বের করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন সার্চ বক্সে লিখিত বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড এবং বাক্যাংশ ব্যবহার করে থাকে। বহুল পরিচিত কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের নাম হচ্ছে – গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি।

আরও জানুন
Issue area কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে কার্যকরভাবে তথ্য অনুসন্ধান পদ্ধতি

ইন্টারনেটকে তথ্যের মহাসাগর বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। এই অগণিত তথ্যের মধ্যে থেকে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক তথ্য খুঁজে বের করতে তাই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। তা না হলে তথ্যের মহাসাগরে হারিয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।   ইন্টারনেটে তথ্যের এই বিশাল ভাণ্ডার থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য বের করার কিছু কৌশল এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে -  ১. জোড় উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করামনে করুন, বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জ মার্কেট সম্পর্কে আপনার কিছু তথ্য প্রয়োজন। এজন্য আপনি গুগলে সার্চ করলেন। এখন বিভিন্ন ওয়েব সাইট ও ব্লগে ‘বাংলাদেশের’, ‘স্টক’, ‘এক্সচেঞ্জ’ ও ‘মার্কেট’ সম্পর্কিত যত তথ্য আছে গুগল তা প্রদর্শন করবে। এগুলোর মধ্যে এমন বহু তথ্য থাকবে যা আসলে আপনার কোন দরকারই নেই। এখন বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জ মার্কেট শব্দগুলোকে যদি জোড় উদ্ধৃতি চিহ্ন (“ ”) ব্যবহার করে (“বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জ মার্কেট”) লিখে গুগলে সার্চ করা হয় তবে গুগল কেবল বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জ মার্কেট সম্পর্কিত তথ্যগুলোই প্রদর্শন করবে।   ২. নির্দিষ্ট কোন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য খোঁজাকখনো এমন হতে পারে, যে তথ্যটি আপনার প্রয়োজন তা কোন ওয়েবসাইটে আছে তা আপনি জানেন কিন্তু এখন খুঁজে পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে কি-ওয়ার্ডের সাথে ওয়েব সাইটের ঠিকানা লিখে সার্চ করলে গুগল ঐ ওয়েবসাইটে সার্চ করে তথ্যটি আপনার সামনে তুলে ধরবে। যেমন - বা্ংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে কম্পিউটার সম্পর্কিত কী কী সেবা আছে তা খুঁজে পেতে “কম্পিউটার সেবা site: bcc.gov.bd” লিখে সার্চ দিতে হবে।  ৩. নির্দিষ্ট ফরমেটের ফাইল খোঁজাগুগলে ওয়েবপেইজ বা তথ্যের সাথে সাথে চাইলে নির্দিষ্ট ফরমেটের ফাইলও খুঁজে বের করা যায়। তবে ফাইলটি অবশ্যই কোনো ওয়েবসাইটে যুক্ত থাকতে হবে। আপনি হয়তো পিডিএফ আকারে ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত কোন বই বা তথ্য খুঁজতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে “Business filetype:pdf” লিখে সার্চ করতে হবে। তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত সকল পিডিএফ ফাইল গুগল প্রদর্শন করবে।  ৪. একই নামে একাধিক ধরনের তথ্য থাকলে নির্দিষ্ট তথ্য খোঁজাসঠিকভাবে তথ্যের অনুসন্ধান করতে না পারলে সার্চ ইঞ্জিন কোনো কোনো সময় অতিরিক্ত তথ্য দেখাতে পারে। যেমন আপনি হয়তো বাংলাদেশের জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে জানতে চান। সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। অনেকগুলো চলচ্চিত্রের নির্মাতাও ছিলেন তিনি। এখন ধরুন, আপনি হুমায়ূন আহমেদ এবং তার লেখা বই সম্পর্কে তথ্য চাচ্ছেন এবং তার নির্মিত চলচ্চিত্র সম্পর্কে তথ্যের কোন প্রয়োজন আপনার নেই । তাহলে, book এর আগে একটা যোগ চিহ্ন এবং movie এর আগে একটা বিয়োগ চিহ্ন বসিয়ে এভাবে লিখে সার্চ করুন “হুমায়ূন আহমেদ +book -movie”। ৫. নির্দিষ্ট সময়ের তথ্য খোঁজার কৌশলগুগলে তথ্য খোঁজার একটা সমস্যা হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে কোনো কোনো ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টের শুরুতেই প্রদর্শিত হতে পারে। ওয়েবসাইটটি বহুদিন আগে তৈরি করা হয়েছে নাকি সাম্প্রতিক, তা তখন গুরুত্ব পায় না। সাম্প্রতিক তথ্য পাওয়ার একটা উপায় আছে গুগলে। যখন কিছু সার্চ করা হয়, তখন অন্যান্য অপশনের সঙ্গে Tools নামে একটি অপশন থাকে সার্চ রেজাল্ট পেইজে। টুলসে ক্লিক করলে ‘Any time’ অর্থাৎ যেকোনো সময়ের তথ্যের অপশন আসবে। এটি বদলে গত এক ঘণ্টা, এক দিন, এক সপ্তাহ, এক মাস কিংবা এক বছর করে দিন। আবার চাইলে নির্দিষ্ট দুটি তারিখের মধ্যে যত তথ্য আছে সেগুলো দেখতে Custom range-এ ক্লিক করে From ও To ঘরে তারিখ বসাতে পারেন। তাহলে কেবল উল্লেখিত সময়ের তথ্যই দেখতে পাবেন। ৬. ছবি সম্পর্কে তথ্য পাওয়াতথ্য খোঁজার পাশাপাশি গুগলে ছবি, ভিডিও, খবর, মানচিত্র, বই ইত্যাদি খোঁজা যায়। এদের মধ্যে বিশেষ করে গুগল ইমেজ সার্চ খুবই সহায়ক। আপনি চাইলে গুগলে ছবি আপলোড করে কিংবা ছবির লিংক দিয়ে একই ধরনের আরও ছবি খুঁজতে পারেন। এজন্য কম্পিউটার থেকে গুগল ইমেজে (images.google.com) গিয়ে সার্চ বারের ডান দিকের ক্যামেরা শাটার আইকনে ক্লিক করুন। এবার এখানে কোন ছবির লিংক পেস্ট করে অথবা ‘আপলোড অ্যান ইমেজ’ অপশনে ক্লিক করে কম্পিউটার থেকে নির্দিষ্ট ছবিটি আপলোড করুন। এভাবে সার্চ করলে প্রদত্ত ছবির মতো আরো যেসব ছবি আছে সেগুলো গুগল প্রদর্শন করবে।

