Issue area ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন এর পার্থক্য

ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বিষয়। আমাদের অনেকের কাছেই এই ব্যাপারটি একটু অস্পষ্ট যে সার্চ ইঞ্জিন কীভাবে ব্রাউজার থেকে আলাদা। এই দুইটির কাজ মূলত কী?একটি উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করলে হয়ত ব্যাপারটা বুঝে উঠতে একটু সুবিধা হবে।বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন আর্টিকেল বা প্রবন্ধ সমৃদ্ধ একটি ওয়েবসাইট হলো উইকিপিডিয়া। ওয়েবসাইটটির লিংক https://www.wikipedia.org/ । এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার মাধ্যমে বিশ্বে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে পারবেন। কিন্তু এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হলে একটি ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে। যেমন- গুগল ক্রোম, মোজিলা ফায়ারফক্স, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইত্যাদি। আপনার ফোন বা ডেস্কটপ থেকে যেকোনো একটি ব্রাউজার ব্যবহার করে আপনি এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।আবার ধরেন, আপনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান। কিন্তু আপনি জানেন না যে আপনি কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন । এক্ষেত্রে আপনি সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তা নিবেন। একটি সার্চ ইঞ্জিন চালু করে সেখানে “১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস” লিখে সার্চ দিলে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কিত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সন্ধান পাবেন। মূলত, সার্চ ইঞ্জিন ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে বের করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট বা সফটওয়ার। যেমন- গুগল, ইয়াহু, বিং সার্চ ইত্যাদি।মূলত, একটি সার্চ ইঞ্জিন ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য খোঁজার জন্য ব্যবহার করা হয় এবং এটি সার্চের পরে প্রাপ্ত ফলাফলগুলি এক জায়গায় এনে প্রদর্শন করে। অন্যদিকে, সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করার জন্য একটি ব্রাউজার দরকার হয়। ব্রাউজার তথ্য খোঁজার জন্য সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে যায়।বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিনের উদাহরণ হল: Google, Yahoo, Bing, DuckDuckgo, Baidu Internet Explorer। কিছু বহুল ব্যবহৃত ব্রাউজার হল: মোজিলা ফায়ারফক্স, নেটস্কেপ নেভিগেটর এবং গুগল ক্রোম।ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন দুই ধরনের কাজ করলেও একটির কাজ সম্পূর্ণ করতে আরেকটির সহায়তা লাগে। শুধু ব্রাউজার যেমন কোনো ফলাফল প্রদর্শন করতে পারবে না, ঠিক একইভাবেই শুধু সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়।

আরও জানুন
Issue area ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে তথ্য অনুসন্ধান পদ্ধতি

রতন ও তার পাঁচ বন্ধু ছুটি পেলে প্রায়ই গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে যায়। একেক সময় একেক জনের গ্রামের বাড়িতে যাওয়া তাদের যেন একটা শখ! এবার তারা ঠিক করলো লম্বা কোনো ছুটি পেলে এখন থেকে তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেখবে।এখন তাহলে তাদের জানতে হবে যে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় এমন সুন্দর জায়গা আছে যেখানে তারা ঘুরতে যেতে পারে। কীভাবে তারা এই তথ্যের অনুসন্ধান করতে পারে? চলুন তাহলে জেনে নিই কীভাবে আমরা সার্চ ইঞ্জিন ও ব্রাউজার ব্যবহার করে তথ্য অনুসন্ধান করতে পারি। সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে তথ্য অনুসন্ধান-সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে কোন তথ্য অনুসন্ধানের জন্য ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত কোন ডিজিটাল ডিভাইসে গুগল ক্রোম, মজিলা ফায়ারফক্স বা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইত্যাদি যেকোন ওয়েব ব্রাউজার থেকে ব্রাউজ করে গুগল, ইয়াহু, বিং সার্চ বা অন্য যে কোন একটি সার্চ ইঞ্জিন চালু করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট যে বিষয়বস্তু অনুসন্ধান করা হবে তা সার্চ ইঞ্জিন এর টেক্সট বক্সে লিখে এন্টার চাপলেই বা সার্চ এ ক্লিক করলেই ঐ বিষয়বস্তু সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সামনে চলে আসবে। বিষয়বস্তুটি বাংলায় লিখে সার্চ দিলে বিষয়বস্তু সম্পর্কিত যাবতীয় বাংলা তথ্য সামনে আসবে। আর বিষয়বস্তুটি ইংরেজিতে লিখলে বিষয়বস্তু সম্পর্কিত ইংরেজি তথ্য সামনে আসবে। ধরা যাক, “বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান” লিখে কেউ গুগলে সার্চ দিলো। তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ও ব্লগে বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে যত তথ্য আছে গুগল তা প্রদর্শন করবে। “বাংলাদেশের” “দর্শনীয়” “স্থান” এই তিনটি শব্দের উপর ভিত্তি করে প্রাপ্ত একাধিক ফলাফলের একটি তালিকা গুগল প্রদর্শন করবে। আর এই তিনটি শব্দের প্রতিটিকে বলে কীওয়ার্ড। ব্রাউজার ব্যবহার করে তথ্য অনুসন্ধান-ধরেন, আপনি খুলনাতে বেড়াতে গিয়েছেন; এখন বাগেরঘাট জেলা যেখানে সুন্দরবন রয়েছে সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। বাংলাদেশের সব জেলা নিয়ে সরকারের ওয়েবসাইট আছে। বাগেরহাট-সুন্দরবন জেলা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের যে ওয়েবসাইট আছে তার ঠিকানা http://www.bagerhat.gov.bd/ এই ঠিকানা অনেকেই জানতে পারে, কিন্তু কীভাবে এই ওয়েবসাইট দেখা যাবে, কীভাবে তথ্য পাওয়া যাবে এই সমস্যাগুলোর সমাধান পাওয়া যাবে ব্রাউজারের মাধমে। ব্রাউজার ব্যবহার করে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য প্রথমে গুগল ক্রোম, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বা যে কোন একটি ব্রাউজার চালু করতে হবে। এরপর সেই ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে  http://www.bagerhat.gov.bd/   এই ঠিকানা লিখে এন্টার চাপলেই নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে নিয়ে যাবে এবং সুন্দরবন সম্পর্কে ওয়েবসাইটের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এভাবে আমরা সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্রাউজার ব্যবহার করে খুব সহজেই ইন্টারনেট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে নিতে পারি।

