Issue area ডিজিটাল ডিভাইস কী

আমরা প্রায় সকলেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে হিসাব নিকাশ করার জন্য ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে থাকি। এই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার ফলে জটিল গাণিতিক সমস্যাগুলোর সমাধান খুব সহজেই করা যাচ্ছে। এই ক্যালকুলেটর হলো এক ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস।আবার, আমরা অনেকেই টেলিভিশনে খেলা দেখি, বিভিন্ন দেশ-বিদেশের খবর দেখি; নাটক-সিনেমা দেখে থাকি। বিনোদনের জন্য এই টেলিভিশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি হলো আরেক ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস।এবার তাহলে,মোবাইল ফোনের কথা বলা যাক। মোবাইল ফোন কম বেশি সবাই ব্যবহার করে থাকে। আবার, অনেকে অফিস আদালতের বিভিন্ন কাজে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপও ব্যবহার করে থাকে।তবে আমরা কি এটা জানি যে এই যে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করি সেগুলো প্রত্যেকটিই ডিজিটাল ডিভাইস?চলুন তাহলে আমরা জেনে নিই, ডিজিটাল ডিভাইস বলতে আসলে কী বুঝায়।ডিজিটাল ডিভাইস হচ্ছে এমন ধরনের ইলেকট্রনিক বা তথ্য প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র যার মাধ্যমে আপনি কোনো তথ্য তৈরি, সংরক্ষণ, প্রেরণ ও শেয়ার করতে পারবেন। তবে ডিজিটাল ডিভাইসের কাজ এখানেই শেষ নয়। বরং এসকল কাজ ছাড়াও দূর দূরান্তে মানুষের সাথে যোগাযোগ থেকে শুরু করে আমাদের দৈনন্দিন জীবন, শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে নানাবিধ কাজকে অনেক বেশি সহজতর করে তুলছে এই ডিজিটাল ডিভাইস।বর্তমানে প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে বিদ্যমান ডিজিটাল ডিভাইসগুলোও প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত হচ্ছে। পরিচিত কিছু ডিজিটাল ডিভাইস:·         ডেস্কটপ কম্পিউটার·         ল্যাপটপ·         ডিজিটাল ক্যামেরা·         টেলিভিশন·         রেডিও·         মোবাইল ফোন·         যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক বুক রিডার·        ক্যালকুলেটর·         স্টোরেজ ডিভাইস (যেমন- পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড, সিডি) ·         ইনপুট ডিভাইস (যেমন- কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার)·         আউটপুট ডিভাইস (যেমন- প্রিন্টার, স্পিকার)·         মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরএই ডিভাইসগুলো ব্যবহার আমাদের সময় ব্যবস্থাপনাকে তুলনামুলক সহজ করে তুলেছে, বিশাল দূরত্বে অবস্থান করা কাছের মানুষগুলোকে কাছে এনে দিয়েছে। এজন্য এই ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ব্যবহারে আমরা সচেতন হব যাতে এগুলোর অসতর্ক ব্যবহার আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। 

আরও জানুন
Issue area বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের সাধারণ নিয়মাবলি

আমরা বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ডিভাইসের সাথে পরিচিত। কোনোটি আমরা আমাদের হাতের মুঠোয় রাখতে পারি, আবার কোনোটা টেবিল বা ডেস্কে রেখে ব্যবহার করে থাকি। আকার যেমনই হোক না কেন এই ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ব্যবহারে যত্নশীল হতে হয়। এজন্য আমাদের সকলের উচিৎ এই ডিভাইসগুলোর ব্যবহারের কিছু সাধারণ নিয়মাবলি অনুসরণ করা যাতে সেগুলো সুরক্ষিত থাকে এবং আমরা সেই ডিভাইসের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি ।ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ নিয়মাবলি-১) খেয়াল রাখবেন যাতে ল্যাপটপ সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে এবং ল্যাপটপের ভিতরে কোনো ধুলাবালি ঢুকে না যায়।২) ব্লুটুথ, ওয়াইফাই ইত্যাদি যোগাযোগ মাধ্যমগুলো যেগুলো ল্যাপটপের সাথে সংযুক্ত থাকে সেগুলো প্রয়োজন ছাড়া চালু রাখবেন না।৩) খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া সরাসরি সূর্যের আলোয় ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না।৪) ল্যাপটপের ব্যাটারির চার্জ ১০০% হলে সেটি চার্জ নেওয়া বন্ধ করে সরাসরি বিদ্যুৎ থেকে শক্তি নিয়ে চলতে থাকে। অন্যদিকে চার্জ ২০%-এ নেমে আসলে ডিভাইসটি তখন ব্যবহার না করে যতদ্রুত সম্ভব চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। কারণ এই দুই ক্ষেত্রেই ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ব্যবহারের জীবনকাল/মেয়াদ কমে যায়।  তবে কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি এমন নয়; কম্পিউটারের সাথে সর্বদাই বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখতে হয়।৫) কম্পিউটারের সঙ্গে ইউপিএস ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এতে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ গোলযোগ হলেও সাথে সাথেই কম্পিউটার বা ডেস্কটপটি বন্ধ হয়ে যাবে না; আপনি যথেষ্ট সময় পাবেন সঠিক উপায়ে কম্পিউটার বা ডেস্কটপটি বন্ধ করার জন্য।৬) আপনার ডিভাইসটি পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত রাখবেন এবং আপনার জায়গা থেকে উঠে যাবার সময় কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সিস্টেম লক করে যাবেন।৭) আপনার ডিভাইসটিতে কোনো ধরনের অননুমোদিত সফটওয়্যার ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়াও সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে ডিভাইসে কোনো ধরনের ফ্রি সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন না।৮) সবসময় আপনার ডিভাইসটিতে একটি আপডেটেড লাইসেন্সড  ভার্সন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ নিয়মাবলি-১) চেষ্টা করবেন যাতে আপনার মোবাইল ফোনটি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।২) ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, হটস্পট ইত্যাদি যোগাযোগ মাধ্যমগুলো যেগুলো ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত থাকে সেগুলো প্রয়োজন ছাড়া চালু রাখবেন না। এছাড়াও যে কোন অপ্রয়োজনীয় সার্ভিস বন্ধ রাখবেন।৩) পরিবেশগত বাহ্যিক তাপ যেকোনো মোবাইলের ব্যাটারির শক্তিকে কমিয়ে দেয়। এজন্য খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া সরাসরি সূর্যের আলোয় মোবাইলফোন না অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করবেন না।৪) চার্জ ১০০% হয়ে গেলে ব্যাটারিতে বাড়তি চার্জ দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে চার্জ ২০%-এ নেমে আসলে তখন ব্যবহার না করে যতদ্রুত সম্ভব চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।৫) মেমোরি কার্ড, পেন ড্রাইভ, সিডি - এই ধরনের স্টোরেজ ডিভাইসগুলো নষ্ট হয়ে গেলে সেগুলো যেখানে সেখানে ফেলে দিবেন না অথবা বিক্রি করবেন না। বিধি বিধান অনুসারে সেগুলো ধ্বংস করে দিবেন।৬) আপনার মোবাইল ফোনটি পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত রাখবেন।৮) আপনার মোবাইল ফোনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য, ফাইল বা ছবি আপনি সংরক্ষণে রাখতে পারেন। আপনার ফাইলগুলো যাতে সুরক্ষিত থাকে সেজন্য নিয়মিত বিকল্প কোনো স্টোরেজ ডিভাইসে ব্যাকআপ রাখবেন।৯) আপনার মোবাইল ফোনে কোনো ধরনের অননুমোদিত সফটওয়্যার ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়াও সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে ডিভাইসে কোনো ধরনের ফ্রি সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন না।এই ধরনের কিছু সাধারণ নিয়মাবলি অবলম্বনের মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল ডিভাইসের সুরক্ষা নিশ্চিত করে সেটি ব্যবহার করতে পারেন।

