Issue area 'Advanced Search’ টেকনিক ব্যবহার করে অল্পসময়ে কার্যকরভাবে তথ্য খুঁজে বের করার পদ্ধতি

আমরা অনেক সময় ইন্টারনেটে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়ের কোনো তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করে থাকি। সেক্ষেত্রে কি আমরা স্বাভাবিকভাবেই সার্চ করবো যেভাবে আমরা সার্চ ইঞ্জিনে করে থাকি? নাকি অন্য কোনো উপায় আছে?মূলত যখন আমরা কিছু নির্দিষ্ট শর্তের অধীনে কোনো তথ্য খুঁজে পেতে চাই তখন আমরা গুগলে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য ‘অ্যাডভান্সড সার্চ’ নামে একটি অপশন আছে, সেই অপশনটি ব্যবহার করতে পারি। তাহলে আজকে জেনে ফেলা যাক কীভাবে 'Advanced Search’ প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে পেতে পারি। ADVANCED SEARCH প্রক্রিয়ায় তথ্য অনুসন্ধান:  প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য খুব সহজেই পাওয়া সম্ভব। অ্যাডভান্সড সার্চের মাধ্যমে কোন তথ্য অনুসন্ধান করলে গুগল অপ্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দিয়ে একদম সুনির্দিষ্ট তথ্যটিই প্রদর্শন করবে।  অ্যাডভান্সড সার্চ প্রক্রিয়ায় তথ্য অনুসন্ধানের জন্য প্রথমে আপনি একটি সার্চ ইঞ্জিনে প্রবেশ করে আপনি যে বিষয়ে তথ্য জানতে চান সেটি সার্চবারে লিখে সার্চ করবেন। তারপর যে পাতাটি আপনার সামনে আসবে সেখানে ডানপাশে একটি সেটিংস আইকন দেখতে পাবেন; সেখানে ক্লিক করে Advanced search অপশনে যেতে হবে। নতুন পেজ এলে যেসব শব্দ খুঁজতে চান সেগুলো all these words বক্সে, যে শব্দটি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে খুঁজবেন সেটি this exact word or phrase ঘরে, যেকোনো একটি শব্দ খুঁজতে any of these words-এর ঘরে, ভাষা নির্বাচন করতে language, নির্দিষ্ট দেশভিত্তিক ফলাফল পেতে region, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যপ্তি নির্ধারণ করতে last update, ওয়েবপেজের ঠিক কোথায় খুঁজবে সেটি নির্ধারণে terms appearing এবং যদি কোনো নির্দিষ্ট টাইপের ফাইল খুঁজতে হয় তাহলে File type বক্স থেকে নিজের প্রয়োজনীয় অপশনটি বাছাই করতে হবে। এরপর অ্যাডভান্সড সার্চ বাটনে ক্লিক করলে চাহিদামাফিক তথ্যটি সুনির্দিষ্ট ভাবে পাওয়া যাবে। এভাবে আমরা নির্দিষ্ট ভাষায় নির্দিষ্ট এলাকার নির্দিষ্ট সময়ের আমাদের কাঙ্ক্ষিত তথ্যটি বেশ সহজে পেয়ে যেতে পারি। 

আরও জানুন
Issue area Method of finding information effectively in short time using 'Advanced Search' technique

মিজান সবেমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে। এখন সে স্নাতক পর্যায়ে জন্য পড়াশোনা করতে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক। আমেরিকা-ইউরোপের বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের জন্য সে আবেদন করেছে কিন্তু এখনো কোথাও থেকে ডাক আসেনি। প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ই আবেদন করার সময় মিজানকে একটি প্রবন্ধ লিখে জমা দিতে বলেছিল। প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল মোটামুটি এমন, “Why are you willing to study in this university & why should the university admit you? (আপনি কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান এবং কেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দিবে?)” মিজান ভাবলো কেন সে কষ্ট করে একই প্রবন্ধ বারবার লিখতে যাবে? ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্চ করে সে অনুরূপ একটি প্রবন্ধ ডাউনলোড করে ফেলে। এরপর প্রবন্ধে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-ঠিকানা পালটে একই লেখা সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিল। বেশ কিছুদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে মিজান যে আবেদন করেছিল তার উত্তর আসা আরম্ভ করল। সে লক্ষ্য করল, সবকয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরেই কোথাও না কোথাও লেখা আছে, “Due to plagiarism, your composition was invalidated & thus, we are sorry to inform you that our university could not accept your application for admission. (প্লেইজারিজমের দায়ে আপনার প্রবন্ধটি বাতিল হিসেবে গণ্য করা হয় এবং অত্যন্ত দুঃখের সাথে আপনাকে আমরা জানাচ্ছি যে, আপনার ভর্তি আবেদন আমরা গ্রহণ করতে পারছি না।)” আমরা প্রায়ই ইন্টারনেট অথবা অন্য ব্যক্তির থেকে তথ্য নিয়ে নিজেদের বলে চালিয়ে দেই। তথ্যগুলো হতে পারে কোন প্রশ্নের উত্তর, অন্যের লেখা গল্প/গবেষণা/জার্নাল/আর্টিকেল, কারো বক্তব্য কিংবা আরেকজনের তৈরি করা ছবি, ভিডিও, তথ্য, উপাত্ত। আমাদের প্রয়োজনে অন্য ব্যক্তির তৈরি করা তথ্য অনুমতি দেয়া থাকলে আমরা ব্যবহার করতেই পারি। কিন্তু এজন্য উল্লেখ করা (রেফারেন্স দেয়া) আবশ্যক যে কোথা থেকে এই তথ্য সংগৃহীত হয়েছে। রেফারেন্স না দেয়ার কারণে আমরা প্লেইজারিজম নামক অপরাধে দায়ী হচ্ছি নিজেদের অজান্তেই।প্লেইজারিজম কী?অন্য কোন ব্যক্তির কাজ (লেখা, ছবি, কথা ইত্যাদি) তার অনুমতি ব্যতিরেকে এবং তাকে যথাযথ স্বীকৃতি না দিয়ে নিজের নামে প্রকাশ করাকে প্লেইজারিজম বলা হয়। সহজ ভাষায় বললে, কারো তৈরি করা তথ্য তাকে স্বীকৃতি না দিয়ে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করাই প্লেইজারিজম। সাধারণত নিম্নের কাজসমূহ প্লেজারিজম বা তথ্য চুরির আওতায় পড়ে -·         অন্য কারো লেখা, চিন্তা ও বক্তব্য পরিবর্তন না করে অথবা আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে প্রকাশ করা। উদাহরণস্বরূপ – হুমায়ূন আহমেদ এর একটি গল্পকে একটু এদিক-ওদিক পরিবর্তন করে  কোন বইয়ের লেখক তার গল্পের জন্য ব্যবহার করলে বা নিজের গল্প বলে চালিয়ে দিলে তিনি প্লেইজারিজমের দায়ে অভিযুক্ত হবেন।·         উৎস উল্লেখ না করে কোন ছবি বা লেখা নিজের কাজে কপি-পেস্ট করা। যেমন – গুগল থেকে প্রকৃতির একটি ছবি ডাউনলোড করে নিজের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করা হলে সেটি প্লেইজারিজম।·         আরেকজনের বক্তব্য ব্যবহার করার সময় উদ্ধৃত না করা। ধরা যাক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কোন প্রবন্ধের কয়েকটি লাইন কেউ একজন তার রচনায় লেখার সময় উদ্ধৃত চিহ্ন (“ “) না দিয়ে উল্লেখ করলে তা প্লেইজারিজম হিসেবে গণ্য হবে। ·         প্রকৃত উৎস প্রদর্শন ব্যতীত তথ্যের সারাংশ ব্যবহার করা। যেমন – ইন্টারনেট থেকে কোন বিষয়ের উপর তথ্য সংগ্রহ করার পর ওয়েবসাইটসমূহের লিংক উল্লেখ না করে ঐ তথ্য সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করলে এটি প্লেইজারিজমের অন্তর্ভূক্ত হবে।প্লেইজারিজম রোধে তাই মূল লেখক অথবা প্রকৃত উৎস উল্লেখ করা অর্থাৎ রেফারেন্স প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রেফারেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু তথ্য প্রদর্শন করতে হয়। যেমন -১) লেখকের নাম: নিজের অ্যাসাইনমেন্ট, গবেষণা বা অন্য কোন প্রয়োজনে যদি কোন লেখকের বই, আর্টিকেল,  থেকে তথ্য ব্যবহার করা হয় তাহলে অবশ্যই লেখকের নাম উল্লেখ করতে হবে। লেখক যদি দুইজন বা তিনজন হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে সবার নামই উল্লেখ করতে হবে। তবে তিনজনের বেশি লেখক হলে প্রথমজনের নামের পরে ‘ও অন্যান্য’ লিখলেই চলবে। ২) প্রকৃত উৎসের প্রকাশকাল: কোন বই, জার্নাল, আর্টিকেল বা ডকুমেন্ট থেকে তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঐ ডকুমেন্ট কবে প্রকাশিত হয়েছিল তা লেখকের নামের পরে ব্র্যাকেটের ( ) মধ্যে লিখতে হবে। ৩) উৎসের শিরোনাম: যে বই, জার্নাল বা আর্টিকেল থেকে তথ্য নেয়া হবে তার শিরোনাম ইটালিক অক্ষরে (এভাবে বাঁকা করে) রেফারেন্সে লিখতে হবে। বইয়ের শিরোনাম লেখার ক্ষেত্রে সংস্করণ সংখ্যাও লেখা দরকার।