আরও জানুন
Issue area কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে কার্যকরভাবে তথ্য অনুসন্ধান পদ্ধতি

আপনি যে কোনো একটি শব্দ লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে কি দেখতে পান? একটি মাত্র তথ্য দেখাচ্ছে? অবশ্যই না। একটি শব্দ লিখে সার্চ দিলেও হাজার হাজার তথ্য আপনার সামনে উপস্থিত হবে। কিন্তু তাহলে আপনি এর মধ্যে থেকে কীভাবে কাঙ্ক্ষির ফলাফলটি পাবেন?আজকের আলোচনা থেকে আপনি এই ব্যাপারটিই জানতে পারবেন।অনেক ধরনের তথ্য থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য বের করার কিছু কৌশল:  ১. জোড় উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার:  বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে আপনার তথ্য প্রয়োজন। আপনি বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক লিখে গুগলে সার্চ দিলে বিভিন্ন ওয়েব সাইট ও ব্লগে ”বাংলাদেশের” এবং “পাঠ্যপুস্তক” সম্পর্কিত যত তথ্য আছে গুগল তা প্রদর্শন করবে। বাংলাদেশের খেলাধুলা, বাংলাদেশের রাস্তাঘাট, বাংলাদেশের রাজনীতি এসব তথ্যও যেমন গুগল প্রদর্শন করবে তেমনি ভারতের পাঠ্যপুস্তক, শ্রীলংকার পাঠ্যপুস্তক, নেপালের পাঠ্যপুস্তক এসব তথ্যও গুগল প্রদর্শন করবে। এখন বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক শব্দ দুইটিকে যদি ”  “ জোড় উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করে “বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক” এভাবে লিখে গুগলে সার্চ করা হয় তবে গুগল কেবল মাত্র বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কিত তথ্যগুলোই প্রদর্শন করবে।  ২. নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে তথ্য পেতে মনে করেন, যে তথ্যটি আপনার প্রয়োজন সেটি কোন ওয়েবসাইটে আছে তা আপনি জানলেও খুঁজে পাচ্ছন না। এরকম ক্ষেত্রে কী ওয়ার্ডের সাথে ওয়েব সাইটের ঠিকানা লিখে সার্চ করলে গুগল শুধুমাত্র ঐ ওয়েব সাইটে সার্চ করে তথ্যটি তুলে ধরবে। যেমন বা্ংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত তথ্য খুজে পেতে http://www.moedu.gov.bd/ লিখে সার্চ দিতে হবে।  ৩. নির্দিষ্ট ফরম্যাটের ফাইল গুগলে কেবল ওয়েবপেজ বা তথ্যই নয়, চাইলে নির্দিষ্ট ফরম্যাটের ফাইলও খোঁজা যায়। তবে সে ফাইল অবশ্যই কোনো ওয়েবসাইটে যুক্ত থাকতে হবে। আপনি হয়তো ইসলাম শিক্ষার বই বা তথ্য চাচ্ছেন পিডিএফ আকারে। সেক্ষেত্রে ”ইসলাম শিক্ষা filetype: pdf” লিখে সার্চ করতে হবে। তাহলে ইসলাম শিক্ষা সম্পর্কিত সকল পিডিএফ ফাইলগুলো আপনার সামনে প্রদর্শন করবে।  ৪. একই নামে একাধিক ধরনের তথ্য থাকলে সঠিকভাবে তথ্যের অনুসন্ধান করতে না পারলে সার্চ ইঞ্জিন কোনো কোনো সময় অতিরিক্ত তথ্য দেখাতে পারে। যেমন আপনি হয়তো বাংলাদেশের জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে জানতে চান। সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। অনেকগুলো চলচ্চিত্রেরও নির্মাতা ছিলেন তিনি। এখন ধরেন,আপনি হুমায়ূন আহমেদ এবং তার লেখা বই সম্পর্কে তথ্য চান, তার নির্মিত চলচ্চিত্র সম্পর্কে তথ্যের কোন প্রয়োজন নেই । তাহলে, book-এর আগে একটা যোগ চিহ্ন এবং movie-এর আগে একটা বিয়োগ চিহ্ন বসিয়ে দিবেন। এভাবে লিখে সার্চ দিতে হবে হুমায়ূন আহমেদ + book - movie। ৫. নির্দিষ্ট সময়ের তথ্য খোঁজার কৌশলগুগলে তথ্য খোঁজার একটা সমস্যা হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে কোনো কোনো ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টে আগে দেখাতে পারে। সেই ওয়েবসাইটটি বহুদিন আগে তৈরি করা হয়েছে, নাকি সাম্প্রতিক, তা তখন গুরুত্ব পায় না। সাম্প্রতিক তথ্য পাওয়ার একটা উপায় আছে গুগলে। যখন কিছু সার্চ করা হয়, তখন অন্যান্য অপশনের সঙ্গে Tools নামে একটি বোতাম থাকে সার্চ রেজাল্ট পেজে। টুলসে ক্লিক করলে Any time অর্থাৎ যেকোনো সময়ের তথ্যের অপশন বদলে গত এক ঘণ্টা, এক দিন, এক সপ্তাহ, এক মাস কিংবা এক বছর করে দাও। আবার চাইলে নির্দিষ্ট দুটি তারিখের মধ্যে যত তথ্য আছে, সেগুলো দেখতে Custom range-এ ক্লিক করে From ও To ঘরে তারিখ বসিয়ে দিতে হবে। তাহলে উল্লেখিত সময়ের তথ্যই কেবল সামনে আসবে। ৬. ছবি সম্পর্কে তথ্য পেতে তথ্য খোঁজার পাশাপাশি গুগলে ছবি, ভিডিও, খবর, মানচিত্র, বই খোঁজা যায়। এদের মধ্যে বিশেষ করে গুগল ইমেজ সার্চ খুব কাজের। গুগলে ছবি আপলোড করে কিংবা ছবির লিংক দিয়ে একই ধরনের আরও ছবি খুঁজতে পাওয়া সম্ভব। এ জন্য কম্পিউটার থেকে গুগল ইমেজে (images.google.com) গিয়ে সার্চ বারের ডান দিকের ক্যামেরা শাটার আইকনে ক্লিক করতে হবে। এবার হয় এখানে ছবির লিংক পেস্ট করে অথবা ‘আপলোড অ্যান ইমেজ’ বোতামে ক্লিক করে কম্পিউটার থেকে নির্দিষ্ট ছবিটি আপলোড করবেন। এভাবে সার্চ করলে প্রদত্ত ছবির মতো আরো যেসব ছবি আছে সেগুলো গুগল প্রদর্শন করবে।

আরও জানুন
Issue area 'Advanced Search’ টেকনিক ব্যবহার করে অল্পসময়ে কার্যকরভাবে তথ্য খুঁজে বের করার পদ্ধতি