আরও জানুন
Issue area তথ্যের সত্যাসত্য এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাইবাছাই করার প্রয়োজনীয়তা

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো তথ্য। তথ্যের সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তবে একটি বিষয়ে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে যে তথ্যটি সঠিক/সত্য কিনা। সঠিক তথ্য যেমন বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে, ঠিক তেমনি ভুল তথ্য অনেক বড় বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক তথ্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, মিথ্যা বা ভুল তথ্য তেমন ক্ষতিকর। ভুল তথ্য শেয়ারের ফলেমিথ্যা বা ভুল তথ্যের কারণে মানুষ প্রতারিত হতে পারে, মানুষের ভিতরে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়তে পারে, সামাজিক ও রাজনৈতিক হানাহানি, সংঘাত এমন কি প্রাণহানিও ঘটতে পারে। আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি বা সামাজিকভাবে হেয় হওয়া সহ আরও অনেক সমস্যার উদ্ভব ঘটতে পারে । এজন্য কোন তথ্য প্রকাশ বা শেয়ারের আগে তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আপনি যখন কোন তথ্য পোস্ট বা শেয়ার করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কোনো কিছু পোস্ট বা শেয়ার করার আগে আপনাকে তথ্যের নির্ভুলতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে নিন। এছাড়া এই তথ্য শেয়ারের কোন ঝুঁকি আছে কিনা, এর ফলে কোন বিভ্রান্তি, ভুল বোঝাবুঝি বা সংঘাতের সৃষ্টি হবে কিনা এসব বিষয়ও ভাবা দরকার। কেননা আপনার দেওয়া তথ্যে কোন ভুল থাকলে সমস্ত দায় আপনাকেই বহন করতে হবে। শেয়ার বা পোষ্ট করার পূর্বে বিষয়বস্তু সত্য কিনা তা যাচাই করতে অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং সংবাদ মাধ্যমে খোঁজ করতে হবে। বিষয়বস্তু নির্মাতার কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে সে সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। বিষয়বস্তু তৈরি করার সময় নির্মাতা তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মিথ্যা মতামতকে সত্য হিসাবে উপস্থাপন করতে পারে। তাই বিষয়বস্তুটি সমাজের কারো উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না তা চিন্তা করা অত্যন্ত জরুরী। টাকার বিনিময়ে যদি আপনি কোন কিছু শেয়ার বা পোষ্ট করে থাকেন, তাহলে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে সমাজের ক্ষতি করছেন। 

