Issue area অনলাইনে শিশুর নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও গোপনীয়তা বজায় রাখার কৌশল

অনলাইন মাধ্যমের অনেক সুবিধার জন্য এই মাধ্যম প্রচুর ব্যবহার করতে হয়। এর নানামুখী সুবিধার পাশাপাশি এর কিছু অসুবিধা আছে, ঝুঁকি আছে। এসব থেকে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষও অনেক সময় নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন না। শিশুদের জন্যে এই মাধ্যমে ঝুঁকি আরও বেশি। একজন অভিভাবক যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিশুকে এসব ঝুঁকি থেকে নিরাপদ রাখতে পারেন। চলুন জেনে নেয়া যাক অনলাইনে শিশুকে নিরাপদ রাখার কিছু কৌশল – ১। শিশুর ডিজিটাল ফুট-প্রিন্ট কম রাখুনডিজিটাল ফুট-প্রিন্ট মানে অনলাইনে কারো ব্যক্তিগত কোন চিহ্ন, সেটা হতে পারে ছবি, ঠিকানা, স্কুল-কলেজের নাম ইত্যাদি। অনলাইনে শিশুর স্কুল, কলেজ, ঠিকানা, ফোন নাম্বার শেয়ার না করাই ভালো। ছবিও যত কম ব্যবহার করা যায় ততই ভালো। কারণ এসব শেয়ার করার কারণে অনেকের কাছে আপনার শিশুর তথ্য চলে যাবে। সেক্ষেত্রে কেউ যদি তার ক্ষতি করতে চায় তাহলে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য অনলাইন থেকে পেয়ে যাবে। ২। আপনার ও শিশুর অনলাইন প্রাইভেসি সেটিংস ঠিক রাখাঅনলাইনে আপনার ও আপনার সন্তানের প্রাইভেসি সেটিংস পাবলিক দিয়ে না রাখাই ভালো। তাহলে আপনার অনুমোদিত মানুষের বাইরের লোকজনও আপনার শেয়ারকৃত সকল তথ্য দেখতে ও শেয়ার করতে পারবে। সেক্ষেত্রে এমন অনেক মানুষের কাছে আপনার সন্তানের তথ্য চলে যাবে যারা আসলে শিশুদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এসব ছবি নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে পারে। বিভিন্ন আজেবাজে পেইজ, গ্রুপে ছবি শেয়ার দিতে পারে যা অনলাইনে শিশুর নিরাপত্তা নষ্ট করবে। সেজন্য প্রাইভেসির ব্যাপারটা খুব খেয়াল করে ঠিক করতে হবে। ৩। প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহারশিশুর ডিভাইসে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অন রাখুন। তাহলে শিশুর জন্য অনুপযোগী ওয়েবসাইট, অ্যাপ, গেইম, কন্টেন্ট থেকে তাদের দূরে রাখতে পারবেন। এছাড়াও প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপ ব্যবহার করে শিশুর অনলাইন এক্টিভিটি মনিটর করতে পারবেন সহজেই। এই নিয়ন্ত্রণগুলো শিশুকে নিরাপদ রাখার জন্য জরুরি। অনেক সময় শিক্ষার প্রয়োজনে শিশুকে ডিভাইস দেয়ার প্রয়োজন পরে সেক্ষেত্রে সহজেই অনলাইন মাধ্যমের ঝুঁকিগুলো থেকে তাদের নিরাপদ রাখার জন্য এই অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের সুবিধা হলো এসব সেটিংস পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে রাখা যায়। ফলে শিশু চাইলেও অভিভাবকের অনুমোদন ছাড়া এই সেটিংস পরিবর্তন করতে পারে না। ৪। সেফ সার্চ অন রাখাসার্চ ইঞ্জিন যেমন – গুগল, পিপীলিকা, Bing এ কোন কিছু সার্চ করলে অনেক ধরনের তথ্য সামনে আসে। একজন শিশু যখন সার্চ করে তার জন্য বয়স উপযোগী কন্টেন্ট সামনে আসে না। অনেক অযাচিত কন্টেন্টও চলে আসে। আবার ভায়োলেন্ট কন্টেন্ট আসলে তা শিশুকে মানসিক ভীতিতে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সেফ সার্চ সেটিংস অন করে রাখুন। তাহলে এমন ঝুঁকিগুলো থেকে শিশুকে নিরাপদে রাখতে পারবেন। ৫। শিশুকে সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে জানানোডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে হ্যাকিং, ফিশিংসহ ইত্যাদির কারণে অনেক সময় আমাদের অ্যাকাউন্ট ঝুঁকির মধ্যে পরতে পারে। আবার এই মাধ্যমের ঝুঁকি সম্পর্কে না জানলে বিভিন্ন ধরনের বুলিং, সাইবার হ্যারেজমেন্ট, প্রতারণা, জালিয়াতি শিশুর জন্য বড় বিপদের কারণ হয়ে যেতে পারে। শিশুরা সহজেই অন্যকে বিশ্বাস করে ফেলে। আবার জানাশোনা কম থাকায় কোন তথ্য যাচাই করাও তাদের জন্য সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস দেয়ার সাথে সাথে শিশুকে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে তার জন্য বোধগম্য ভাষায় বিস্তারিত জানানো খুব জরুরি। ৬। অনলাইন অ্যাক্টিভিটির বিষয়ে পরিবারে আলোচনার ক্ষেত্র উন্মুক্ত রাখুনপরিবারে যদি উন্মুক্ত আলোচনার পরিবেশ থাকে তাহলে শিশু তার অনলাইন অ্যাক্টিভিটি সম্পর্কে অভিভাবককে জানাতে সংকোচ করবে না। এসব তথ্য জানা থাকলে শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু শিশু যদি উন্মুক্ত পরিবেশ না পায় তাহলে সে নিজে থেকে এসব তথ্যশেয়ার করবে না। ৭। শিশু কোন বিপদে পড়লে তার পাশে থাকুনঅনলাইন মাধ্যমে একটি শিশু বিভিন্নভাবে বিপদে পড়তে পারে। সেসব বিপদে শিশুর পাশে থাকুন, তাদের উপর দোষ না চাপিয়ে তার পক্ষে থেকে পরিস্থিতি সামাল দিন। তাহলে শিশু আপনার উপর ভরসা করবে এবং পরে যেকোনো বিপদে আপনার সহযোগিতা চাইবে। কিন্তু তাকে দোষী করলে পরের কোন বিপদে কিছু জানতেই পারবেন না, এবং শিশু মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে।

