Issue area শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস

তথ্য প্রযুক্তির এই ডিজিটাল যুগে ছোট ছেলেমেয়েরা শিশুরাও আকৃষ্ট হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি। তার আগ্রহ বাড়ছে আপনার হাতের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বা বাসার ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের প্রতি। কিন্তু শিশুর হাতে ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দিয়েই আপনার দায়িত্ব শেষ, যদি এমনটি ভেবে থাকেন তবে অনেক বড় ভুল করবেন আপনি। শিশুকে তার বয়স এবং চাহিদা অনুযায়ী উপযোগী কন্টেন্ট এর সন্ধান দিতে হবে আপনাকে। এখানে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয়ও, উপযোগী এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যের উৎসগুলো নীচে তুলে ধরা হলো:১। কিশোর বাতায়ন: মূলত ‍শিশু-কিশোরদের জন্য উপযোগী ওয়েব সাইট কিশোর বাতায়ন। কিশোর কিশোরীরা দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে http://konnect.edu.bd/ এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত যে কোন বিষয়ের অ্যাকাডেমিক পাঠ ও অ্যাসাইনমেন্ট করার সুযোগ পাবে। প্রিয় লেখকের বই পড়ার সুযোগ, মজার মজার কমিকস, জীবন দক্ষতা অর্জন, সৃজনশীল কাজ শেয়ার করাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইট থেকে। বাংলাদেশ সরকারের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এর একটি উদ্যোগ কিশোর বাতায়ন প্ল্যাটফর্মটি। ২০১৮ সালে এই উদ্যোগটির যাত্রা শুরু হয়।২। ইউনিসেফ: শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে ইউনিসেফ, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ক্ষেত্রে ইউনিসেফ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। বাংলাদেশের শিশুদের জন্মের পর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠা পর্যন্ত -- পুরো জীবনচক্র নিয়ে কাজ করে ইউনিসেফ বাংলাদেশ। https://www.unicef.org/bangladesh/ এই ওয়েব সাইটে গিয়ে শিশু জন্মের পর থেকে শিশুর খাদ্য ও পুষ্টি, বেড়ে ওঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশুর সুরক্ষা ইত্যাদি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এর বাইরেও শিশুর বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা করে থাকে ইউনিসেফ। এই গবেষণার ফলগুলো শিশুর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অভিভাবকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।৩। বেবী টিউব: শিশু-কিশোরদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ও সুস্থ বিনোদনের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ‘বেবিটিউব’। গুগল প্লেস্টোর থেকে বেবিটিউব অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে সহজেই। অ্যাপের পাশাপাশি সেবা পাওয়া যাবে বেবিটিউবের ওয়েবসাইটেও। বেবিটিউবে ইতোমধ্যে ছয়শর অধিক ভিডিও কনটেন্ট রয়েছে। একসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে খেলাধুলা, কার্টুন, পড়াশোনা, মুভি, নাটক, গেম, গান, গজল, ট্রাভেল, ব্লগ, টেকনোলজিসহ শিশু-কিশোরনির্ভর সব ধরনের কনটেন্ট।৪। ইউটিউব কিডস: ইউটিউবেরই শিশু উপযোগী ভার্সন হলো ইউটিউব কিডস যেখানে শিশুদের উপযোগী বিভিন্ন কন্টেন্ট রয়েছে। মোবাইল ফোনে ইউটিউব কিডস এর আলাদ অ্যাপ ব্যবহার করে বা ওয়েবসাইট থেকে ইউটিউব কিডস-এ গিয়ে এটি ব্যবহা করা যায়। এর সুবিধা হলো শিশুদের জন্যই তৈরি হওয়ায় কোন অযাচিত/অনাকাঙ্খিত কনটেন্ট এর সম্মুখীন হতে হয় না শিশুকে, তাছাড়া শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট ক্যাটাগরি, চ্যানেল থেকে শুরু করে সবকিছু অভিভাবকগণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এক্ষেত্রে। ৫। শিশুর জন্য প্রশাসনিক বা কোন ধরনের আইনি সহায়তার প্রয়োজোন হলে শিশু সহায়ক ফোন নন্বর ১০৯৮ নম্বরে ফোন করতে পারেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন টোল ফ্রি এই নম্বরে ফোন করলে সহজেই বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক ও আইনি সহায়তা পাওয়া যাবে।৬। সিমিপুর এবং দূরন্ত টিভি থেকেও শিশু বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়। সিসিমপুর (https://sisimpur.org.bd/)