আরও জানুন
Issue area কী কী কাজে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা যায়

রুবেল আহমেদ তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় বাস করে। ছুটির দিনে একদিন তিনি তার মোবাইল ফোন দিয়ে সংবাদপত্র পড়ছিলেন। এমন সময় তার দুই ছেলে তার সামনে এসে বললো, “বাবা, তোমার মোবাইল ফোনটা দাও, আজ আমাদের অনলাইনে ড্রইং ক্লাস আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে।“ ছেলেদের ফোনটি দিয়ে তার স্ত্রীর কাছে গিয়ে দেখে সে ইউটিউব দেখে দেখে রান্না শিখছে। সে মনে মনে বললো,” ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর ব্যবহারের পরিধি কত বিশাল!”আসলেই ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর ব্যবহারের পরিধি সুবিশাল। যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে বিশ্বের অসমাধানকৃত বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান বের করা সম্ভব হচ্ছে এই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে। এজন্য ডিজিটাল ডিভাইসের বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা উচিৎ।ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহারের বিশাল পরিধিকে কয়েকটি ক্ষেত্রে ভাগ করে এর কাজগুলোকে আলোচনা করা হলো-যোগাযোগের ক্ষেত্রে:ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো স্থান থেকে যে কোনো সময়ে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব।ব্যবহারসমূহ:১) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই কথা বলা এবং বার্তা প্রেরণ করতে পারি।২) শুধুমাত্র কথা বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, ডিজিটাল ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে (যেমন- ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ইত্যাদিতে) ভিডিও কল বা সরাসরি কথাপোকথনও সম্ভব।৩) ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার (যেমন- ফেসবুক, টুইটার) করা সম্ভব।এছাড়াও ডিজিটাল ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ইমেইল, ছবি, ভিডিও বা যেকোনো ফাইল প্রেরণ করা সম্ভব।শিক্ষা ক্ষেত্রে:বর্তমানে শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই শিক্ষা গ্রহণ আর সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই বিভিন্ন শিক্ষামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারি।ব্যবহারসমূহ:১) মোবাইল বা ল্যাপটপের মাধ্যমে শিক্ষামূলক বিভিন্ন অ্যাপ (যেমন- খান কিডস, লিংগো কিডস, টেন মিনিট স্কুল) ব্যবহার করা যায়।২) মোবাইল বা ল্যাপটপের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণ করা যায়।৩) গুগল মিট, জুম, ক্লাসরুমসহ বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষামূলক আলোচনায় অংশগ্রহণ করার জন্য মোবাইল ফোন বা ডেস্কটপ /ল্যাপটপ দরকার পড়বে।৪) যেকোনো ধরনের তথ্য অনুসন্ধানে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করা একটি ডিজিটাল ডিভাইস দরকার।৫) বর্তমানে বিভিন্ন চাকরির আবেদন, ফরম পূরণ অনলাইনের মাধ্যমেই সম্পন্ন হচ্ছে শুধু একটি ডিজিটাল ডিভাইসের সহায়তা নিয়ে।কর্ম ক্ষেত্রে:কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজকে আরও বেশি দ্রুততা এবং দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহারের মাধ্যমে।ব্যবহারসমূহ:টেলিকনফারেন্সিং ও ভিডিও কনফারেন্সিংসহ বিভিন্ন ধরনের অফিশিয়াল কাজের জন্য (যেমন-ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার, স্প্রেডশিট সফটওয়্যার) করতে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ প্রয়োজন। এছাড়াও নিজস্ব কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি (যেমন-ফ্রিল্যান্সিং) করতে ডিজিটাল ডিভাইস বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।যাতায়াতের ক্ষেত্রে:ইন্টারনেট সংযোগে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে আমরা সারা বিশ্বের মানচিত্র একটি ছোট স্ক্রিনে আনতে পারি। ফলে যে কোনো জায়গায় যাওয়া আমাদের জন্য অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে।ব্যবহার সমূহ-১) মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আমরা এখন খুব সহজেই নিজের অবস্থান ও আশেপাশের প্রয়োজনীয় স্থান সম্পর্কে ধারনা পেতে পারি।২) নতুন কোনো জায়গায় যেতে সঠিক পথ প্রদর্শন এবং অন্য কারও অবস্থান ট্র্যাক করার জন্য আমরা আমাদের ডিজিটাল ডিভাইসের ম্যাপস অ্যাপগুলো (যেমন- গুগল ম্যাপস) ব্যবহার করতে পারি।বিনোদনের ক্ষেত্রে:বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজের সাথে সাথে ডিজিটাল ডিভাইস বিনোদনের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে।১) টেলিভিশন দেখা, সিনেমা দেখা, গান শোনা, গেইম খেলা সহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক কাজের জন্য আমরা টেলিভিশন, মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকি।২) ছবি তোলা ও ভিডিও বানানোর জন্য ডিজিটাল ক্যামেরা বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারি এবং ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি বা ভিডিও শেয়ার করতে পারি।৩) ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে আমরা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে পারি।এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অনলাইন সেবা যেমন- ডাক্তারের অ্যাপয়েনমেন্ট নেওয়া, ট্রেন বা বাসের টিকিট বুকিং, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, জন্ম নিবন্ধন সংশোধন, টেলিমেডিসিন সেবা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সেবা আমরা খুব সহজেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে পেয়ে থাকি।