আরও জানুন
Issue area মোবাইল অ্যাপ ইনস্টল ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা

 মোবাইল ফোনে কোন ধরণের অ্যাপ ইন্সটল করছেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। কারণ আপনি নিশ্চয়ই চাননা আপনার ফোনে ম্যালওয়ার (ভাইরাস) আক্রমণ করুক? মোবাইল ফোনে আমাদের অনেক ব্যক্তিগত তথ্য থাকে যার জন্য এই ডিভাইসের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে কাজ করাটা খুবই জরুরি। অন্যথায় এসব তথ্য অনিরাপদ হয়ে যাবে।১। ডাউনলোড করার পর ভাইরাস স্ক্যান করুনঅপরিচিত বা সন্দেহজনক অ্যাপ ইন্সটল করার পর ফুল ভাইরাস স্ক্যান করবেন। যদি কোন সমস্যা পাওয়া যায় তাহলে খুব বেশি ক্ষতি করার আগেই সেগুলোকে ডিলিট করে দিতে পারবেন।২।  আপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করুনআপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা উচিত। কারণ সেক্ষেত্রে নতুন ভাইরাস শনাক্তের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু পুরনো অপারেটিং সিস্টেম বা আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার না করলে নতুন কোন ভাইরাসকে শনাক্ত করা ও অপসারণ করা অনেক সময় সম্ভব হয় না।৩। শুধুমাত্র পরিচিত স্টোর থেকে অ্যাপ ইন্সটল করুনগুগল প্লে স্টোরের “untrusted sources” অপশনে ক্লিক করবেন না। সব সময়ই গুগল প্লে স্টোর, অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর এবং মাইক্রোসফট স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন। থার্ড পার্টি থেকে বা অন্য কোন অপরিচিত ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। যে অ্যাপই ডাউনলোড করুন না কেন কী ডাউনলোড করছেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকুন। এবং যেসব অ্যাপ খুবই কম ডাউনলোড হয়েছে বা রিভিউ খুব খারাপ সেসব অ্যাপ ডাউনলোড করার উচিত নয় বা ডাউনলোড করলে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।।৪। ফোনের কোন কোন বিষয়ে অ্যাপ পারমিশন চাচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য করুনএকটি অ্যাপ ইন্সটল করলে সেসব অ্যাপ এর কাজের সুবিধার জন্য ফোনের কিছু বিষয়ে প্রবেশের অনুমতি চায় যেমন ডিভাইসের লোকেশন, ক্যামেরা, ফোনবুক, গ্যালারি ইত্যাদি। সেসব বিষয় ঠিকঠাক জেনে বুঝে অনুমতি দিন। অনেক অ্যাপ এদের কাজের প্রয়োজনের বাইরের কোন বিষয়ে প্রবেশের অনুমতি চাইতে পারে। এসব অ্যাপের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কোন অ্যাপ এ ধরণের বাড়তি অনুমোদন চাইলে একে বাদ দিয়ে একই কাজ করার জন্য অন্য কোন বিশ্বাসযোগ্য অ্যাপ ডাউনলোড করুন। অনলাইনে একই কাজ করার জন্য অনেক অনেক অ্যাপ আছে, শুধু একটি অ্যাপের উপর নির্ভর করে থাকার কোন প্রয়োজন হয় না।৫। আপডেটেড অ্যাপ ইন্সটল করুনঅ্যাপ ইন্সটল করার সময় আপডেটেড অ্যাপ ইন্সটল করুন। আপডেটেড অ্যাপ আগের থেকে কিছু নতুন সেটিংস দেয়া থাকে বা সুবিধা থাকে। অনেক সময় কিছু নিরাপত্তা ত্রুটি দূর করার জন্যে অ্যাপ অ্যাপডেট করা হয়। সেজন্য চেষ্টা করবেন আপডেটেড অ্যাপ ইন্সটল করতে। যদি ডাউনলোড করার পর দেখেন যে এই অ্যাপ আপডেট চাচ্ছে তাহলে সাথে সাথে আপডেট দিয়ে নিন।৬। ডাউনলোড করার আগে প্লে স্টোরে সেই অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত এবং ব্যবহারকারীর মতামত(রিভিউ) পড়ে নিনযেকোনো অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোডের আগে সেই অ্যাপ কী কাজে লাগে, এর মাধ্যমে কাজ করতে গেলে কী কী পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া থাকে। এসব তথ্য ভালো করে পড়ে, জেনে-বুঝে ডাউনলোড করুন। বিশেষ অ্যাপের রিভিউ সেকশন থেকে অ্যাপটি ব্যবহারের কিছু অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এসব রিভিউ একটি অ্যাপ সম্পর্কে ধারণা করার জন্য খুবই জরুরি।