আরও জানুন
Issue area শিশুদের প্রয়োজনীয় তথ্য খুজে বের করার কৌশল

শিশুর জন্মের পর প্রথম আট বছর তার বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল।এ সময়ে শিশুর যত্ন ও বেড়ে ওঠার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি খেয়াল করা প্রয়োজন। তবে শিশুর প্রথম তিন বছর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশুর প্রতি অবহেলা শিশুর বুদ্ধিবৃত্তি, আচরণ ও আবেগের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করে। কোন বয়সে শিশুর খাদ্য কেমন হওয়া উচিত, শিশুকে কি শেখানো উচিত, কি ধরনের খেলনা দেওয়া উচিত, কাদের সাথে মেলামেশা করা উচিত, শিশুকে কিভাবে সময় দেওয়া উচিত, কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে কি করা উচিত ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সুন্দর হবে। আর এই তথ্যগুলো সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব।মনে করুন আপনার বাচ্চার বয়স ৩ বছর। এখন তিন বছর বয়সী শিশুর খাদ্য কেমন হওয়া উচিত এ বিষয়ে আপনার তথ্য প্রয়োজন। আপনি সহজেই ইন্টারনেট থেকে এই তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন। ইন্টারনেট সংযোগ সম্পন্ন যে কোন ডিজিটাল ডিভাইসে গুগল সার্চ ইঞ্জিন চালু করে সেখানে লিখুন ৩ বছর বয়সী শিশুর খাবার। এরপর ইন্টার চাপলেই ৩ বছর বয়সী শিশুর খাবার কেমন হওয়া উচিত, এই খাবার তৈরীর প্রক্রিয়া, খাবারের দাম, কোথা থেকে কিনবেন ইত্যাদি তথ্য আপনার সামনে চলে আসবে। তবে আপনার উচিত হবে বহুল প্রচলিত ওয়েব সাইটের বা সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করা। একইভাবে আপনার সন্তানের বয়স যদি ৪ বা ৫ বছর হয় তবে সেই বয়সের শিশুর খেলনা বা শিক্ষা বা রোগের সম্পর্কে যদি আপনার কোন তথ্য প্রয়োজন হয় তবে সেটি গুগল সার্চ ইঞ্জিন চালু করে সেখানে লিখলেই আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেয়ে যাবেন। তবে আপনার উচিত হবে বহুল প্রচলিত ওয়েব সাইটের বা সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করা। শিশুর জন্য প্রশাসনিক বা কোন ধরনের আইনি সহায়তার প্রয়োজোন হলে শিশু সহায়ক ফোন নন্বর ১০৯৮ নম্বরে ফোন করতে পারেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন টোল ফ্রি এই নম্বরে ফোন করলে সহজেই বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক ও আইনি সহায়তা পাওয়া যাবে। এর বাইরে https://www.unicef.org/bangladesh/ এই ওয়েব সাইটেও শিশু বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য একসাথে একজায়গায় পাওয়া যাবে।   

আরও জানুন
Issue area ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন পরিচিতি ও ব্যবহার