আমরা অনেক সময় ইন্টারনেটে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়ের কোনো তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করে থাকি। সেক্ষেত্রে কি আমরা স্বাভাবিকভাবেই সার্চ করবো যেভাবে আমরা সার্চ ইঞ্জিনে করে থাকি? নাকি অন্য কোনো উপায় আছে?মূলত যখন আমরা কিছু নির্দিষ্ট শর্তের অধীনে কোনো তথ্য খুঁজে পেতে চাই তখন আমরা গুগলে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য ‘অ্যাডভান্সড সার্চ’ নামে একটি অপশন আছে, সেই অপশনটি ব্যবহার করতে পারি। তাহলে আজকে জেনে ফেলা যাক কীভাবে 'Advanced Search’ প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে পেতে পারি। ADVANCED SEARCH প্রক্রিয়ায় তথ্য অনুসন্ধান:  প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য খুব সহজেই পাওয়া সম্ভব। অ্যাডভান্সড সার্চের মাধ্যমে কোন তথ্য অনুসন্ধান করলে গুগল অপ্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দিয়ে একদম সুনির্দিষ্ট তথ্যটিই প্রদর্শন করবে।  অ্যাডভান্সড সার্চ প্রক্রিয়ায় তথ্য অনুসন্ধানের জন্য প্রথমে আপনি একটি সার্চ ইঞ্জিনে প্রবেশ করে আপনি যে বিষয়ে তথ্য জানতে চান সেটি সার্চবারে লিখে সার্চ করবেন। তারপর যে পাতাটি আপনার সামনে আসবে সেখানে ডানপাশে একটি সেটিংস আইকন দেখতে পাবেন; সেখানে ক্লিক করে Advanced search অপশনে যেতে হবে। নতুন পেজ এলে যেসব শব্দ খুঁজতে চান সেগুলো all these words বক্সে, যে শব্দটি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে খুঁজবেন সেটি this exact word or phrase ঘরে, যেকোনো একটি শব্দ খুঁজতে any of these words-এর ঘরে, ভাষা নির্বাচন করতে language, নির্দিষ্ট দেশভিত্তিক ফলাফল পেতে region, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যপ্তি নির্ধারণ করতে last update, ওয়েবপেজের ঠিক কোথায় খুঁজবে সেটি নির্ধারণে terms appearing এবং যদি কোনো নির্দিষ্ট টাইপের ফাইল খুঁজতে হয় তাহলে File type বক্স থেকে নিজের প্রয়োজনীয় অপশনটি বাছাই করতে হবে। এরপর অ্যাডভান্সড সার্চ বাটনে ক্লিক করলে চাহিদামাফিক তথ্যটি সুনির্দিষ্ট ভাবে পাওয়া যাবে। এভাবে আমরা নির্দিষ্ট ভাষায় নির্দিষ্ট এলাকার নির্দিষ্ট সময়ের আমাদের কাঙ্ক্ষিত তথ্যটি বেশ সহজে পেয়ে যেতে পারি। 

আরও জানুন
Issue area Procedures/techniques/steps for verifying the accuracy, reliability and credibility of information before using it on the Internet or social media

হোসেন মিয়া একজন কৃষক। তার ছেলে শহরে চাকরি করে; বাবার সাথে যোগাযোগের জন্য বাবাকে একটা মুঠোফোন কিনে দিয়ে তাতে একটা ফেসবুক একাউন্টও খুলে দিলেন। সে মাঝে মাঝে সময় পেলে ফেসবুক থেকে বিভিন্ন খবর পড়ে। এরকম একদিন একটা খবরে দেখলেন, ফসলে “ডায়মণ্ড সার” নামক এক ধরনের সার ব্যবহার করলে ফলন দ্বিগুণ হবে। সে ভাবলেন তার ছেলের সাথে আলাপ করবে কোথা থেকে এই সার পাওয়া যাবে। তার ছেলের সাথে আলাপ করলে তাকে জানায় যে, যেকোনো উৎসের তথ্যই বিশ্বাস করা যাবে না। আগে যাচাই করে নিতে হবে তথ্যটি আসলেই সত্য কিনা।