আরও জানুন
Issue area কী করছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা এবং কখন কখন বড়দের সাহায্য চাইতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত ধারণা

অনলাইন জগতে শিশুরা খেলতে, পড়তে, শিখতে, উদ্ভাবন করতে শিখে অনলাইন জগত শিশুদেরকে একটি অপার সম্ভাবনার পথ তৈরি করে দিয়েছে। বর্তমানে অনলাইন এবং অফলাইন জগত দুটি ভিন্ন কোন জগত নয় এরা পরস্পর সমান্তরালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এর সমস্ত কিছুই বাস্তব জীবনের সাথে জড়িত। তবে শিশুরা যেমন অনলাইন থেকে উপকৃত হচ্ছে তেমনি বিভিন্ন ঝুঁকিতেও পড়তে পারে। শিশুরা অনলাইনে  কী কী করতে পারে?প্রযুক্তি এবং অনলাইন জগত শিশুদের কে নানা উপায়ে সহযোগিতা করে থাকে। এটি তাদেরকে শেখাতে, সৃজনশীল হতে এবং পরিবারের সাথে যুক্ত হতে সহযোগিতা করে থাকে। শেখা: ইন্টারনেট হচ্ছে তথ্যের অফুরন্ত ভাণ্ডার। এর মাধ্যমে শিশুরা এই বিশ্ব সম্পর্কে জানতে পারে। একে তারা তাদের দৈনন্দিন পড়াশুনার কাজে তারা ব্যবহার করতে পারে। তারা  বিদ্যালয় থেকে বাড়ির কাজ নিয়ে এসে সেসব ইন্টারনেট ঘেঁটে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অধ্যয়ন করতে পারে এবং বাড়ীর কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সহায়তা নিতে পারে। প্রয়োজনে স্কুলের শিক্ষকদের কাছে দেখাতে পারে। খেলাধুলা: সব শিশুরা খেলতে পছন্দ করে। ইন্টারনেট তাদের জন্য খেলার বিশাল দরজা খুলে রেখেছে। ইন্টারনেটে অনেক শিক্ষামূলক গেম রয়েছে যার মাধ্যমে শিশুরা তাদের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারে। এসব গেমের মধ্যে অনেকগুলো তাদেরকে সামাজিকভাবে যুক্ত হতে সহযোগিতা করে। সামাজিক যোগাযোগ: শিশুরা সবসময় বন্ধুদের সাথে থাকতে পছন্দ করে আর ইন্টারনেট শিশুদের জন্য একটি দ্বার খুলে রেখেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পরিবার, বন্ধুদের সাথে যুক্ত হতে পারে যা তাদের আরও সামাজিক ও সহনশীল হতে সাহায্য করে। বিনোদন: অনলাইনে শিশুদের জন্য বিভিন্ন বিনোদন মাধ্যম আছে যেগুলো  ব্যবহার করে শিশুরা তাদের অবসর সময় কাটাতে পারে।ইন্টারনেট কি শিশুদের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে?ইন্টারনেট শিশুদের অনেক উপকারের পাশাপাশি ক্ষতিরও কারণ হতে পারে। ইন্টারনেট অনেক সময় শিশুদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিশুরা অনেক সময় তাদের অজ্ঞতার কারণে স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে ফেলতে পারে। এগুলো সাইবার সন্ত্রাসীদের কাছে তাদের ঝুঁকি কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।আবার অনেক সময় তারা বিভিন্ন ভুল ওয়েব সাইটে ঢুকে পড়তে পারে যা নির্দিষ্ট বয়স সীমার জন্য উপযোগী, শিশুদের জন্য নয়। এইগুলোও তাদের মানসিক ও শারীরিক ঝুঁকির দিকে নিয়ে যেতে পারে। কখন কখন বড়দের সাহায্য চাইতে হবে তা নিয়ে ধারণাঅনলাইনে সবসময় শিশুদের নিরাপদ রাখতে তাদের সাথে খোলামেলা আলোচনাই সবচেয়ে ভাল উপায় হতে পারে। শিশুদের সাথে সবসময় যোগাযোগ বহাল রাখতে হবে তারা কোথায় কী করছে, কী দেখছে, কাদের সাথে অনলাইনে কথা বলছে। শিশুর সাথে সুন্দর এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলে যেকোনো অসুবিধায় বা বিপদে শিশু আপনাকে তার সমস্যার কথা বলবে। এই স্বাভাবিক পরিবেশটা না থাকলে বড় ধরনের অনেক বিপদেও শিশুর কাছ থেকে কিছুই জানতে পারবেন না। কেমন পরিস্থিতিতে পড়লে শিশু আপনার সাথে যোগাযোগ করবে সে সম্পর্কে জেনে নিই চলুন –১। অনলাইন মাধ্যমে যেকোনো কিছু বুঝতে না পারলে২। নতুন কোন ডিভাইস বা অ্যাপ ব্যবহার করতে গেলে৩। ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে কোন বিপদে পড়লে৪। যেকোনো ধরনের অনলাইন জালিয়াতির শিকার হলে৫। অপরিচিত এবং সন্দেহজনক কারো সাথে যোগাযোগ থাকলে৬। ভুল করে কোন বয়স সীমার বাইরের ওয়েবসাইটে চলে গেলেসাইবার অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত হলে তাদের মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন আসতে পারে। অভিভাবকরা শিশুদের কোন পরিবর্তন দেখতে পারলে তাদেরকে সময় দিতে হবে। তারা কী বলতে চায় তা শুনতে হবে এবং সমস্যা অনুযায়ী তার সমাধান দিতে হবে।