৪) প্রকাশকের তথ্য: এটি কেবল বইয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যে বই থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে তা কোন প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত তা শিরোনামের পরে লিখতে হবে। সম্ভব হলে কোথায় প্রকাশিত হয়েছে তাও উল্লেখ করতে হবে।৫) পৃষ্ঠা নং: বইয়ের যে পৃষ্ঠা থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে সেটি লিখতে হবে। পরপর কয়েকটি পৃষ্ঠা থেকে তথ্য নেয়া হলে প্রথম পৃষ্ঠা নং ও শেষ পৃষ্ঠা নং এর মাঝে একটি হাইফেন চিহ্ন ( - ) দিতে হবে।৬) ইউআরএল (URL) এবং তথ্য সংগ্রহের তারিখ: কোন ওয়েবপেইজ থেকে নিজের প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহ করা হলে অবশ্যই ঐ ওয়েবপেইজের ইউআরএল বা ওয়েব অ্যাড্রেস প্রদর্শন করতে হবে এবং ওয়েবপেইজটি থেকে কবে তথ্যটি নেয়া হয়েছে সেটি লিখে দিতে হবে।৭) জোড় উদ্ধৃতি চিহ্ন: কোন ব্যক্তির কথা বা বক্তব্য হুবুহু ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই কোট করে দিতে হবে অর্থাৎ জোড় উদ্ধৃতি চিহ্ন দিয়ে আটকে দিতে হবে। যেমন – “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।“উদাহরণ: আবুল মনসুর আহমদ এর ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ বইটির ২০১৬ সালের সংস্করণ যা ঢাকার খোশরোজ কিতাব মহল থেকে প্রকাশিত হয় সেই বই থেকে আপনি কিছু তথ্য আপনার কোন একটা প্রবন্ধ বা অ্যাসাইনমেন্টে ব্যবহার করেছেন। সেক্ষেত্রে লেখার ভেতরে রেফারেন্স দিতে হবে এভাবে- আবুল মনসুর আহমদ (২০১৬) তার ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ বইয়ে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, “১৯৩৪ সালে জিন্নাহ সাহেব তাঁর লন্ডনের স্বয়ং নির্বাসন ত্যাগ করিয়া বোম্বাই আসেন। সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় আইন পরিষদে নির্বাচিত হন।” অথবা,মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৩৪ সালে লন্ডন থেকে বম্বে আসেন। আসার পর পরই তিনি কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন (আবুল মনসুর আহমদ, ২০১৬)শেষে তথ্যপঞ্জিতে এর উল্লেখ হবে এভাবে- আবুল মনসুর আহমদ, (২০১৬), আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, ঢাকা: খোশরোজ কিতাব মহল, পৃষ্ঠা ৮৮। ধরা যাক, প্রাথমিক শিক্ষকদের ডিপিএড প্রোগ্রামের ‘পেশাগত শিক্ষা: ১ম খণ্ড’ নামক একটি বই থেকে শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্টের জন্য কিছু তথ্য নিয়েছেন। বইটিতে ৫ জন লেখক আছে যার মধ্যে প্রথম জনের নাম শারমিন হক। বইটি ২০১৯ সালে ময়মনসিংহ এ অবস্থিত জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তাহলে লেখার ভেতরে এর উল্লেখ করতে হবে এভাবে- মূল্যায়ন দুই ধরনের- গাঠনিক এবং সামষ্টিক। আমরা বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন অগ্রগতি যাচাইয়ের জন্য সাধারণত গাঠনিক মূল্যায়ন করি (শারমিন হক, ২০১৯)। শেষে তথ্যপঞ্জিতে এর উল্লেখ হবে এভাবে- শারমিক হক ও অন্যান্য, (২০১৯), ডিপিএড পেশাগত শিক্ষা: ১ম খণ্ড, ময়মনসিংহ: জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, পৃষ্ঠা ৫২।   তথ্য চুরি বা প্লেইজারিজমের দায়ে অভিযুক্ত না হওয়ার জন্য রেফারেন্স প্রদান করা কতটা জরুরী তা আমরা এখন বুঝতে পারছি। তাই আমাদের নিজেদের কাজে যখনই অন্য কারো তথ্য ব্যবহার করতে হবে, অবশ্যই আমরা উপযুক্ত তথ্য উল্লেখের মাধ্যমে রেফারেন্স প্রদান করব।

আরও জানুন