এরকম আরও বিভিন্ন রকমের তথ্য আমরা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে পেয়ে থাকি। সব তথ্যই কিন্তু আমরা বিশ্বাস করে নিতে পারি না। কেননা বর্তমান সময়ে নতুন শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভুয়া খবর বা ফেক নিউজ ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি। যে কোনো আলোচিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুয়া খবর ভাইরাল হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। ভুয়া খবরের কারণে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা, সংঘাত, হানাহানি থেকে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। আবার ভূয়া খবর বা বার্তার মাধ্যমে স্প্যাম ছড়িয়ে ঘটতে পারে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি, তথ্য চুরি, প্রাইভেসি বিনষ্ট হওয়ার মত নানাবিধ সমস্যা। তাই ভূয়া খবর সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। যেকোন তথ্য প্রকাশ বা শেয়ার করার আগে তথ্যের সঠিকতা যাচাই বাছাই করে নিতে হবে।   তথ্যের সঠিকতা যাচাই বাছাই করার কৌশল:  নিম্নলিখিত বিষয়গুলো ভালো করে খেয়াল করলেই তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। সন্দেহজনক শিরোনাম: কোন খবরের শিরোনাম বেশি চিত্তাকর্ষক হলে এবং তাতে অত্যাধিক বিস্ময় সূচক বা প্রশ্ন চিহ্ন থাকলে সতর্ক হতে হবে। এমনকি, হেডলাইনের শব্দগুলি যদি অত্যাধিক বোল্ড-এ লেখা থাকে ও অবিশ্বাস্য কিছু দাবি করা হয়, তাহলে এগুলি ফেক নিউজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ইউআরএল-টি ভালো করে চেক করে নিবেন: সাধারণত কোন ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে বা প্রতিষ্ঠিত কোন ওয়েব সাইটের কাছাকাছি নামে নতুন ওয়েব সাইট করে সেখান থেকে ফেক নিউজ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর সন্দেহজনক মনে হলে ওয়েব সাইটটির বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। বিশ্বের ওয়েবসাইট ঠিকানার বিষয়াদি দেখভাল করে থাকে আইক্যান (ICANN)। কোন ওয়েবসাইট নিয়ে সন্দেহ হলে, আইক্যানের ডোমেইন অনুসন্ধান পাতায় গিয়ে তাদের ওয়েবসাইট ঠিকানাটি লিখবেন। https://whois.icann.org/en  এই পাতায় গিয়ে দেখতে পাবেন, ওয়েবসাইটটি কবে তৈরি হয়েছে, কে তৈরি করেছে। সাধারণত ভুয়া ওয়েব সাইটের নির্মাতাদের পরিচয় লুকানো থাকে এবং অসম্পূর্ণ তথ্য থাকে।   ছবি যাচাই: অনেক সময় পুরানো কোনো ছবি এডিট করে ভূয়া তথ্য ছড়ানোর সহায়ক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তাই সন্দেহজনক খবরের সাথে কোন ছবি থাকলে তা যাচাই করতে হবে। ছবি যাচাই করার জন্য  https://images.google.com/  ঠিকানায় গিয়ে ছবি বা ছবির লিংকটি সার্চ মেনুতে ড্রপ করতে হবে। সেখান থেকেই জানা যাবে ছবিটি প্রথম কবে এবং কী প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়েছিল। এভাবে ছবির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে।  সংবাদ মাধ্যমে যাচাই: সন্দেহজনক কোন ঘটনা বা সন্দেহজনক কোন ঘটনার তারিখ খেয়াল করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমে ঐ তারিখে ঘটনাটি সার্চ দিতে হবে। প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সন্দেহজনক ঘটনাটির কোন তথ্য না থাকলে নিশ্চিত থাকুন ঘটনাটি ভুয়া।আমাদের সবাইকেই বিভিন্ন তথ্যের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়; তথ্য অনুসন্ধান করতে হয়। শুধুমাত্র উপরের বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আমরা তথ্যগুলো বিশ্বাস করব। এছাড়া অন্য কোনো তথ্য প্রকাশ এবং বিশ্বাস করা থেকে নিজেদের বিরত রাখব।