আরও জানুন
Issue area ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা

সামিনা আক্তার তার অফিসের সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি জিমেইল একাউন্ট তৈরি করেছিলেন। তিনি নিয়মিত তার ইমেইল চেক করেন। একদিন তার কাছে অপরিচিত  একটি ইমেইল আইডি থেকে লিংকসহ মেইল আসলো। তিনি ইমেইলের লেখাগুলো পড়ে দেখলেন যে লিংকটি একটি “ফোটো এডিটর” অ্যাপের অর্থাৎ এই অ্যাপের মাধ্যমে তিনি তার ফোনের যেকোনো ছবি এডিট করতে পারবেন। তিনি লিংকে প্রবেশ করলেই তার মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপ ডাউনলোড হওয়া শুরু হয়ে গেলো। তারপর অ্যাপটি ইনস্টল করার জন্য তার কাছে তার ফোনের কনট্যাক্ট (Contact ) এবং লোকেশন ( Location ) এক্সেস চাইলে তিনি সেটার অনুমতি দিয়ে দিলো। পরের দিন থেকে খেয়াল করলেন যে তার ফোনে বিভিন্ন নাম্বার থেকে এমন মেসেজ আসছে-“আপনি ৫০,০০০ টাকার লটারি জিতেছেন। পুরস্কার গ্রহণ করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-https://drive.google.com/file/d/1Vmy8Wr6gwMz1U4JPUn8brbLXYLQqN/view?usp=sharing “ আপনি কী মনে করেন? এই যে সামিনা আক্তারের ফোনে যে অনবরত বিরক্তিকর ও অপ্রয়োজনীয় মেসেজ আসতে থাকে এর পিছনের কারণ কী? অসতর্কতার কারণে সামিনা আক্তার একধরনের ঝুঁকির শিকার হয়েছে। অসতর্ক পদক্ষেপের ফলে তার ফোনের কন্ট্যাক্ট (Contact) এর তথ্যগুলো কোনো দুষ্টচক্র পেয়ে গেছে এবং এই তথ্য ব্যবহার করে  তার ফোন নাম্বারে বিভিন্ন প্রলোভনমূলক মেসেজ পাঠাচ্ছে। পুনরায় সে লিংকে প্রবেশ করলে ডিজিটাল ডিভাইসের আরও কিছু গোপন তথ্য যেমন- ছবি, ভিডিও, ফাইল পর্যন্তে তারা প্রবেশ করতে পারে। এজন্য যে কোনো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। দিন দিন ডিজিটাল ডিভাইস বৃদ্ধির সাথে সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টি প্রতি বছর আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই বিনোদন, নেভিগেশন (Navigation), ব্যায়াম এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য ডিজিটাল ডিভাইসের উপর নির্ভর করে তবে দুর্ভাগ্যবশত, আপনার ডিভাইসের কোনো অ্যাপ আপনাকে ট্র্যাক করছে কিনা তা বলার কোনো নির্দিষ্ট উপায় নেই। আপনি হয়ত মনে করছেন যে, অ্যাপটি আপনার দৈনন্দিন জীবনকে অনেকটা সহজ করছে কিন্তু হতেই পারে অ্যাপটি আপনার ডিজিটাল ডিভাইসে রাখা প্রয়োজনীয় ও গোপনীয় তথ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। এ ব্যাপারটি মাথায় রেখে, আপনার ডিজিটাল ডিভাইসের সুরক্ষা বাড়াতে হবে। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা কিছু ভয়ানক ঝুঁকির হাত থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারি।  এখানে আমরা কিছু সতর্কতা সম্পর্কে আলোচনা করব-  ১) অপরিচিত কাউকে আপনার ডিজিটাল ডিভাইসটি ব্যবহার করতে দিবেন না এবং সবসময়ই আপনার ডিজিটাল ডিভাইসটি পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখবেন। বন্ধু-বান্ধব বা সহকর্মীদের সাথে আপনার পাসওয়ার্ডটি শেয়ার করবেন না। ২) যে কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে অ্যাপটি আপনার ফোনের কোন ফিচারের এক্সেস চাচ্ছে ; যেমন: আপনি যদি কোনো ছবি এডিট করার অ্যাপ ডাউনলোড করেন তাহলে ইনস্টল করার সময় আপনার ফোনের গ্যালারির এক্সেস চাইবে এবং সেই অনুমতি আপনার দিতে হবে কিন্তু যদি একটি ফটো এডিট করার অ্যাপ আপনার কাছে আপনার ফোনের কন্ট্যাক্ট এর অনুমতি চায় তখন তাহলে আপনাকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। আবার ধরুন, একটি সেবামূলক অ্যাপ (যেমন:ফুড পান্ডা ) কখনোই আপনার গ্যালারির এক্সেস চাইবে না। এজন্য খেয়াল রাখবেন আপনি যে অ্যাপ ডাউনলোড করছেন সেই অ্যাপটি আপনার কাছে কোনো অপ্রয়োজনীয় ফিচারের এক্সেস চাচ্ছে কিনা। যদি চায় তাহলে অ্যাপটি ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকুন।   ৩) যে কোনো ডাটা ট্রান্সফারের মাধ্যম (যেমন: ব্লুটুথ, শেয়ার ইট, শেয়ার মি) গুলো ব্যবহারের পর সেগুলো বন্ধ করে রাখবেন এবং অপরিচিত কোনো ব্যক্তির ডিভাইসের সাথে ডাটা ট্রান্সফার করা থেকে বিরত থাকতে চেষ্টা করবেন।৪) পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার থেকে যথাসম্ভব নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবেন। ৫) গোপনীয়তা সেটিংস বা Privacy Settings হলো সামাজিক নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটগুলোর একটি অংশ যা আপনাকে আপনার সম্পর্কে তথ্য কে দেখবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিষেবাগুলির ক্রমবর্ধমান প্রসারের সাথে গোপনীয়তা প্রকাশের সুযোগগুলিও বৃদ্ধি পায়। ফলে গোপনীয়তা সেটিংস একজন ব্যক্তিকে এই সকল প্ল্যাটফর্মে কোনো তথ্য যে শেয়ার করা হয়;  তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। এক্ষেত্রে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের Privacy Settings এমন করে রাখবেন যাতে আপনার তথ্য কেবল পরিচিত ব্যক্তিরা দেখতে পারে। বেশির ভাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ক্ষেত্রে এই অপশনটি “Friends” হিসেবে থাকে। ৬) অপরিচিত কারো কাছ থেকে কোনো মেসেজ বা ইমেইল আসলে সেগুলো খুবই সাবধানে ওপেন করবেন এবং কোনো লিংক থাকলে সেটি নিরাপদ লিংক কিনা তা নিশ্চিত না হয়ে কখনোই সেখানে প্রবেশ করবেন না। কেননা সেই লিংকে প্রবেশের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলোতে অসাধু কোনো চক্র প্রবেশাধিকার পেয়ে যেতে পারে। এরকম কিছু সাবধানতা অবলম্বন এবং বুদ্ধি প্রয়োগ করে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করলে আপনি ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবেন।  

আরও জানুন
Issue area প্রয়োজনীয় মোবাইল আপ্লিকেশন্স ও কম্পিউটার-এর বেসিক অপারেশন্স