আরও জানুন
Issue area অ্যাপ স্টোর বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড বিষয়ে সর্তকতাবলি ও অ্যাপে ডাটা সংরক্ষণ বিষয়ে সতর্কতা/করণীয়

ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাপ জীবনকে করছে সহজ ও গতিশীল। শুধুমাত্র স্মার্টফোনই নয়, স্মার্ট টিভি, স্মার্ট ঘড়ি এগুলোর জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে অসংখ্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা ও ব্যবহার যেমনি দিন দিন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে এগুলো ব্যবহারের ঝুঁকি। যে কোন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন না করলে মোবাইলের সকল তথ্য চুরি হওয়া ছাড়াও মোবাইল ও মোবাইলে ব্যবহৃত বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। তাই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সময় যে সকল সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত সেগুলো হচ্ছে -১) গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাপের নাম দিয়ে সার্চ দিলে একই নামে একাধিক অ্যাপ সামনে চলে আসতে পারে এবং এর ভিতরে ভুয়া অ্যাপ থাকার সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে অ্যাপের রিভিউ (অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মতামত) এবং ডিসক্রিপশন (বিবরণ) পড়তে হবে। অনেক অ্যাপে পেইড রিভিউ দেখতে পাওয়া যায়। ভালো মত খেয়াল করলেই বুঝতে পারা যাবে কোনটি পেইড রিভিউ আর কোনটি নিয়মিত ব্যবহারকারীর রিভিউ।২) যে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় অবশ্যই আপডেটেড অ্যান্টি-ভাইরাস সচল রাখতে হবে।৩) ফ্রি অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় অন্য কোন অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার বা ফাইল ডাউনলোড হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই ধরনের সফটওয়্যার ও ফাইল অবশ্যই ডিলিট করতে হবে এবং কোন অবস্থাতেই সেগুলো ইনস্টল করা যাবে না।৪) যে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে প্লে স্টোরের ডিসক্রিপশন পেইজে “এডিটরস চয়েস” অথবা “টপ ডেভেলপার” জাতীয় ট্যাগলাইন থাকলে সেটি আসল অ্যাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ডেভেলপারের ওয়েবসাইট ভিজিট করে অ্যাপটির বিষয়ে আরো নিশ্চিত হয়ে নিতে পারবেন।৫) ইনস্টল করার সময় যে কাজের জন্য অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে তা বাদে যদি অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারে অনুমতি চায় (যেমন- হিসাব-নিকাশের একটি অ্যাপ ইন্সটল করার সময় যদি আপনার মোবাইলের ক্যামেরা, মাইক্রোফোন বা ছবিতে প্রবেশ অধিকার চায়) তাহলে ঐ অ্যাপটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। এই ধরনের অ্যাপ আন-ইনস্টল করে দিন। দিন দিন ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় অল্প সময়ের কাজেই মোবাইল ডাটা অনেকখানি খরচ হয়ে যায়। মোবাইলের ডাটা খরচ কমানোর জন্য তাই অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত করে দিচ্ছেন। কিন্তু একটু সতর্ক হলেই মোবাইলের ডাটা সংরক্ষণ করা সম্ভব। এজন্য নিচের বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখা জরুরী - ১) গুগল ক্রোম ব্রাউজারে ডাটা সেভার নামে একটি ফিচার আছে। এই ফিচারটি চালু করলে গুগল ক্রোম বিভিন্ন ছবি ও ওয়েব সাইটের তথ্য সংকুচিত করে প্রদর্শন করবে। ফলে মোবাইল ডাটা সঞ্চয় করা সহজ হবে। এই সুবিধাটি পাওয়ার জন্য গুগল ক্রোমের সেটিংসে প্রবেশ করে ডাটা সেভার অপশনটি চালু করতে হবে।২) অনলাইনে অডিও/ভিডিও প্লে করার ক্ষেত্রে অডিও/ভিডিওয়ের কোয়ালিটি যদি গুরুত্বপূর্ণ না হয় তবে তা একদম কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডাটা সাশ্রয় হবে। ফেইসবুক, ইনস্টাগ্র্যাম ও টুইটার অ্যাপের সেটিংসে এই সুবিধা পাওয়া যায়।৩) বর্তমানে বিভিন্ন অ্যাপের লাইট ভার্সন প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো ব্যবহার করলে প্রচুর ডাটা সাশ্রয় করা সম্ভব।৪) বেশিরভাগ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যাকগ্রাউন্ডে সচল থাকে। এর ফলে প্রচুর মোবাইল ডাটা অপচয় হয়। ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা রেস্ট্রিক্ট করে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এজন্য এই ধাপটি অনুসরণ করুন: Settings > Data Usage > Tap on the menu button > Restrict background data > OK.৫) ম্যাপ/মিউজিক/ভিডিও প্রভৃতি ডাউনলোড করে অফলাইনে উপভোগ করার সুযোগ থাকলে ইন্টারনেটে অযথা এগুলো প্লে করে মোবাইল ডাটা অপচয় করার প্রয়োজন নেই।  