ব্রাউজার কী?ডিজিটাল ডিভাইসের সাথে সাথে আপনার কাছে যদি ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তবে অনেককিছু  হাতের মুঠোয় চলে আসে ।  কিন্তু এর জন্য কিছু প্রক্রিয়া আছে। ইন্টারনেটে নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যার/অ্যাপ ব্যবহার করতে হয়।যেমন আপনার জেলা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আছে সরকারি ওয়েবসাইটে। আপনার জেলা যদি হয় যশোর তবে http://www.jessore.gov.bd/  এই ওয়েব সাইটে গিয়ে যশোর জেলার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। কিন্তু এই ওয়েবসাইটে কীভাবে যাবেন? ওয়েবসাইটের ঠিকানা কোথায় লিখবেন?বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যার আছে। যে কোন ওয়েব সাইটে প্রবেশের আগে ঐ নির্দিষ্ট সফটওয়্যার চালু করতে হবে। তারপর ঐ সফটওয়্যারের মাধ্যমে চাহিদামাফিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাবে।যে সফটওয়ার/অ্যাপ ব্যবহার করে ইন্টারনেটে প্রবেশ করা হয় তাকে ব্রাউজার বলে। ব্রাউজারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোন ওয়েবসাইট বা তথ্য অনুসন্ধান করার প্রক্রিয়াকে বলে ব্রাউজিং।গুগল ক্রোম, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, অপেরা, মজিলা ফায়ার ফক্স এগুলো ব্রাউজারের উদাহরণ। ব্রাউজার ব্যবহার করে তথ্য অনুসন্ধান-মনে করুন, কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইট http://www.ais.gov.bd/ থেকে মাছ চাষ সম্পর্কিত তথ্য আপনার প্রয়োজন। এই ঠিকানা অনেকেই জানতে পারে, কিন্তু কীভাবে এই ওয়েবসাইট দেখা যাবে, কীভাবে তথ্য পাওয়া যাবে এই সমস্যাগুলোর সমাধান পাওয়া যাবে ব্রাউজারের মাধমে। ব্রাউজার ব্যবহার করে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য প্রথমে গুগল ক্রোম, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বা যে কোন একটি ব্রাউজার চালু করতে হবে। এরপর সেই ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে http://www.ais.gov.bd/এই ঠিকানা লিখে ইন্টার চাপলেই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে এবং ওয়েব সাইট থেকে আপনি আপনার প্রয়ো্জনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। সার্চ ইঞ্জিন কী? এবং এর ব্যবহার।মনে করুন আপনার জেলা যশোর। এই জেলা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আপনার প্রয়োজন। কিন্তু তথ্যগুলো কোথায় পাওয়া যাবে তা আপনি জানেন না। সেক্ষেত্রে কী করবেন?ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে বের করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট বা সফটওয়ার আছে, এগুলোকে বলে সার্চ ইঞ্জিন। যে কোন একটি সার্চ ইঞ্জিন চালু করে সেখানে “যশোর জেলা” লিখে সার্চ দিলে http://www.jessore.gov.bd/   এই ওয়েব সাইটের সন্ধান পাওয়া যাবে। এভাবে সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে তথ্য অনুসন্ধান করা হয়।বিভিন্ন ধরনের তথ্যের সন্ধান করার জন্য যে সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করা হয় তাকে সার্চ ইঞ্জিন বলে। গুগল, ইয়াহু, বিং সার্চ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন এর উদাহরণ।শিশুদের জন্য উপযোগী কিছু সার্চ ইঞ্জিন হলো: https://www.safesearchkids.com/:  সেফ সার্চ কিডস হল Google এর একটি কাস্টম সার্চ ইঞ্জিন যার মাধ্যমে শিশু সহ সকল বয়সের মানুষ আরও নিরাপদে ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করতে পারে৷ অনলাইনের সম্ভাব্য ক্ষতিকারক উপাদানকে ব্লক করার জন্য এই সার্চ ইঞ্জিনে অতিরিক্ত একটি ফিল্টার যুক্ত করা হয়। কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে এই সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করা যায়। https://www.kiddle.co/: শিশুদের জন্য বিশেষভাবে লেখা নিরাপদ একটি ওয়েবসাইট www.kiddle.co। এই ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তুগুলো সহজ ভাষায় বাচ্চাদের উপযোগী করে লেখা হয়েছে।  

আরও জানুন
Issue area কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে তথ্য অনুসন্ধান