রুবি আক্তার ঢাকা শহরে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। সপ্তাহে ছয়দিনই তাকে কাজে যেতে হয় বিধায় তার বাবা মার সাথে দেখা করতে গ্রামে যেতে পারছে না। এজন্য সে পরিবারের জন্য টাকা পাঠাতে পারছেন না; কারো মাধ্যমে টাকা পাঠাতেও ভরসা করতে পারছেন না। তার সহকর্মীদের সাথে ব্যাপারটি শেয়ার করলে তাকে বললো, ”এখন তো খুব সহজেই আপনার  ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে একটা একাউন্ট খুলে যে কোনো সময়  বাসায় টাকা পাঠাতে পারবেন; কোনো দোকানেও যাওয়ার দরকার পড়বে না।“ সে রুবিকে সাথে আরও বললো যে স্মার্ট ফোনে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপলিকেশন ডাউনলোড করে অনেক জটিল কাজও এখন  খুব সহজে করা সম্ভব হচ্ছে।বর্তমানে আমরা অনেকেই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে থাকি; আর এই স্মার্টফোনে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে একটি যন্ত্রের মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারি। যেমন- হিসাব করা, ছবি তোলা, ভিডিও বানানো, প্রয়োজনীয় তথ্যাদি নোট করে রাখা, দূর-দূরান্তে মানুষের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে সরাসরি কথা বলা, গান শোনাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ।চলুন আজকে তাহলে আমরা স্মার্টফোনের কিছু প্রয়োজনীয় মোবাইল আপ্লিকেশন সম্পর্কে জেনে নিব।প্রথমেইজানিয়ে রাখা ভালো যে আমরা যে কোনো ধরনের প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারি। তবে কিছু কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলো স্বভাবতই আপনার ফোনে ইনস্টল করা থাকে। Clock বা ঘড়ি- আমাদের প্রায় সবার ফোনেই এই অ্যাপটি ইনস্টল করা থাকে। এই অ্যাপের মাধ্যমে আমরা আমাদের অবস্থান অনুযায়ী ফোনের ঘড়ির সময় পরিবর্তন করে নিতে পারি। প্রয়োজনে পৃথিবীর অন্য কোনো শহরের সময়ও এই অ্যাপের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। এছাড়াও এই অ্যাপ দিয়ে আমরা সময়মতো অ্যালার্ম সেট করে রাখতে পারি,স্টপওয়াচ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারি।Calculator- ক্যালকুলেটর সাধারণ সকল ধরনের ফোনেই ইনস্টল করা থাকে; তবে আপনার ফোনে ইনস্টল করা না থাকলে আপনি প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি যে কোনো সময়ে দৈনন্দিন জীবনের বড়-ছোট গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।Scanner- বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় কাজে (যেমন- কোন ডকুমেন্ট এর সফট কপি কাউকে পাঠানো, কোন ছবি এডিট করা ইত্যাদি) আমাদের স্ক্যানার ব্যবহার করতে হয়। যে ডকুমেন্ট বা বিষয়টি আমরা স্ক্যান করতে চাই সেটার দিকে ক্যামেরা দিকটি রেখে স্ক্যানার চালু করলেই স্ক্যান শুরু হয়ে যাবে। প্রায় সব ধরনের স্মার্টফোনেই এই অ্যাপটি ইনস্টল করা থাকে। Facebook, Messenger এবং Whatsapp- এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে প্রধানত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাউন্ট তৈরি করা যায়। একাউন্ট থাকলে এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর যেকোনো স্থানে অবস্থানরত যে কারো সাথে অডিও কল, ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায়, একাউন্টে ছবি, ভিডিও বা যে কোনো ধরনের পোস্ট শেয়ার করা যায়। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাপ (যেমন- Nagad, Rocketএবং Bkash)  কারো কাছে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে টাকা পাঠানোর জন্যবেশ সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে। প্লেস্টোর থেকে এই অ্যাপগুলো ডাউনলোড করা সম্ভব। ডাউনলোড হয়ে গেলে ইনস্টল করার পর প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ প্রদান করে একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আমরা যেকোনো সময় অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা আদান-প্রদান করতে পারবো।