Issue area যেকোন তথ্য/ ছবি/ খবর ব্যবহার করার পূর্বে তথ্যের সঠিকতা যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা

রূম্পা একটা সরকারি চাকরির জন্য বিভিন্ন সময় পরীক্ষা দিচ্ছে। এজন্য তাকে প্রায়ই তার শহর থেকে ঢাকায় আসতে হয়। সাধারণত ট্রেন ভ্রমণের মাধ্যমেই তাকে যাওয়া আসা করতে হয়। এমনই এক পরীক্ষার আগে সে টিকিট কেটে ফেলার পরে বাসায় এসে ফেসবুকে দেখলো যে আগামী দিন থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ। সে খবরটি দেখে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়লো। তার এক বান্ধবীকে ফোন দিয়ে জানলো যে সেও এমন একটা খবর দেখেছে। চিন্তিত হয়ে সে সারাদিন কোনো কাজ করতে পারলো না। রাতে বেলায় ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে ফোন দিলে সে জানতে পারলো যে খবরটা প্রায় পাঁচ বছর আগের; আগামী দিন যথা সময়ে ট্রেন চলবে। অর্থাৎ সে বিনা কারণে পুরো দিন নষ্ট করলো।এখানে কী দেখলাম? একটা ভুল তথ্য দেখার ফলে রূম্পার ভিতরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, এজন্য তার প্রথমেই উচিৎ ছিলো কোন নির্ভরশীল উৎস থেকে খবরটি যাচাই করে নেওয়া।সঠিক তথ্য আমাদের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যের সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তবে একটি বিষয়ে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে যে তথ্যটি “সঠিক” কিনা। সঠিক তথ্য যেমন বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে, তেমনি ভুল তথ্য অনেক বড় বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন-১) মিথ্যা বা ভুল তথ্যের কারণে মানুষ প্রতারিত হতে পারে।২) মানুষের ভিতরে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়তে পারে।৩) সামাজিক হেনস্তার শিকার হতে পারে।৪) সামাজিক ও রাজনৈতিক হানাহানি, সংঘাত এমন কি প্রাণহানিও ঘটতে পারে।৫) আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি সাধন হতে পারে। ৬) সামাজিকভাবে হেয় হতে পারে।  এজন্য যেকোনো তথ্য প্রকাশ বা শেয়ারের আগে তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আপনি যখন কোন তথ্য পোস্ট বা শেয়ার করবেন তখন অবশ্যই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কোনো কিছু পোস্ট বা শেয়ার করার আগে তথ্যের নির্ভুলতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হতে হবে। এছাড়া এই তথ্য শেয়ারের ফলে কোন ঝুঁকি আছে কিনা বা কোন বিভ্রান্তি, ভুল বোঝাবুঝি বা সংঘাতের সৃষ্টি হবে কিনা এসব বিষয়ও ভাবা দরকার। শেয়ার বা পোষ্ট করার পূর্বে বিষয়বস্তু সত্য কিনা তা যাচাই করতে অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং সংবাদ মাধ্যমে খোঁজ করতে হবে। বিষয়বস্তু নির্মাতার কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে সে সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে।  বিষয়বস্তু তৈরি করার সময় নির্মাতা তাদের নিজস্ব লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য মিথ্যা মতামতকে সত্য হিসাবে উপস্থাপন করতে পারে। বিষয়বস্তুটি সমাজের কারো উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না তা চিন্তা করতে হবে।মিথ্যা বা ভুল তথ্য শেয়ারের ফলে ফলাফলগুলো বিবেচনা করে আমরা যে কোনো তথ্য প্রকাশ বা শেয়ার করার পূর্বে অবশ্যই তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নিব।

আরও জানুন
Issue area ভুল/ মিথ্যা তথ্য বা Hoax Site কিভাবে চিহ্নিত করা যায়