আপনার শহরের কোন একজনের বাসা খুঁজে বের করার জন্য ঐ ব্যক্তির নাম, এলাকার নাম, রোড নম্বর, বাসা নম্বর ইত্যাদি তথ্য আপনার প্রয়োজন হবে। এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে না পেলে ঐ বাসা খুঁজে বের করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে যে কারো জন্য। তেমনি ইন্টারনেট হলো কোটি কোটি তথ্যের সমুদ্র। তাই এই তথ্যের সমুদ্রের ভিতর থেকে সঠিক নিয়মে তথ্য অনুসন্ধান করা না হলে সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্য প্রয়োজন হয় সঠিকভাবে কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে তথ্য অনুসন্ধান। এখানে কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে তথ্য খোঁজার কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:  ১. জোড় উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার:মনে করুন, বাংলাদেশের নদী সম্পর্কে আপনার তথ্য প্রয়োজন। আপনি বাংলাদেশের নদী লিখে গুগলে সার্চ দিলেন। এখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ব্লগে ”বাংলাদেশ” এবং “নদী” সম্পর্কিত যত তথ্য আছে গুগল তা প্রদর্শন করবে। বাংলাদেশের খেলাধুলা, বাংলাদেশের রাস্তাঘাট, বাংলাদেশের রাজনীতি এসব তথ্যও যেমন গুগল প্রদর্শন করবে তেমনি কোলকাতার নদী, শ্রীলংকার নদী, নেপালের নদী এসব তথ্যও গুগল প্রদর্শন করবে। যা আপনার প্রয়োজন নেই। এখন বাংলাদেশের নদী শব্দ দুইটিকে যদি ”  “ জোড় উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করে “বাংলাদেশের নদী” এভাবে লিখে গুগলে সার্চ করা হয় তবে গুগল কেবল মাত্র বাংলাদেশের নদী সম্পর্কিত তথ্যগুলোই প্রদর্শন করবে। ২. নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে তথ্য পেতে যে তথ্যটি আপনার প্রয়োজন সেটি কোন ওয়েবসাইটে আছে তা আপনি জানেন কিন্তু এখন খুঁজে পাচ্ছেন না। এরকম ক্ষেত্রে কী ওয়ার্ডের সাথে ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখে সার্চ করলে গুগল শুধুমাত্র ঐ ওয়েব সাইটে সার্চ করে তথ্যটি আপনার সামনে তুলে ধরবে। যেমন নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এর ওয়েবসাইটে শিশু সম্পর্কিত কী কী তথ্য আছে তা খুজে পেতে “শিশু site: mowca.gov.bd” লিখে সার্চ দিতে হবে। ৩. নির্দিষ্ট ফরম্যাটের ফাইলগুগলে কেবল ওয়েবপেজ বা তথ্যই নয়, চাইলে নির্দিষ্ট ফরম্যাটের ফাইলও খোঁজা যায়। তবে সে ফাইল অবশ্যই কোনো ওয়েবসাইটে যুক্ত থাকতে হবে। আপনি