Zoom- মূলত বিভিন্ন অনলাইন মিটিংয়ের জন্য এই অ্যাপটি বহুল ব্যবহৃত। অনলাইন মিটিং হোস্ট করা এবং Zoom অ্যাপের মাধ্যমে কেউ আপনাকে মিটিংয়ের আমন্ত্রন জানালে ও অংশগ্রহণের জন্য এই অ্যাপ্লিকেশনটি স্মার্টফোনে ইনস্টল করে রাখতে হবে। অ্যাপটি আপনি প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়াও আরও কিছু প্রয়োজনীয় অ্যাপ যেমন- ক্যালেন্ডার, রেকর্ডার, গুগল ম্যাপস্‌, বিভিন্ন রাইডিং অ্যাপ (যেমন- উবার, পাঠাও, ওভাই), মিউজিক, গুগল মিট, গুগল ক্লাসরুম ইত্যাদির সঠিক ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সচল এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে পারে।স্মার্টফোনের পাশাপাশি আমাদের কর্মজীবনে কম্পিউটার , ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের ব্যবহার অস্বীকার্য। কর্মজীবন ছাড়াও আমাদের শিক্ষাজীবনে এই কম্পিউটার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমাদের কম্পিউটার-এর কিছু বেসিক অপারেশন্স সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।ডেস্কটপ কম্পিউটার চালু এবং বন্ধ করা- কম্পিউটারের চারকোনা বক্সের মতো বেশ বড় আকৃতির যন্ত্র থাকে যা কেসিং, যদিও অনেকে একে সিপিউ (CPU) বলে; এই যন্ত্রটির সামনের দিকে একটি বাটন বা সুইচ থাকে। সেটিতে চাপ দিলেই কম্পিউটার চালু হয়ে যাবে। কম্পিউটার বন্ধ করার জন্য উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে স্ক্রিনের নিচের দিকে একটি চারকোনা উইন্ডোজ আইকন থাকে; সেখানে মাউসের কার্সরটি নিয়ে ক্লিক করতে হবে। সেখানে গোল আকৃতির পাওয়ার (Power) বাটনে ক্লিক করলে আপনার সামনে কিছু অপশন আসবে (যেমন- Restart, Shut down, Sleep)। সেখান  থেকে আপনি Shut down অপশনটিতে ক্লিক করলে আপনার কম্পিউটারটি বন্ধ হয়ে যাবে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word) ব্যবহার- মূলত যেকোনো ধরনের ডকুমেন্ট বা নথিপত্র তৈরি করার জন্য এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করার জন্য আপনার কম্পিউটারের Microsoft Word-এ প্রবেশ করবেন। সেখান থেকে New Document-এ ক্লিক করলে আপনার সামনে নতুন একটি পেইজ চলে আসবে যেখানে আপনার প্রয়োজন মতো লেখালেখি বা ডকুমেন্ট তৈরি  করতে পারবেন। লেখালেখির জন্য আপনি আপনার কম্পিউটারের কীবোর্ড ব্যবহার করবেন। লেখালেখির পর আপনি যদি সেটা পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে চান তাহলে এই ফাইল বা ডকুমেন্টটি সেইভ করতে উপরের একদম ডানদিকে চারকোনা একটি (Save Icon) থাকে সেখানে ক্লিক করে আপনার ডকুমেন্টের একটি নাম দিয়ে সেইভ করতে পারবেন। অথবা, কীবোর্ডের Ctrl এবং S (Ctrl+s) কী বা বোতাম দুইটি একসাথে চেপে ধরলে  সেইভ হয়ে যাবে। মাইক্রোসফট এক্সেলের (Microsoft Excel) ব্যবহার- যেকোনো ধরনের সহজ জটিল হিসাব করা, বিভিন্ন ধরনের ডাটা সংরক্ষণ করার জন্য Microsoft Excel বেশ উপযোগী একটা সফটওয়্যার।  এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করার জন্য আপনার কম্পিউটারের Microsoft Excel-এ প্রবেশ করবেন। সেখান থেকে Blank workbook-এ ক্লিক করলে আপনার সামনে নতুন একটি শিট চলে আসবে যেখানে আপনার প্রয়োজন মতো ডাটা সংরক্ষণ করতে পারবেন। ডকুমেন্টটি সেইভ করতে উপরের একদম ডানদিকে চারকোনা একটি (Save Icon) থাকে সেখানে ক্লিক করে আপনার Sheet একটি নাম দিয়ে সেইভ করতে পারবেন। অথবা, কীবোর্ডের Ctrl এবং S (Ctrl+s) কী বা বোতাম দুইটি একসাথে চেপে ধরলে সেইভ হয়ে যাবে। এগুলো ছাড়াও কম্পিউটারের আরও অনেক ধরনের সফটওয়ার রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো খুব সহজেই করে ফেলতে পারবেন।