সেতু আক্তার একজন গার্মেন্টস কর্মী। গার্মেন্টসে কাজ করেই তাকে তাকে তার সংসার চালাতে হয়। বাবা অসুস্থ হওয়ার কারণে তাকে নিজেই অর্থ উপার্জনের জন্য রাত দিন কষ্ট করতে হয়। সকালে বাসে করে গার্মেন্টস যাওয়ার পথে ফেসবুক ব্যবহার করছিলেন। হঠাৎ করে একটা খবর দেখে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন। দেখলেন যে, নতুন এক ভাইরাস আক্রমণের কারণে তাদের গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাথে সাথে সংবাদটি তার একাউন্টে শেয়ার করে দিলেন। তার কিছু ফেসবুক বন্ধুও সাথে সাথে সংবাদটি শেয়ার করে দিলেন।গার্মেন্টসে পৌঁছানোর পর দেখলেন সবাই বেশ অস্থির হয়ে আছে, কেউ চাচ্ছেন না গার্মেন্টস বন্ধ হোক। প্রায় বিকাল পর্যন্ত তারা ওভাবেই বসে থাকলেন। এমন সময় গার্মেন্টসের মালিক আসলেন, এসে বললেন গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ার কোনো খবরই সত্য নয়। এমন কোনো ধরনের খবর তার কাছে আসেনি; অর্থাৎ গার্মেন্টস খোলা থাকবে।সেতু বুঝতে পারলেন, কোনো খবরই আসলে যাচাই বাছাই না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা উচিৎ নয়। সে খুবই বিব্রতবোধ করলো।সেতুর মতো এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না পড়তে চাইলে আপনাকে ভুয়া তথ্য এবং ওয়েবসাইট সনাক্তকরণের উপায় গুলো জানতে হবে। যেমন- ১। উৎসটি যাচাই করা: ফেসবুকে বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভুয়া তথ্যগুলির শিরোনাম আপনাকে আকৃষ্ট করতে পারে। তবে বিভিন্ন রঙচঙা শিরোনামের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার সাথে সাথেই তা শেয়ার করে ছড়িয়ে দেওয়ার আগে অবশ্যই উৎসটি যাচাই করে নিতে হবে।২। নিশ্চিতকরণের জন্য গুগলের সাহায্য নেওয়া: কোনো তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার পূর্বে তার সত্যতা নিশ্চিত করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে, গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তা নিয়ে বিভিন্ন তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারবেন।৩। প্রমাণাদি যাচাই-বাছাইকরণ: তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করণের পরে প্রাপ্ত প্রমাণাদি যাচাই করার মাধ্যমে তথ্যটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য সূত্র, সংবাদ মাধ্যম এবং তথ্যের উৎস যাচাই করার মাধ্যমে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ৪। ইউআরএল-টি ভালো করে চেক করে নেওয়া: সাধারণত কোন ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে বা প্রতিষ্ঠিত কোন ওয়েব সাইটের কাছাকাছি নামে নতুন ওয়েব সাইট করে সেখান থেকে ফেক নিউজ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর সন্দেহজনক মনে হলে ওয়েব সাইটটির বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। বিশ্বের ওয়েবসাইট ঠিকানার বিষয়াদি দেখভাল করে থাকে আইক্যান (ICANN)। কোন ওয়েবসাইট নিয়ে সন্দেহ হলে, আইক্যানের ডোমেইন অনুসন্ধান পাতায় গিয়ে তাদের ওয়েবসাইট ঠিকানাটি লিখবেন। https://whois.icann.org/en  এই পাতায় গিয়ে দেখতে পাবেন, ওয়েবসাইটটি কবে তৈরি হয়েছে, কে তৈরি করেছে। সাধারণত ভুয়া ওয়েব সাইটের নির্মাতাদের পরিচয় লুকানো থাকে এবং অসম্পূর্ণ তথ্য থাকে।   ভুয়া তথ্য শেয়ার বা ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য শুধু যে বিভ্রান্তি সৃষ্ট করে তা নয়, বিভিন্ন ভুল তথ্যের কারণে কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মারাত্নক ক্ষতিও সাধন হতে পারে। এজন্য আমরা ভুয়া তথ্য এবং ওয়েবসাইট সনাক্তকরণের উপায় গুলো অবলম্বন করে সঠিক তথ্যটি ব্যবহার করবো। 

আরও জানুন
Issue area Requirement to refrain from disclosing sensitive information