আরও জানুন
Issue area ভুল/ মিথ্যা তথ্য বা Hoax Site কিভাবে চিহ্নিত করা যায়

সেতু আক্তার একজন গার্মেন্টস কর্মী। গার্মেন্টসে কাজ করেই তাকে তাকে তার সংসার চালাতে হয়। বাবা অসুস্থ হওয়ার কারণে তাকে নিজেই অর্থ উপার্জনের জন্য রাত দিন কষ্ট করতে হয়। সকালে বাসে করে গার্মেন্টস যাওয়ার পথে ফেসবুক ব্যবহার করছিলেন। হঠাৎ করে একটা খবর দেখে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন। দেখলেন যে, নতুন এক ভাইরাস আক্রমণের কারণে তাদের গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাথে সাথে সংবাদটি তার একাউন্টে শেয়ার করে দিলেন। তার কিছু ফেসবুক বন্ধুও সাথে সাথে সংবাদটি শেয়ার করে দিলেন।গার্মেন্টসে পৌঁছানোর পর দেখলেন সবাই বেশ অস্থির হয়ে আছে, কেউ চাচ্ছেন না গার্মেন্টস বন্ধ হোক। প্রায় বিকাল পর্যন্ত তারা ওভাবেই বসে থাকলেন। এমন সময় গার্মেন্টসের মালিক আসলেন, এসে বললেন গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ার কোনো খবরই সত্য নয়। এমন কোনো ধরনের খবর তার কাছে আসেনি; অর্থাৎ গার্মেন্টস খোলা থাকবে।সেতু বুঝতে পারলেন, কোনো খবরই আসলে যাচাই বাছাই না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা উচিৎ নয়। সে খুবই বিব্রতবোধ করলো।সেতুর মতো এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না পড়তে চাইলে আপনাকে ভুয়া তথ্য এবং ওয়েবসাইট সনাক্তকরণের উপায় গুলো জানতে হবে। যেমন- ১। উৎসটি যাচাই করা: ফেসবুকে বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভুয়া তথ্যগুলির শিরোনাম আপনাকে আকৃষ্ট করতে পারে। তবে বিভিন্ন রঙচঙা শিরোনামের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার সাথে সাথেই তা শেয়ার করে ছড়িয়ে দেওয়ার আগে অবশ্যই উৎসটি যাচাই করে নিতে হবে।২। নিশ্চিতকরণের জন্য গুগলের সাহায্য নেওয়া: কোনো তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার পূর্বে তার সত্যতা নিশ্চিত করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে, গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তা নিয়ে বিভিন্ন তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারবেন।৩। প্রমাণাদি যাচাই-বাছাইকরণ: তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করণের পরে প্রাপ্ত প্রমাণাদি যাচাই করার মাধ্যমে তথ্যটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য সূত্র, সংবাদ মাধ্যম এবং তথ্যের উৎস যাচাই করার মাধ্যমে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ৪। ইউআরএল-টি ভালো করে চেক করে নেওয়া: সাধারণত কোন ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে বা প্রতিষ্ঠিত কোন ওয়েব সাইটের কাছাকাছি নামে নতুন ওয়েব সাইট করে সেখান থেকে ফেক নিউজ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর সন্দেহজনক মনে হলে ওয়েব সাইটটির বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। বিশ্বের ওয়েবসাইট ঠিকানার বিষয়াদি দেখভাল করে থাকে আইক্যান (ICANN)। কোন ওয়েবসাইট নিয়ে সন্দেহ হলে, আইক্যানের ডোমেইন অনুসন্ধান পাতায় গিয়ে তাদের ওয়েবসাইট ঠিকানাটি লিখবেন। https://whois.icann.org/en  এই পাতায় গিয়ে দেখতে পাবেন, ওয়েবসাইটটি কবে তৈরি হয়েছে, কে তৈরি করেছে। সাধারণত ভুয়া ওয়েব সাইটের নির্মাতাদের পরিচয় লুকানো থাকে এবং অসম্পূর্ণ তথ্য থাকে।   ভুয়া তথ্য শেয়ার বা ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য শুধু যে বিভ্রান্তি সৃষ্ট করে তা নয়, বিভিন্ন ভুল তথ্যের কারণে কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মারাত্নক ক্ষতিও সাধন হতে পারে। এজন্য আমরা ভুয়া তথ্য এবং ওয়েবসাইট সনাক্তকরণের উপায় গুলো অবলম্বন করে সঠিক তথ্যটি ব্যবহার করবো। 