আরও জানুন
Issue area আ্যপ স্টোর বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার নিয়ম

স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আধুনিক বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলো জীবনকে করেছে সহজ এবং গতিশীল। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের জন্য প্রথমে এটি সঠিকভাবে ডাউনলোড করতে হবে সংশ্লিষ্ট অ্যাপ স্টোর থেকে। অধিকাংশ মোবাইল অ্যাপ ফ্রি তে ডাউনলোড করা যায়। কিছু অ্যাপ কিনতে হয় অ্যাপ স্টোর থেকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সঠিকভাবে ডাউনলোড করার নিয়মগুলো: ১। অ্যাপ স্টোর (এন্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে প্লে স্টোর, আইফোনের ক্ষেত্রে অ্যাপ স্টোর) থেকে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে ইন্টারনেট সংযোগ ও স্মার্ট ফোন প্রয়োজন। নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে অ্যাপ ডাউনলোডের সময় সমস্যা হতে পারে।২। গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করার পূর্বে আপনার একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করা না থাকলে প্লে স্টোরে জিমেইল অ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে হবে। https://play.google.com/store/apps এটি গুগল প্লে স্টোরের ঠিকানা।৩। কাঙ্খিত অ্যাপের নাম দিয়ে প্লে স্টোরে সার্চ দিতে হবে। পছন্দমত অ্যাপের উপর ক্লিক করলে অ্যাপের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। যে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে চান সেই অ্যাপের যে সাইজ বা আকার তার থেকে বেশী পরিমান জায়গা আপনার মোবাইলে ফ্রি থাকতে হবে। এর পর ইনস্টল এ ক্লিক করলে অ্যাপটি আপনার ডিজিটাল ডিভাইসে ডাউনলোড হওয়া শুরু করবে।উপরের প্রক্রিয়ায় ফ্রি অ্যাপগুলো ডাউনলোড করা যায়। কিন্তু প্লে স্টোরে অনেক প্রয়োজনীয় অ্যাপ আছে যেগুলো কিনে ব্যবহার করতে হয়। সেই অ্যাপগুলো ডাউনলোড করার নিয়ম হলো: যে অ্যাপটি কিনতে চান, সেই অ্যাপে ক্লিক করে ইন্সটল বা অ্যাপটির দামের ওপর ক্লিক করলে অ্যাপটি ইন্সটল করতে কী কী প্রয়োজন হবে, তার একটা তালিকা দেখাবে। এখান থেকে ‘Accept’-এ ক্লিক করতে হবে।তারপর ‘পেমেন্ট ইনফরমেশন’ দিতে বলবে। আর আপনার কোনো কার্ড অ্যাড করা না থাকলে কার্ড অ্যাড করার অপশন আসবে। এখানে দুটি অপশন পাওয়া যাবে। একটা হচ্ছে Payments Methods আর অন্যটি Redeem। Payments Methods-এ ক্লিক করলে Add Credit or debit card অপশন পাওয়া যাবে। কার্ড নম্বর, CVC নম্বর এবং Expire তারিখ যুক্ত করার পর অ্যাপটি কেনা যাবে। এর পরই অবশ্য আপনার স্মার্টফোন কিংবা ডিভাইসে অ্যাপ ইন্সটল হবে। আইফোন ব্যবহারকারীগণ https://www.apple.com/app-store/ এই ঠিকানা থেকে একই প্রক্রিয়ায় অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে পারবেন।