হয়তো শিশুর বিকাশ বিষয়ক বই বা তথ্য চান পিডিএফ আকারে। সেক্ষেত্রে ”শিশুর বিকাশ filetype: pdf” লিখে সার্চ করতে হবে। তাহলে শিশুর বিকাশ সম্পর্কিত সকল পিডিএফ ফাইল গুগল আপনার সামনে প্রদর্শন করবে। ৪. একই নামে একাধিক ধরনের তথ্য থাকলেসঠিকভাবে তথ্যের অনুসন্ধান করতে না পারলে সার্চ ইঞ্জিন কোনো কোনো সময় অতিরিক্ত তথ্য দেখাতে পারে। যেমন আপনি হয়তো বাংলাদেশের জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে জানতে চান। সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। অনেকগুলো চলচ্চিত্রেরও নির্মাতা ছিলেন তিনি। এখন আপনি হুমায়ূন আহমেদ এবং তার লেখা বই সম্পর্কে তথ্য চান, তার নির্মিত চলচ্চিত্র সম্পর্কে তথ্যের কোন প্রয়োজন আপনার নেই । তাহলে, book-এর আগে একটা যোগ চিহ্ন এবং movie-এর আগে একটা বিয়োগ চিহ্ন বসিয়ে দিন। এভাবে লিখে সার্চ দিতে হবে ‘হুমায়ূন আহমেদ +book -movie’।৫. নির্দিষ্ট সময়ের তথ্য খোঁজার কৌশলগুগলে তথ্য খোঁজার একটা সমস্যা হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে কোনো কোনো ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টে আগে দেখাতে পারে। সেই ওয়েবসাইটটি বহুদিন আগে তৈরি করা হয়েছে, নাকি সাম্প্রতিক, তা তখন গুরুত্ব পায় না। সাম্প্রতিক তথ্য পাওয়ার একটা উপায় আছে গুগলে। যখন কিছু সার্চ করা হয়, তখন অন্যান্য অপশনের সঙ্গে Tools নামে একটি বোতাম থাকে সার্চ রেজাল্ট পেজে। টুলসে ক্লিক করলে Any time অর্থাৎ যেকোনো সময়ের তথ্যের অপশন বদলে গত এক ঘণ্টা, এক দিন, এক সপ্তাহ, এক মাস কিংবা এক বছর করে দিন। আবার চাইলে নির্দিষ্ট দুটি তারিখের মধ্যে যত তথ্য আছে, সেগুলো দেখতে Custom range-এ ক্লিক করে From ও To ঘরে তারিখ বসিয়ে দিন। তাহলে উল্লেখিত সময়ের তথ্যই কেবল সামনে আসবে।৬. ছবি সম্পর্কে তথ্য পেতেতথ্য খোঁজার পাশাপাশি গুগলে ছবি, ভিডিও, খবর, মানচিত্র, বই খোঁজা যায়। এদের মধ্যে বিশেষ করে গুগল ইমেজ সার্চ খুব কাজের। আপনি চাইলে গুগলে ছবি আপলোড করে কিংবা ছবির লিংক দিয়ে একই ধরনের আরও ছবি খুঁজতে পারেন। এ জন্য কম্পিউটার থেকে গুগল ইমেজে (images.google.com) গিয়ে সার্চ বারের ডান দিকের ক্যামেরা শাটার আইকনে ক্লিক করুন। এবার হয় এখানে ছবির লিংক পেস্ট করে অথবা ‘আপলোড অ্যান ইমেজ’ বোতামে ক্লিক করে কম্পিউটার/মোবাইল থেকে নির্দিষ্ট ছবিটি আপলোড করুন। এভাবে সার্চ করলে প্রদত্ত ছবির মতো আরো যেসব ছবি আছে সেগুলো গুগল প্রদর্শন করবে। 