আরও জানুন
Issue area মোবাইল ফোনের বেসিক ব্যবহার পদ্ধতি

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের কাজের জটিলতা বৃদ্ধির সাথে মোবাইল ফোন ব্যবহারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোনের ফিচার ভিন্ন ভিন্ন। একেক জন তাদের প্রয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী একেক রকম ফোন ব্যবহার করে থাকে। যেমন- আমরা কেউ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছি; আবার কেউ ফিচার ফোন ব্যবহার করছি। কিন্তু আমরা কি সবাই আমাদের ফোনটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি?সঠিক উপায়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য ফোনের অপারেটিং সিস্টেমস সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিৎ যাতে করে আমরা নিজেও সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারি এবং প্রয়োজনে অন্যদেরও সহায়তা করতে পারি।স্মার্ট ফোনের বেসিক ব্যবহার পদ্ধতি১) মোবাইল ফোনের অন্যতম একটি কাজ হলো- একজন আরেকজনের সাথে কথা বলা। স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে কাউকে কল করার জন্য প্রথমে আমাদের স্মার্ট ফোনের “ফোন আইকন” খুঁজে বের করে সেখানে প্রবেশ করতে হবে। এবার আপনার সামনে ডায়াল প্যাড চলে আসবে; সেখানে আপনি যাকে ফোন দিতে চান তার নাম্বারটি লিখে কল করার আইকনটিতে ক্লিক করলে তার কাছে ফোন চলে যাবে। আবার, নাম্বারটি যদি আপনার ফোনে সেইভ করা থাকে তাহলে আপনার ফোনের Contact অপশনে গিয়ে তার নাম সার্চ (Search) করে লিখে কল করার আইকনটিতে ক্লিক করলে আপনি তাকে কল বা ফোন করতে পারবেন।২) “কল দেওয়া”-এর পরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বার্তা পাঠানো বা এসএমএস করা । এই কাজটির জন্য আপনার ফোনের ডায়লগ বক্সের মতন আইকনটিতে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে যেয়ে আপনার ফোনের ধরন অনুযায়ী দুই ধরনের অপশন পেতে পারেন। (+) চিহ্ন দেওয়া একটি অপশন আসতে পারে; আবার “New Message” লেখা একটি অপশন আসতে পারে। আপনার ফোনে যেই অপশনটি আসবে সেই অপশনে ক্লিক করলে আপনার সামনে বার্তা লেখার জন্য একটি বক্স চলে আসবে। এই বক্সে প্রবেশ করলেই কীবোর্ড ব্যবহার করে আপনি আপনার বার্তাটি লিখে ফেলতে পারবেন। উপরের দিকে একটি অপশন থাকবে To/Recipient লেখা, সেখানে আপনি যাকে বার্তাটি পাঠাতে চান তার নাম্বারটি লিখবেন; যদি নাম্বার সেইভ করা থাকে তাহলে যেই নামে সেইভ করা আছে সেই নামটি লিখে সেন্ড বাটন/সেন্ড আইকনে ক্লিক করলে মেসেজ বা বার্তাটি চলে যাবে।৩) স্মার্টফোন ব্যবহারের অন্যতম একটি প্রয়োজনীয় দিক হলো ইন্টারনেট ব্যবহার করা। এর জন্য আপনাকে প্রথমে ডাটা প্যাক কিনে রাখতে হবে। তারপর আপনার ফোনের ডাটা কানেকশন অন করতে হবে। আপনি ডাটা কানেকশন-(Data Connection) অপশনটি ফোনের নোটিফিকেশন বারে পেয়ে যেতে পারেন অথবা মোবাইল ফোনের সেটিংসে গিয়ে Mobile Network অপশনে ক্লিক করে সেখানে থেকে Mobile Data অন করে নিতে পারবেন। আর যদি ওয়াইফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান তাহলে ফোনের নোটিফিকেশন বারে যেয়ে ওয়াইফাই অন করে নিতে পারেন অথবা মোবাইল ফোনের সেটিংসে গিয়ে Wi-Fi অপশনে ক্লিক করে Wi-Fi অন করে Available Network থেকে আপনার পরিচিত Network-এ পাসওয়ার্ড দিয়ে Connect করে নিতে পারবেন। এভাবে আপনি আপনার ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।