আরও জানুন
Issue area ইন্টারনেটে- সংযুক্ত হবার পদ্ধতি

আমাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন প্রয়োজনে স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা কি জানি এই যন্ত্রগুলো দ্বারা আমরা খুব সহজেই এই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন খবরাখবর জানতে পারি? আসলেই এটা সম্ভব, এর জন্য শুধু দরকার ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ।তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার খুব সাধারণ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হলেও অনেকেই হয়ত জানেন না কীভাবে ইন্টারনেটের যুক্ত হওয়া যায়। এইটা না জানা অস্বাভাবিক কিছু না। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ইন্টারনেটে কীভাবে যুক্ত হবেন সে সম্পর্কে।যা যা লাগবে– ১। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার২। সিমকার্ড, মডেম বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ৩। প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও অ্যাপস- যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজার, মেসেঞ্জার ইত্যাদি স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত হবার উপায়-১। স্মার্টফোনে সিম কার্ড লাগিয়ে সেই সিম কোম্পানির বিভিন্ন ডাটা প্যাকেজ কিনে ইন্টারনেটে যুক্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে সিম কোম্পানির ডাটা প্যাকেজ কীভাবে কিনতে হয় সেসব জানতে হবে। আবার আশেপাশের ফ্লেক্সিলোডের দোকানে এখন মিনিট কার্ডের মত করে ডাটা প্যাকেজের জন্য আলাদা কার্ড পাওয়া যায়। এই কার্ড রিচার্জ করে ডাটা প্যাকেজ নিতে পারবেন। ডাটা প্যাকেজের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে (যেমন- ৩ সপ্তাহ, ১ মাস ,৩ মাস) এবং এই মেয়াদের মধ্যে সেটি ব্যবহার করতে হবে। কারণ মেয়াদের মধ্যে আবার রিচার্জ না করলে অব্যবহৃত ডেটা আর ব্যবহার করা যায় না। মেয়াদ এবং ডাটা শেষ হয়ে গেলে আবারো ডাটা প্যাকেজ কিনতে হবে। ২। ওয়াইফাই (WiFi) ব্যাবহার করেও যুক্ত হতে পারবেন, সেক্ষেত্রে সিমের প্রয়োজন হবে না। তবে সেজন্য বাসায় বা অফিসে যেখানে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন সেখানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ থাকা লাগবে। এলাকাভেদে বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার থাকে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলেই সংযোগ দিয়ে যাবে। তবে আপনাকে সংযোগের জন্য একটি রাউটার কিনতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্যাবল কিনতে হবে। ব্রডব্যান্ড কানেকশন নিলে প্রতি মাসে মাসে প্যাকেজ অনুযায়ী বিল (যেমন-পাঁচশত, আটশত, ১ক হাজার টাকা) দিতে হয়।কম্পিউটারের মাধ্যমে যুক্ত হবার উপায়-১। সিম কার্ড এবং মডেমের মাধ্যমে যুক্ত হতে পারবেন।মডেম এর মাধ্যমেকম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যায়।  এই ডিভাইসে সিম যুক্ত করার জায়গা আছে, সিমে ডাটা প্যাকেজ কিনে তারপর সে সিমকে মডেমে লাগিয়ে কম্পিউটারের ইউএসবি পোর্টে যুক্ত করলেই ইন্টারনেট সংযোগ পেয়ে যাবেন। ২। ওয়াইফাই দিয়ে যুক্ত হতে পারেনব্রডব্যান্ড সংযোগ নিলে ক্যাবলের মাধ্যমে ডেস্কটপ/ল্যাপটপ দুই ধরনের কম্পিউটারেই ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু ডেস্কটপে আলাদা অ্যাপডাপ্টার ছাড়া ওয়াইফাই সংযোগ পাওয়া যায় না।৩। ফোনের হটস্পট দিয়ে যুক্ত হতে পারেনঅনেক সময় বাসার বা অফিসের বাইরে থাকার কারণে ব্রডব্যান্ড বা ওয়াইফাই এলাকার মধ্যে না থাকা অবস্থাতেও আমাদের অনেক কাজ করতে হতে পারে। সেসব ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে ডাটা প্যাকেজ  কিনে বা কারো ফোনে ডাটা প্যাকেজ থাকলে সেই ফোনে ডাটা কানেকশন অন করতে হবে। এরপর ফোনে মোবাইলের সেটিংস অপশনে গিয়ে পোর্টেবল হটস্পট অন করতে হবে। এই হটস্পট অন করার ফলে মোবাইলের নেটওয়ার্কটা কম্পিউটারের কাছে ওয়াইফাইয়ের মত কাজ করবে। হটস্পটে যুক্ত করার জন্য হটস্পটে প্রবেশ করে পাসওয়ার্ডটি দেখে নিবেন। তারপর কম্পিউটারের ওয়াইফাই অন করে এই পাসওয়ার্ড দিয়ে ফোনের হটস্পটের সাথে যুক্ত করে নিলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। সাইবার ক্যাফের মাধ্যমে-যদি আপনার কাছে ফোন বা কম্পিউটার নাও থেকে থাকে তাহলেও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা দেয়ার জন্য বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে আছে। এসব ক্যাফেতে ঘণ্টা হিসেবে কম্পিউটার ভাড়া দেয়। এই কম্পিউটারের মাধ্যমেও আপনি ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন। সবার হাতে হাতে যখন ফোন , ল্যাপটপ এতটা সহজলভ্য ছিলো না সেই সময় সাইবার ক্যাফের ধারণাটা বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় ছিলো। তবে সাইবার ক্যাফেতে ব্যবহারের বেলায় অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার দিকে বেশি নজর দিতে হবে। যেহেতু এ ধরনের কম্পিউটার অনেক মানুষ ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে সতর্ক না থাকলে আপনার বিভিন্ন তথ্য অন্য মানুষের কাছে চলে যেতে পারে।এইভাবে কিছু টেকনিক বা পদ্ধতি বুঝে নিলেই খুব সহজে আমাদের ডিভাইসটিতে ইন্টারনেট সংযোগ করে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারব। 