রুবেল সাহেব তার একমাত্র ছেলে সাফি ও স্ত্রীসহ ঢাকা শহরে বাস করেন। হঠাৎ মাথার চুল পড়ে যাওয়ায় তিনি অফিসে নকল চুল (উইগ) পরেন। একদিন দুপুরে খাবারের আগে তিনি তার নকল চুল খুলে হাত-্মুখ ধোয়ার সময় তার এক সহকর্মী সেটা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে এবং সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।   খাবার শেষে নিজের ডেস্কে পৌঁছানো মাত্রই খেয়াল করলেন অফিসের সকলেই তার দিকে তাকিয়ে আছেন। ডেস্কে এসে দেখলেন অফিসের অনলাইন গ্রুপে সবাই তার ভিডিও  নিয়ে আলোচনা করছে।আমাদের আশেপাশে প্রায়ই এভাবে বিভিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। তড়িৎ উত্তেজনার কারণে আমরা যেকোনো সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করে ফেলি। তাই সংবেদনশীল ঘটনা প্রচারের পূর্বে দরকার যথাযথ বিবেচনা ও সচেতনতা। যে কারনে এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্য প্রচারের পূর্বে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা নিম্নরূপ: ১. অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ: সংবেদনশীল ঘটনা থেকে উত্তেজনাবশত ঘটে যেতে পারে নানান দুর্ঘটনা। এ কারনে এ ধরনের তথ্য প্রচারের পূর্বে চাই পূর্ণ সচেতনতা। ২. কারোর অনুভুতি আঘাত না দেয়া: ধর্ম সম্পর্কিত কিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো সম্প্রচারের কারণে কারোর আবেগীয় বা ধর্মীয় অনুভুতি আঘাত পেতে পারে। তাই সেই সকল সংবেদনশীল তথ্য প্রচারে সতর্ক থাকা জরুরী। ৩. সমাজের সম্প্রীতি রক্ষা: আমাদের সমাজে নানা মত-ধর্ম-আদর্শের মানুষ বসবাস করে। সমাজের সকল স্তরে শান্তি রক্ষার জন্যে প্রয়োজন সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশে সাবধানতা। ৪. পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি: সকলে মিলে সুখে শান্তিতে বসবাসের জন্য প্রয়োজন পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। আর তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজন সংবেদনশীল তথ্য প্রচারে বিরত থাকা। ৫. গোপনীয়তা রক্ষা: একসাথে চলতে পথে আমরা আমাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠী বা সহকর্মীদের সম্পর্কে এমন অনেক তথ্য জেনে থাকি যেগুলো তাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ । এমনও হতে পারে সেই তথ্যগুলো তারা গোপন রাখতে চাচ্ছে; সেই ধরনের তথ্যগুলো প্রচার করে কখনোই তাদের জন্য অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা যাবে না।

আরও জানুন
Issue area ভুল/মিথ্যা তথ্য জেনে বুঝে/ ইচ্ছাকৃত ব্যবহার বা অনলাইন সেবা ও সামাজিক গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই না করে ব্যবহার করার ঝুঁকিগুলো কী

রুবেল আহমেদ একজন পেশাজীবী খেলোয়াড়। হুট করে তার ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে সে বেশ চিন্তিত। পরিচিত মানুষদের প্রায়ই জিজ্ঞেস করে কোনো সহজ উপায় আছে কিনা ওজন দ্রুত কমিয়ে ফেলার জন্য । একেক জন একেক রকমের বুদ্ধি দেয়; মাঝে মাঝে সে কিছু উপায় মেনেও চলে তবে তেমন কোনো ফলাফল সে পাচ্ছে না।তার বন্ধু রাকেশ বুদ্ধি দিলো ইউটিউবে ভালো ভালো কিছু উপদেশ দেয় যেগুলো মেনে চললে তার উপকার হবে। এটা জেনে সে ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও দেখা শুরু করলো এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে থাকলো। বেশ কিছুদিন পর সে খেয়াল করলো যে তার কোনো ওজনই কমে নাই বরং সে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি দুর্বল হয়ে গেছে।