৪) স্মার্ট ফোনের একটি অন্যতম ফিচার হলো এই ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে ছবি তোলা বা ভিডিও বানানো যায়। এর জন্য আপনার ফোনের ক্যামেরা আইকনটিতে প্রবেশ করলে দেখবেন আপনার ফোনের ক্যামেরা অন হয়ে গেছে এবং আপনি স্ক্রিনে ছবি দেখতে পাচ্ছেন। এখন আপনি যেই জিনিসের বা যার ছবি তুলতে চান সেইদিকে ক্যামেরাটি রেখে স্ক্রিনের গোল বাটনে বা ক্যামেরা বাটনে ক্লিক করলে দেখবেন আপনার ছবিটি Galary-তে সেইভ হয়ে গেছে। আর ভিডিও করার জন্যও ক্যামেরা আইকনে ক্লিক করে পরে ভিডিও অপশনটিতে প্রবেশ করে ক্লিক করলেই ভিডিও করা শুরু হয়ে যাবে; আবার  ক্লিক করলে ভিডিও বন্ধ হয়ে যাবে। ৫) স্মার্ট ফোনে আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন রকম অ্যাপ ব্যবহার করতে পারি। এজন্য আমাদের ফোনের সাথে ইন্টারনেট সংযুক্ত করে প্লেস্টোরে গিয়ে অ্যাপটির নাম লিখে সার্চ করলেই অ্যাপটি আপনার সামনে চলে আসবে এবং আপনি সেখান থেকে অ্যাপটি ইনস্টল করে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনার স্মার্টফোনে আরও কিছু ফিচার থাকবে (যেমন – ক্যালকুলেটর, ওয়েদার, এলার্ম, কম্পাস, রেকর্ডার); যেগুলোতে প্রবেশ করে আপনি বিভিন্ন দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় কাজগুলো সহজে সেরে ফেলতে পারবেন।      ফিচার ফোনের বেসিক পরিচালন পদ্ধত্তি১) ফিচার ফোনের মাধ্যমে কল করার জন্য আপনি যে নাম্বারে কল করতে চান সেই নাম্বারগুলো বাটন ক্রমান্বয়ে চাপতে থাকলে সেগুলো আপনার সামনের স্ক্রিনে চলে আসবে। নাম্বারটি মিলিয়ে নিয়ে কীপ্যাডের বামদিকের সবুজ রঙয়ের কল করার আইকন দেওয়া বাটনটি চাপ দিলে কল চলে যাবে; আবার কথা শেষে ডান দিকের লাল রঙয়ের কল করার আইকন দেওয়া বাটনটি চাপ দিলে কলটি কেটে যাবে। আপনার ফোনে নাম্বারটি সেইভ করা থাকলে ফোনের উপরের দিকের মাঝখানের বাটনটি চাপ দিলে Menu অপশনে চলে যাবেন; সেখান থেকে Contact অপশনটিতে যেয়ে নামটি খুঁজে নিয়ে সিলেক্ট করে সবুজ রঙয়ের কল করার আইকন দেওয়া বাটনটি চাপ দিলে নাম্বারে কল চলে যাবে। ২) ফিচার ফোনের মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর জন্য  ফোনের উপরের দিকের মাঝখানের বাটনটি চাপ দিলে Menu অপশনে প্রবেশ করে সেখানে Message -এ প্রবেশ করবেন। সেখান থেকে “New Message” লেখা একটি অপশন দেখতে পাবেন, সেখানে প্রবেশ করলে আপনার সামনে বার্তা লেখার জন্য একটি বক্স চলে আসবে এই বক্সে প্রবেশ করে কীপ্যাড ব্যবহার করে আপনি আপনার বার্তাটি লিখে ফেলতে পারবেন। উপরের দিকে একটি অপশন থাকবে “To” লেখা, সেখানে আপনি যাকে বার্তাটি পাঠাতে চান তার নাম্বারটি লিখবেন; যদি নাম্বার সেইভ করা থাকে তাহলে যেই নামে সেইভ করা আছে সেই নামটি লিখে ফোনের উপরের দিকের মাঝখানের বাটনটি চাপ দিলে মেসেজ বা বার্তাটি চলে যাবে। তবে ফোনের ধরন অনুযায়ী এই ধাপগুলোর মধ্যে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।এছাড়াও আপনার ফিচার ফোনের ধরন অনুযায়ী টর্চ লাইট, এফএম রেডিও, অ্যালার্ম সহ আরও কিছু কাজ করা যেতে পারে । 