আরও জানুন
Issue area বিভিন্ন ধরনের ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন পরিচিতি

ব্রাউজার কী?আপনি আজকের আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনি আপনার ডিজিটাল ডিভাইসের কোথায় প্রবেশ করবেন? কীভাবে কাজটি সম্পন্ন করবেন? আপনার ডিজিটাল ডিভাইসের কোন অ্যাপ  ব্যবহার করবেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে আমাদের জানতে হবে যে ব্রাউজার বা সার্চ ইঞ্জিন কী।আমরা জানি যে, ডিজিটাল ডিভাইসের সাথে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে পৃথিবীর বিভিন্ন তথ্য আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসে। কিন্তু এর জন্য কিছু প্রক্রিয়া আছে। ইন্টারনেটে নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যার/অ্যাপ ব্যবহার করতে হয়।যেমন, বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক http://www.nctb.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। কিন্তু এই ওয়েব সাইটে কীভাবে যাবেন? ওয়েব সাইটের ঠিকানা কোথায় লিখবেন?বিভিন্ন ওয়েব সাইটে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যার আছে। যে কোন ওয়েব সাইটে প্রবেশের আগে ঐ নির্দিষ্ট সফটওয়্যার চালু করতে হবে। তারপর ঐ সফটওয়্যারের মাধ্যমে চাহিদামাফিক ওয়েব সাইটে প্রবেশ করা যাবে।যে সফটওয়ার/অ্যাপ ব্যবহার করে ইন্টারনেটে প্রবেশ করা হয় তাকে ব্রাউজার বলে। ব্রাউজারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোন ওয়েব সাইট বা তথ্য অনুসন্ধান করার প্রক্রিয়াকে বলে ব্রাউজিং।গুগল ক্রোম, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, অপেরা, মজিলা ফায়ার ফক্স এগুলো ব্রাউজারের উদাহরণ। কিছু ওয়েব ব্রাউজার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য জেনে ফেলা যাক- গুগল ক্রোম: গুগল ক্রোম বহুল ব্যবহৃত একটি ওয়েব ব্রাউজার। যে কোনো ধরনের ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে আপনার একটি ওয়েব ব্রাউজার প্রয়োজন। গুগল ক্রোম এমনই এক ধরনের ওয়েব ব্রাউজার। সাধারণত আপনার ডিভাইসটিতে গুগল ব্রাউজার অ্যাপ 'ডিফল্ট' অর্থাৎ আগে থেকেই থাকে। তবে কোনো কারণে না থাকলে প্লেস্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে আপনি এই ওয়েব ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার: ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এমন একটি ওয়েব ব্রাউজার যেটি মূলত ডেস্কটপ বা কম্পিউটারের বেশি ব্যবহার করা হয়।অপেরা: প্লেস্টোর থেকে খুব সহজেই ডাউনলোড করে আমরা এই ব্রাউজারটি আমাদের মোবাইল ফোন বা ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে ব্যবহার করতে পারি। এই ব্রাউজার ব্যবহার করে আমরা যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারব। সার্চ ইঞ্জিন কী?­­­­কিন্তু কোন ওয়েব সাইটে আপনার কাঙ্খিত তথ্য, ছবি বা ভিডিওটি পাবেন? ইন্টারেনেট ব্যবহার করে কিন্তু এই তথ্যটি আপনি খুব সহজে খুঁজে বের করতে পারেন। ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে বের করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট বা সফটওয়ার আছে, এগুলোকে বলে সার্চ ইঞ্জিন। যে কোন একটি সার্চ ইঞ্জিন চালু করে সেখানে “নবম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র বই” লিখে সার্চ দিলে http://www.nctb.gov.bd/ এই ওয়েব সাইটের সন্ধান পাওয়া যাবে।অর্থাৎ, বিভিন্ন ধরনের তথ্যের সন্ধান করার জন্য যে সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করা হয় তাকে সার্চ ইঞ্জিন বলে। গুগল, ইয়াহু, বিং সার্চ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন এর উদাহরণ।কিছু সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো-গুগল: এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন এবং এই ইঞ্জিন সর্বদা সেরা ফলাফল প্রদান এবং ব্যবহারকারীদেরঅভিজ্ঞতা উন্নত করার চেষ্টা করছে।বিং: এটি মাইক্রোসফট কর্তৃক ডেভেলপ করা একটি সার্চ ইঞ্জিন। বিং মাইক্রোসফটের ওয়েব ব্রাউজারের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন। এই সার্চ ইঞ্জিনটি মাইক্রোসফটের বিভিন্ন পরিষেবা, ছবি, ওয়েব এবং ভিডিও অনুসন্ধান সহ মানচিত্র এবং বিভিন্ন সেবা প্রদান করে।ইয়াহু: এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। এটি ইমেজ বা স্থির চিত্র, ভিডিও, স্থানীয়, শপিং, অডিও, খবর এবং আরও অনুসন্ধানের জন্য ফলাফল প্রদান করে।পিপীলিকা: এটি বাংলাদেশি সার্চ ইঞ্জিন যা বাংলায় বিভিন্ন তথ্য, ছবি, ভিডিওসহ বিভিন্ন কন্টেন্ট খুঁজতে ব্যবহার করা যায়। এই আলোচনা থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের ওয়েব ব্রাউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে ধারণা পেলাম যেটি আমরা পরবর্তীতে কাজে লাগিয়ে কার্যকর উপায়ে তথ্য অনুসন্ধান করতে পারব। 

আরও জানুন