ঘটনাটি থেকে আমরা কী বুঝতে পারলাম? কোনো ধরনের সামাজিক মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য আমরা যাচাই না করে কখনোই ব্যবহার করবো না। হতে পারে সেটি কোনো স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট অথবা রূপচর্চা বিষয়ক ওয়েবসাইট; যেই ওয়েবসাইট হোক না কেনো আমাদেরকে অবশ্যই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করে তথ্যসমূহ ব্যবহার করতে হবে। যে কোনো ধরনের ভুল তথ্য আমাদের শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। যেমন-১) বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন পেইজগুলো থেকে অনলাইন সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ সাবধানতা অবলম্বন করবেন। মিথ্যা বা ভুল তথ্যের কারণে একদিকে আপনি যেমন প্রতারিত হতে পারেন, তেমনি আরেকদিকে ভুল তথ্য ব্যবহার করার ফলে আপনার শারীরিক ও মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।২) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাপ্ত যেকোনো তথ্যই দেখা মাত্রই শেয়ার করা থেকে বিরত থাকবেন। এতে করে মানুষের ভিতরে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে।৩) যে কোন তথ্য শেয়ার করার পূর্বে ভেবে নিবেন যে তথ্যটি শেয়ার করার ফলে কোনো জাতি-গোষ্ঠীকে ছোট করা হচ্ছে কি না। তা না হলে সে জাতি সামাজিকভাবে হেয় অনুভব করতে পারে।৪) কিছু ভুল বা মিথ্যা তথ্য শেয়ার করলে বা কোনো কথোপকথনে ব্যবহার করলে সামাজিক ও রাজনৈতিক হানাহানি, সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে, এমন কি প্রাণহানিও ঘটতে পারে।৫) অনেক সময় অনেক ধরনের অনলাইন সেবা লাভ করার জন্য আমাদের অগ্রিম টাকা প্রদান করতে হয়। যদি এমন হয়ে থাকে যে অনলাইন সেবার পেইজ বা ওয়েবসাইটটি ভুল সেবা প্রদান করে অথবা সেবা প্রদান করতে অস্বীকার করে তাহলে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিরও সম্ভাবনা থাকতে পারে। এজন্য যেকোনো তথ্য প্রকাশ বা শেয়ারের আগে তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আপনি যখন কোন তথ্য পোস্ট বা শেয়ার করবেন তখন অবশ্যই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কোনো কিছু পোস্ট বা শেয়ার করার আগে তথ্যের নির্ভুলতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হতে হবে। এছাড়া এই তথ্য শেয়ারের ফলে কোন ঝুঁকি আছে কিনা বা কোন বিভ্রান্তি, ভুল বোঝাবুঝি বা সংঘাতের সৃষ্টি হবে কিনা এসব বিষয়ও ভাবা দরকার। শেয়ার বা পোষ্ট করার পূর্বে বিষয়বস্তু সত্য কিনা তা যাচাই করতে অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং সংবাদ মাধ্যমে খোঁজ করতে হবে। নতুবা একদিকে ভুল বা মিথ্যা তথ্য যেমন আমাদের শারীরিক, মানসিক বা আর্থিক ক্ষতি সাধন হতে পারে, অন্যদিকে একটি জাতি ও দেশের জন্যও হুমকিস্বরূপ।

আরও জানুন
Issue area Warning about data storage in the app

রতন তার ছোট ভাই বোনদের অনেক ভালোবাসে। যে কোনো ছোট-বড় অনুষ্ঠানে সবাই মিলে বেশ আনন্দ করে। সামনে তার ছোট ভাইয়ের জন্মদিনের জন্য সে ভাবতে লাগলো কী করলে তার ভাই অনেক খুশি হয়ে যাবে। একটা বুদ্ধি পেয়ে গেলো; ভাবলো তার ভাইয়ের সাথে ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত কিছু ছবি নিয়ে সেগুলো প্রিন্ট করে অ্যালবাম বানিয়ে দিবে। এজন্য সে অনেক বছর আগে থেকে তার ছোট ভাইয়ের সাথে যে ছবিগুলো ফেসবু্কে আপলোড দিয়েছিলো তার মধ্যে বেশ কয়েকটা ছবি ডাউনলোড করে সেগুলো প্রিন্ট করার জন্য দোকানে নিয়ে গেলো। প্রিন্ট করে ছবি গুলো বাসায় নিয়ে আসার পর দেখে সব ছবি গুলোর কোয়ালিটি খুবই বাজে; কিছু ছবি ভেঙেও গিয়েছে। ছবিগুলো দেখে তার মন বেশ খারাপ হয়ে গেলো।পরের দিন ছবিগুলো নিয়ে তার বন্ধু সাদিককে দেখালে সে জিজ্ঞেস করলো ছবিগুলো আগে থেকেই এমন ছিলো কিনা। রতন জানালো ছবিগুলো আসলে কখনোই এমন ছিল না। তখন তার বন্ধু আবার জিজ্ঞেস করলো, ‘ছবিগুলো ফেসবুক থেকে ডাউনলোড করার সময় করার সময় কি তোমার ডাটা সেভার অন করা ছিলো?’ কিছুক্ষণ ভেবে রতন বললো, “ডাটা যাতে কম খরচ হয় এজন্য আমি তো সবসময়ই ডাটা সেভার অন করে রাখি।“তখন সাদিক বুঝিয়ে বললো যে এজন্যই তার ছবিগুলোর কোয়ালিটি এমন বাজে হয়ে গিয়েছিলো।