আরও জানুন
Issue area ভুয়া তথ্য, ওয়েবসাইট, অনলাইন সেবা ও মোবাইল আ্যপ শনাক্তরণ

বিশ্বায়নের এই যুগে দৈনন্দিন জীবনের বেশিরভাগ কাজই সম্পন্ন হচ্ছে ইন্টারনেটের সাহায্যে। ইন্টারনেটভিত্তিক পরিষেবা সমূহ সাধারণত কোনো ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপের সাহায্যে প্রদান করা হয়ে থাকে। এই সকল ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপের উৎস, তথ্য অথবা বিষয়াবলী অনেক সময়ে বিভ্রান্তিমূলক হতে পারে। অনেকেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে বাজারে নিয়ে আসে। এসকল পরিষেবা গ্রহণ করলে তথ্য চুরি, ফিশিং, হ্যাকিং ইত্যাদির মতো অনলাইনভিত্তিক ঝুঁকির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আবশ্যিকভাবে ভুয়া ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং সেবা সনাক্তকরণ ও রিপোর্ট করার পদ্ধতি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা উচিৎ।ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়-১। URL তথা লিঙ্কটিতে কোনো ভুল বানান আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। ভুল বানান সম্পৃক্ত লিঙ্কগুলি সাধারণত ভুয়া হয়। যেমন- amaz0n.com (‘O’ এর পরিবর্তে ‘0’) ২। সাইট সিল পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সাধারণত ভুয়া ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে সাইট সিলগুলিতে ক্লিক করলে কোনো ডায়লগ বার আসে না। (সাইট সিল হল দৃশ্যমান একধরণের সূচক যা একটি ওয়েবসাইট এনক্রিপ্ট করা হয়েছে কী না তা নির্দেশ করে। আর এনক্রিপ্ট হওয়া যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য যথার্থতা নির্দেশ করে।)৩। ‘তালা’ চিহ্ন দেখে শনাক্ত করতে হবে। ওয়েবসাইট গুলোর URL এর পূর্বে একটি ‘তালা’ প্রতীক বা চিহ্ন থাকে। এটি সার্ভারের সাথে যোগাযোগের গোপনীয়তা নিশ্চিত করে।৪। ওয়েবসাইট চেকারের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি চালিয়ে দেখতে হবে। বহুল ব্যবহৃত ওয়েবসাইট চেকারের মধ্যে পিংডম (Pingdom), গুগল পেজ স্পিড ইনসাইট (Google Page Speed Insight), ওয়েবসাইট গ্রেডার (Website Grader), আপট্রেন্ডস (Uptrends) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।৫। এছাড়াও আরো কিছু উপায়ে ওয়েবসাইটের যথার্থতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। যেমন--         ওয়েবসাইটটির প্রাইভেসি পলিসি পর্যবেক্ষণ করে-         যোগাযোগের তথ্যাবলি পর্যবেক্ষণ করে-         ওয়েবসাইটের বিষয়াবলিতে ব্যাকরণগত অথবা বানান ভুল থাকলে-         গুগলে ‘নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের’ রিভিউ পড়েউল্লেখিত পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই ভুয়া ওয়েবসাইট চেনা সম্ভব। ভুয়া অ্যাপ শনাক্ত করার উপায় –১। অ্যাপের আইকনে কোনো খুঁত আছে কিনা দেখা। সাধারণত ভুয়া অ্যাপগুলি বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার করা আইকনকে আংশিক পরিবর্তন করে ব্যবহার করে থাকে। তাই কোন ভুয়া অ্যাপ চিনতে হলে অ্যাপের আইকনে খুঁত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।২। অ্যাপটির নামের বানান এবং এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।৩। অ্যাপটি কতবার ডাউনলোড হয়েছে সেই সংখ্যা দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভুয়া অ্যাপ সাধারণত কম সংখ্যক ডাউনলোড হয়ে থাকে।৪। অ্যাপটি সংক্রান্ত রিভিউগুলি পড়ে দেখতে হবে।৫। অ্যাপটির প্রকাশকাল, হালনাগাদের ইতিহাস এবং গুগল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রদত্ত অনুমোদন আছে কী না তা খতিয়ে দেখতে হবে।

আরও জানুন
Issue area প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা পদ্ধতি (আনফলো করা, আনইনস্টল করা, আনফ্রেন্ড করা, ব্লক করা, রিপোর্ট করা, ইত্যাদি