আরও জানুন
Issue area তথ্যের সত্যাসত্য এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাইবাছাই করার প্রয়োজনীয়তা

কোন এক অখ্যাত অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে উত্তেজনাপূর্ণ শিরোনাম দেখে আপনি শেয়ার করে দিলেন আপনার ফেসবুক পেইজে। ২-১ দিন পর জানলেন যে আপনার শেয়ার করা তথ্যটি ভুল বা মিথ্যা। আসলে ভুল তথ্য প্রচার করে অপরাধ করেছে অখ্যাত সংবাদ মাধ্যমটি। আর সেই সংবাদটি যাচাই বাছাই না করে ফেসবুকে শেয়ার করে আপনিও অপরাধের অংশীদার হয়েছেন।অখ্যাত বা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অনেক সংবাদ মাধ্যম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি পাঠক পাওয়ার আশায় আগ্রাসী ভূমিকায় নেমেছে। শুধু কাল্পনিক বা ভুয়া খবর প্রচার করার মাধ্যমেই নয় অনুমান কিংবা নেহাত গুজবকে সত্যের মোড়কে পরিবেশন, বাণিজ্যিক কিংবা অন্যান্য অভিসন্ধি নিয়ে সংবাদ প্রচার, নিজেদের কাটতি নিয়ে সাজানো পরিসংখ্যান হাজির করা—এ রকম অনেক প্রবণতাই আছে অনলাইন সাংবাদিকতায়। আবার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কেউ কেউ ভূঞা বা মিথ্যা সংবাদ ছড়াতে পারে। তাই এ রকম সংবাদ বিশ্বাস করা বা শেয়ার করার আগে তথ্যসূত্রের সন্ধান করুন। তথ্যের সঠিকতা যাচাই করুন। সঠিক তথ্য যেমন বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে, তেমনি ভুল তথ্য অনেক বড় বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক তথ্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, মিথ্যা বা ভুল তথ্য তেমন ভয়ঙ্কর। মিথ্যা বা ভুল তথ্যের কারণে মানুষ প্রতারিত হতে পারে, মানুষের ভিতরে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে, সামাজিক হেনস্তার শিকার হতে পারে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে, সামাজিক ও রাজনৈতিক হানাহানি, সংঘাত এমন কি প্রাণহানিও ঘটতে পারে। এছাড়া আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি, সামাজিকভাবে হেয় হওয়া সহ আরও অনেক সমস্যার উদ্ভব ঘটতে পারে ভুল তথ্য শেয়ারের ফলে।  এজন্য কোন তথ্য প্রকাশ বা শেয়ারের আগে তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আপনি যখন কোন তথ্য পোস্ট বা শেয়ার করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। পোস্ট বা শেয়ার করার আগে আপনাকে তথ্যের নির্ভুলতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হতে হবে। এছাড়া এই তথ্য শেয়ারের কোন ঝুঁকি আছে কিনা, এর ফলে কোন বিভ্রান্তি, ভুল বোঝাবুঝি বা সংঘাতের সৃষ্টি হবে কিনা এসব বিষয়ও ভাবা দরকার। কেননা আপনার দেওয়া তথ্যে কোন ভুল থাকলে সমস্ত দায় আপনাকেই বহন করতে হবে। তাই যেকোন কিছু পোষ্ট বা শেয়ার করার আগে অনেকবার ভাবতে হবে। শেয়ার বা পোষ্ট করার পূর্বে বিষয়বস্তু সত্য কিনা তা যাচাই করতে অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং সংবাদ মাধ্যমে খোঁজ করতে হবে। বিষয়বস্তু নির্মাতার কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে সে সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে।  বিষয়বস্তু তৈরি করার সময় নির্মাতা তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মিথ্যা মতামতকে সত্য হিসাবে উপস্থাপন করতে পারে। বিষয়বস্তুটি সমাজের কারো উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা তা চিন্তা করতে হবে। টাকার বিনিময়ে বা নিজ থেকেই স্বেচ্ছায় যদি আপনি মিথ্যা বা ভুল কিছু শেয়ার বা পোষ্ট করে থাকেন তবে আপনি সমাজের ক্ষতিই করছেন।  

আরও জানুন
Issue area তথ্যের সঠিকতা, নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইবাছাই করার প্রক্রিয়া/কৌশল/ ধাপসমূহ

বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বিপ্লবের এ সময়ে নতুন শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভুয়া খবর বা ফেক নিউজ ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি। যেকোনো আলোচিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুয়া খবর ভাইরাল হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। ভুয়া খবরের কারণে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা, সংঘাত, হানাহানি থেকে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। আবার ভূয়া খবর বা বার্তার মাধ্যমে স্প্যাম ছড়িয়ে ঘটতে পারে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি, তথ্য চুরি, প্রাইভেসি বিনষ্ট হওয়ার মত নানাবিধ সমস্যা। তাই ভূয়া খবর সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। যেকোন তথ্য প্রকাশ বা শেয়ার করার আগে তথ্যের সঠিকতা যাচাই বাছাই করে নিতে হবে। তথ্যের সঠিকতা যাচাই বাছাই করার কৌশল: নিম্নলিখিত বিষয়গুলো ভালো করে খেয়াল করলেই তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। ১. সন্দেহজনক শিরোনাম: কোন খবরের শিরোনাম বেশি চিত্তাকর্ষক হলে এবং তাতে অত্যাধিক বিস্ময় সূচক বা প্রশ্ন চিহ্ন থাকলে সতর্ক হতে হবে। এমনকি, হেডলাইনের শব্দগুলি যদি অত্যাধিক বোল্ড-এ লেখা থাকে ও অবিশ্বাস্য কিছু দাবি করা হয়, তাহলে এগুলি ফেক নিউজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।২. ইউআরএল’'টি ভালো করে চেক করে নিন: সাধারণত কোন ভূয়া ওয়েবসাইট থেকে বা প্রতিষ্ঠিত কোন ওয়েব সাইটের কাছাকাছি নামে নতুন ওয়েবসাইট করে সেখান থেকে ফেক নিউজ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর সন্দেহজনক মনে হলে ওয়েব সাইটটির বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। বিশ্বের ওয়েবসাইট ঠিকানার বিষয়াদি দেখভাল করে থাকে আইক্যান (ICANN)। কোন ওয়েবসাইট নিয়ে আপনার সন্দেহ হলে, আইক্যানের ডোমেইন অনুসন্ধান পাতায় গিয়ে তাদের ওয়েবসাইট ঠিকানাটি লিখে পেস্ট করে দিন।https://whois.icann.org/en এই পাতায় গিয়ে দেখতে পাবেন, ওয়েবসাইটটি কবে তৈরি হয়েছে, কে তৈরি করেছে। সাধারণত ভূয়া ওয়েবসাইটের নির্মাতাদের পরিচয় লুকানো থাকে এবং অসম্পূর্ণ তথ্য থাকে। ৩. ছবি যাচাই: অনেক সময় পুরানো কোন ছবি এডিট করে ভূয়া তথ্য ছড়ানোর সহায়ক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তাই সন্দেহজনক খবরের সাথে কোন ছবি থাকলে তা যাচাই করতে হবে। ছবি যাচাই করার জন্য  https://images.google.com/ ঠিকানায় গিয়ে ছবি বা ছবির লিংকটি সার্চ মেনুতে ড্রপ করতে হবে। সেখান থেকেই জানা যাবে ছবিটি প্রথম কবে এবং কী প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়েছিল। এভাবে ছবির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। ৪. সংবাদ মাধ্যমে যাচাই: সন্দেহজনক কোন ঘটনা বা সন্দেহজনক কোন ঘটনার তারিখ খেয়াল করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমে ঐ তারিখে ঘটনাটি সার্চ দিতে হবে। প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সন্দেহজনক ঘটনাটির কোন তথ্য না থাকলে নিশ্চিত হোন ঘটনাটি ভুয়া। 