আমরা এখন অনেকেই মোবাইল ডাটা ব্যবহারে বেশ সচেতন হয়ে গেছি। ডাটা সাশ্রয়ের জন্য আমরা কিছু কৌশলও অবলম্বন করি; যেমন- ডাটা সেভার অন করে রাখা, প্রয়োজন ছাড়া ভিডিও অফ করে রাখা। মূলত ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় অল্প সময়েই মোবাইলের অনেক ডাটা খরচ হয়ে যায়। মোবাইলের ডাটা খরচ কমানোর জন্য অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত করে দিচ্ছে, আবার অনেকে রতনের মতো ডাটা সাশ্রয়ে সচেতন হচ্ছে। কিন্তু ডাটা সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে; নাহলে উপরের ঘটনার মতো কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমাদের সাথে হতে পারে।চলুন তাহলে জেনে নিই ডাটা সংরক্ষণের সময় কোন বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।১) আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনে (যেমন- গবেষণার কাজে, স্লাইড প্রেসেন্টেশনে) ছবি ডাউনলোড করার জন্য গুগল ক্রোম ব্যবহার করে থাকি। এ অবস্থায় গুগল ক্রোম ব্রাউজারের ডাটা সেভার নামের ফিচারটি চালু করা থাকলে বিভিন্ন ছবি ও ওয়েব সাইটের তথ্য সংকুচিত করে মোবাইলে দেখাবে। এতে করে আপনার মোবাইল ডাটার খরচ অনেকটা কমে গেলেও ডাউনলোড করা ছবি ব্যবহারযোগ্য থাকবে না। এজন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, ছবি বা ভিডিও ডাউনলোড করার সময় ব্রাউজারের ডাটা সেভার অপশনটি অফ করে নিন। ২) অডিও বা ভিডিও স্ট্রিমিং এর ক্ষেত্রে ডাটা সাশ্রয়ের জন্য আমরা অনেকসময়ই স্ট্রিমিং এর কোয়ালিটি একদম কমিয়ে রাখি। টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক অ্যাপে আমরা এই ধরনের সুযোগ নিয়ে থাকি। কিন্তু অডিও বা ভিডিও স্ট্রিমিং যদি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে (যেমন- অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণ, টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ, সরাসরি ক্লাসে অংশগ্রহণ) তাহলে স্ট্রিমিং এর কোয়ালিটি কমিয়ে রাখার জন্য আমরা সেই ভিডিও থেকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল লাভ করতে পারব না। এজন্য এই বিষয়টি মাথায় রেখে অডিও ও ভিডিও-এর কোয়ালিটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।৩) অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় কিছু মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আছে যা ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করতে থাকে। ফলে মোবাইলের ডাটার অপচয় হয়। এজন্য আমরা মোবাইল ফোনের সেটিংসে গিয়ে Restrict Background অপশনটি চালু করে রাখি। এই অপশনটি চালু করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, আমরা কোন অ্যাপের জন্য অপশনটি চালু করছি; অনেক সময় Restrict Background অপশনটি চালু করার কারণে অনেক প্রয়োজনীয় অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। ফলে প্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারে; যেমন- ম্যাসেঞ্জারের মেসেজের নোটিফিকেশন, হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ  নোটিফিকেশন। এতে করে জরুরি ভিত্তিতে কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে সেটা সম্ভব হবে না। এই বিষয়টির ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে শুধুমাত্র অপ্রয়োজনীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ডের কাজ বন্ধ রাখতে পারেন।ডাটার খরচ বৃদ্ধির কারনে আমাদের অবশ্যই ডাটা সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তবে এই ডাটা সংরক্ষণ করতে গিয়ে যাতে কোনো প্রয়োজনীয় তথ্য দৃষ্টির অগোচরে না চলে যায়; সেজন্য আমাদের উপরে উল্লিখিত সতর্কতাগুলো অবলম্বন করে হবে।

আরও জানুন