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাচ্ছে, তথ্যের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। অনেক তথ্যের মধ্যে থেকে সঠিক তথ্য খুঁজে বের করা যেমন কঠিন হয়ে যাচ্ছে, অন্য দিকে কিছু ভুল তথ্য মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার মানুষকে অনেক কাছাকাছি এনেছে, যোগাযোগের জন্য একটি সহজ পথ তৈরি করে দিয়েছে। কিন্তু সকলেই এই অনলাইন মাধ্যমগুলোর নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে চলে সঠিকভাবে ব্যবহার করছে ব্যপারটি এমন নয়। এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয় যারা অন্য মানুষের জন্য বিব্রতকর ও ক্ষতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে থাকেন।মনে রাখবেন, সবসময় এই জায়গাটিতে যে আপনার অভিজ্ঞতা সুখকর হবে ব্যাপারটি কিন্তু এমন না। আপনাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে যে যেকোনো সময় আপনাকে বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। আর এই ধরনের পরিস্থিতিগুলো সামলানোর জন্য আপনি দুই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। যথা:(১) প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা(২) প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাচলুন আজকে তাহলে আমরা কিছু পরিচিত ঘটনাগুলোর মাধ্যমে জেনে নিই কীভাবে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়লে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ঘটনা-১মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ছোট একটা গ্রামের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ের কাজে তাকে তার পাশের গ্রামের মানুষের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখতে হয়। এজন্য তার বন্ধুর পরামর্শে একটি ফেসবুকএকাউন্ট তৈরি করলেন এবং তার পরিচিত মানুষগুলোকে বন্ধু তালিকায় যোগ করলেন। একদিন তার কাছে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে একটি মেসেজ আসলো যেখানে তাকে তার ব্যবসা বন্ধ করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষণ পর তিনি খেয়াল করলেন সেই ব্যক্তিই তার সম্পর্কে আরো কিছু বাজে কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।এমন অবস্থায় মোঃ সাজ্জাদ হোসেন কী করতে পারেন?এমন অবস্থায় তিনি সে ব্যক্তির প্রোফাইলে গিয়ে তার পোস্টটি রিপোর্ট (report) করবেন। রিপোর্ট করার জন্য তার পোস্টটির উপরের ডানদিকে কোনায় তিনটি বিন্দু নির্বাচন করবেন। এর পরে Find Support or Report post অপশনে ক্লিক করে আপনি কেন Facebook পোস্ট বা ফটো রিপোর্ট করছেন তার কারণ নির্বাচন করে রিপোর্ট সাবমিট করবেন। পরবর্তীতে এমন মেসেজ বা বার্তা না পাওয়ার জন্য ব্যক্তিটির প্রোফাইলে গিয়ে Block অপশনে ক্লিক করে তাকে ব্লক করে দিতে পারেন। এতে করে মোঃ সাজ্জাদ হোসেনকে কখনোই সেই ব্যক্তি তার একাউন্টের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবে না।   ঘটনা-২ বাবুল মিয়া তার স্ত্রীর সাথে শহরে বসবাস করেন। তার ছেলে দেশের বাইরে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইল ডিভাইসে হোয়াটস্‌ অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখেন। কয়েকদিনের মাথায়ই খেয়াল করলেন কিছু অপরিচিত নাম্বার থেকে প্রায়ই কিছু ওয়েবসাইটের লিংকসহ মেসেজ আসতে থাকে। একদিন কৌতুহলবশত তিনি মেসেজ বা বার্তাটি পড়তে চাইলেন এবং দেখলেন সেখানে লেখা আছে “এই লিংকে প্রবেশ করলেই ৫ মিনিটের মধ্যে আপনার মোবাইল নাম্বারে ৫০ টাকা রিচার্জ“ হয়ে যাবে। তিনি সাথে সাথে লিংকে প্রবেশ করলে দেখলেন মোবাইল ফোনে নতুন একটা অ্যাপ ইনস্টল হয়ে গেছে এবং কোনো রিচার্জই তার ফোনে আসে নাই। এমন অবস্থায় বাবুল মিয়া কী করতে পারেন?এমন অবস্থায় তাকে যত দ্রুত সম্ভব নতুন অ্যাপটি আনইনস্টল করতে হবে। আনইনস্টল করার জন্য অ্যাপটি ওপেন করে অ্যাপটি হালকা করে চেপে ধরে রাখলে আনইনস্টল (Uninstall) করার অপশনটি আসবে । সেখানে অপশনটি ক্লিক করলেই অ্যাপটি আনইনস্টল হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, অনেক সময়ে অনেকেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে বাজারে নিয়ে আসে। এসকল পরিষেবা গ্রহণ করলে তথ্য চুরি, ফিশিং, হ্যাকিং ইত্যাদির মতো অনলাইনভিত্তিক ঝুঁকির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য আমাদের এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।পুনরায় এমন বার্তা যাতে বাবুল মিয়াকে না পেতে হয় এজন্য সেই ওই নাম্বারগুলোকে সিলেক্ট করে ব্লক করে দিতে পারেন। ব্লক করার জন্য হোয়াটস অ্যাপে যে নম্বর থেকে ম্যাসেজটি এসেছে সেই নম্বরটি ওপেন করতে হবে। এরপর মোবাইলের স্ক্রিণের ডানদিকে উপরে তিনটি বিন্দুর একটি আইকন পাওয়া যাবে। সেখানে ক্লিক করে মোর অপশনে গিয়ে ব্লক অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।  তাহলে সে এইরকম বিভ্রান্তিকর মেসেজগুলো পাবে না ।ঘটনাগুলো পড়ে আমরা বুঝতে পারলাম আমরা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি । এরকম অবস্থায় কোন বড় ধরনের ক্ষতির কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের পরিস্থিতি বুঝে যতদ্রুত সম্ভব উপরে উল্লেখিতে ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করতে হবে।  

আরও জানুন