আরও জানুন
Issue area আ্যপে নিরাপদ ভাবে ডাটা সংরক্ষণ করার কৌশল

রিনা বেগম একজন শিক্ষক; সপ্তাহের পাঁচ দিন সে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করেন। তিনি সবসময় চেষ্টা করেন ক্লাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের সমস্যার সমাধান করে দিতে। তবুও খেয়াল করলেন কোনো কোনো শিক্ষার্থীদের অভিভাবক রাতে ফোন দিয়ে অনুরোধ করছেন কিছু সমস্যার সমাধান দিতে। এজন্য তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তিনি একটা জুম একাউন্ট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের তার সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ করে দিবেন। পরের দিন তার মোবাইল ফোনে ৩০ টাকা রিচার্জ করে ২০০ এমবি(MB)-এর ডাটা প্যাক কিনে জুম ওপেন করে তার শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলা শুরু করলেন। ১০ মিনিটের মধ্যেই দেখলেন তার ফোনে মেসেজ এসেছে যে মোবাইল ডাটা শেষ হয়ে গিয়েছে, তিনি এখন আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না। তিনি বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন এই ভেবে যে ১০ মিনিটের মধ্যেই ৩০ টাকা খরচ হয়ে গেলে তিনি কীভাবে তার শিক্ষার্থীদের সাথে পরবর্তীতে আলোচনা করবেন।মূলত এখানে সমস্যা কী হচ্ছে আপনারা কী বলতে পারেন? কেনো এতো তাড়াতাড়ি মোবাইল ডাটা হয়ে যাচ্ছে?দিন দিন ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় অল্প সময়েই মোবাইলের অনেক ডাটা খরচ হয়ে যায়। মোবাইলের ডাটা খরচ কমানোর জন্য অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত করে দিচ্ছে। কিন্তু একটু সতর্ক হলেই মোবাইলের অনেক খানি ডাটা বাঁচানো সম্ভব। বিষয় গুলো নীচে উল্লেখ করা হলো:১। গুগল ক্রোম ব্রাউজারে ডাটা সেভার নামে একটি ফিচার আছে। এই ফিচারটি চালু করলে গুগল ক্রোম বিভিন্ন ছবি ও ওয়েব সাইটের তথ্য সংকুচিত করে মোবাইলে দেখাবে। ফলে মোবাইল ডাটার খরচ অনেকটা কমে যাবে। এই সুবিধাটি পাওয়ার জন্য গুগল ক্রোমের সেটিংস এ গিয়ে ডাটা সেভার অপশনটি চালু করতে হবে।২। অডিও বা ভিডিও স্ট্রিমিং এর ক্ষেত্রে অডিও ও ভিডিও এর কোয়ালিটি যদি গুরুত্বপূর্ণ বা প্রয়োজনীয় না হয় তবে স্ট্রিমিং এর কোয়ালিটি একদম কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কিছুটা ডাটা সাশ্রয় হবে। টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক অ্যাপেও সেটিংসে এ সুবিধা পাওয়া যায়।৩। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ফেসবুক অ্যাপ ব্যবহার না করে ফেসবুকের মোবাইল সাইট ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে বেশ ডাটা সাশ্রয় হবে।৪। কারো সাথে যোগাযোগের সময় প্রয়োজন ছাড়া ভিডিও অফ করে রাখা যেতে পারে। এতে ডাটা খরচ বেশ কমে আসবে।৫। অনেক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আছে যা ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করতে থাকে। অপ্রয়োজনীয় এই কাজের ফলে মোবাইলের ডাটার অপচয় হয়। এটি বন্ধ করার জন্য সেটিংসের ডেটা ইউজেস অপশনে গিয়ে Settings > Data Usage > Tap on the menu button > Restrict background data > OK তে ক্লিক করতে হবে।৬। ম্যাপ, মিউজিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে অফলাইনে ডাউনলোড করার সুযোগ থাকলে ইন্টারনেটে অযথা ডাউনলোড করে ডেটা খরচ করার প্রয়োজন নেই।এভাবে আমরা কিছু কৌশল অবলম্বন করে ডাটা খরচ খুব সহজেই কমিয়ে নিয়ে আসতে পারি।

আরও জানুন