আরও জানুন
Issue area অ্যাডভান্সড্ সার্চ (Advanced Search) টেকনিক ব্যবহার

অ্যাডভান্সড্ সার্চ (Advanced Search) টেকনিক ব্যবহারমনে করুন, আপনার কোন আত্মীয়র বাসা ঢাকাতে। সেই আত্মীয় আপনাকে তার বাসায় দাওয়াত দিলো। অন্য একটি শহর থেকে আপনি ঢাকাতে আপনার আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যাবেন। বিশাল ঢাকা শহরে আত্মীয়র বাসা খুঁজে পাওয়ার জন্য ঢাকার ঠিক কোন এলাকাতে বাসা, রোড নম্বর, বাসা নম্বর ইত্যাদি তথ্য আপনার প্রয়োজন। তাহলে সহজেই আপনি বাসা খুঁজে বের করতে পারবেন। ঠিক তেমনি ইন্টারনেটের তথ্য ভান্ডারের ভিতর থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে বের করার জন্য কিছু প্রক্রিয়া আছে। এই প্রক্রিয়া অনুসারে তথ্য খুঁজলে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া অনেক সহজ হয়। গুগলে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য অ্যাডভান্সড সার্চ নামে একটি অপশন আছে। এই প্রক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট তথ্য সহজে পাওয়া সম্ভব। অ্যাডভান্সড সার্চের মাধ্যমে কোন তথ্য অনুসন্ধান করলে গুগল অপ্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দিয়ে একদম সুনির্দিষ্ট তথ্যটিই প্রদর্শন করবে।  অ্যাডভান্সড সার্চ প্রক্রিয়ায় তথ্য অনুসন্ধানের জন্য গুগল সার্চ পেজের উপরে ডানপাশের সেটিংস আইকনে ক্লিক করে Advanced search অপশনে যেতে হবে। নতুন পেজ এলে যেসব শব্দ খুঁজতে চান সেগুলো all these words বক্সে, যে শব্দটি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে খুঁজবে সেটি this exact word or phrase ঘরে, যেকোনো একটি শব্দ খুঁজতে any of these words-এর ঘরে, ভাষা নির্বাচন করতে language, নির্দিষ্ট দেশভিত্তিক ফলাফল পেতে region, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যপ্তি নির্ধারণ করতে last update, ওয়েবপেজের ঠিক কোথায় খুঁজবে সেটি নির্ধারণে terms appearing এবং যদি কোনো নির্দিষ্ট টাইপের ফাইল খুঁজতে হয় তাহলে File type বক্স থেকে নিজের প্রয়োজনীয় অপশনটি বাছাই করতে হবে। এরপর অ্যাডভান্সড সার্চ বাটনে ক্লিক করলে চাহিদামাফিক তথ্যটি সুনির্দিষ্ট ভাবে পাওয়া যাবে। 

আরও জানুন
Issue area ফিল্টার্ড সার্চ

বই পড়ার অভ্যাস থাকলে আপনার বাড়ীতে একটি লাইব্রেরী থাকা খুবই স্বাভাবিক। এখন লাইব্রেরীতে যদি বইগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকে তবে প্রয়োজনীয় সময় আপনার চাহিদামাফিক বইটি খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়বে। কিন্তু আপনি যদি গল্পের বইগুলো নির্দিষ্ট একটা স্থানে, কবিতার বই আরেকটি স্থানে, প্রবন্ধ ও উপন্যাস আরেক জায়গায় এভাবে গুছিয়ে রাখেন তবে প্রয়োজনের সময় সহজেই কাঙ্খিত বইটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব। ফিল্টার্ড সার্চ বিষয়টিও অনেকটা এরকম। জিমেইলে আপনার পুরানো মেইলগুলো সব গোছানোই থাকে সেখান থেকে ফিল্টার করে আপনার চাহিদামত মেইলটি সামনে হাজির করা যাবে ফিল্টার্ড সার্চ প্রক্রিয়ার ম্যাধ্যমে। অনলাইনে বার্তা, ছবি, ডকুমেন্ট ইত্যাদি আদান প্রদানের মাধ্যম হলো জি মেইল। যারা নিয়মিত জি মেইল ব্যবহার করেন তাদের জিমেইল অ্যাকাউন্টে পুরানো দিনের অনেক মেইল জমা হয়ে থাকে। ইনবক্সে অনেক মেইল জমা হয়ে থাকলে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় মেইলটি খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। কিন্তু ফিল্টার্ড সার্চ প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট কয়েকটি অপশনের সাহায্যেই দরকারি ইমেইল খুঁজে পাওয়া সম্ভব। এর ফলে অনেক পুরনো ই মেইলও অতি সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। জিমেইলের সার্চ বক্সের ডান পাশে ক্লিক করে  পুরানো দিনের যে মেইলটি আপনি খুঁজে পেতে চান সেই মেইলটি কোন ঠিকানা থেকে পাঠানো হয়েছিল, কার কাছে পাঠানো হয়েছিল, মেইলের বিষয় কী ছিলো, মেইল পাঠানোর তারিখ, মেইলের সাথে কোন অ্যাটাচমেন্ট ছিল কিনা, মেইলের সাইজ এ সকল তথ্যের ভিতরে যতগুলো সম্ভব পূরণ করে সার্চ দিলেই আপনার কাঙ্খিত মেইলটি খুঁজে পাওয়া যাবে। 

আরও জানুন