আরও জানুন
Issue area বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট তৈরি ও ব্যবহার

গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি:একটি গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে আপনি তার মাধ্যমে গুগলের যত রকম সেবা আছে আপনি তা গ্রহণ করতে পারবেন। গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আপনি জিমেইলের মাধ্যমে ইমেইল আদান প্রদান করতে পারবেন, ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারবেন, গুগল প্লে স্টোর থেকে বিভিন্ন রকম প্রয়োজনীয় অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন। গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরির পদ্ধতি:১. সর্বপ্রথম গুগল অ্যাকাউন্ট সাইন ইন পেইজে যেতে হবে।২. তারপর Create account নির্বাচন করতে হবে।৩. তারপর আপনার পুরো নাম লিখতে হবে৪. এবার username এর জায়গায় একটা username দিন।৫.দেয়ার পর enter এ ক্লিক করে পাসওয়ার্ড নির্বাচন করবেন।৬. Next এ গেলে আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার জন্য একটি ফোন নম্বর বা ইমেইল অ্যাড্রেস চাইবে। এই ইমেইল এবং মোবাইল নাম্বার হচ্ছে অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের জন্য। যদি আপনার অ্যাকাউন্টে কোন সমস্যা হয় তাহলে এই দুইটা পুনরুদ্ধারের তথ্য কাজে লাগবে।৭. তারপর আপনি যে ভ্যারিফিকেশন ইমেইল বা ফোন নম্বর দিয়েছেন তাতে একটা অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফিকেশন কোড আসবে।৮.তারপর ভ্যারিফাই করলে আপনার অ্যাকাউন্ট তেরি হয়ে যাবে।আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরির পর এর মাধ্যমে ইমেইল, ইউটিউব,গুগল ম্যাপ ইত্যাদি একই ইমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। কীভাবে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন:কম্পিউটারের মাধ্যমেঃ১। প্রথমে www.facebook.com যেতে হবে২। সেখানে গিয়ে create new account এ ক্লিক করতে হবে।৩। তারপর আপনার নাম, ইউজার আইডি, ফোন নম্বর বা ইমেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখ দিতে হবে।৩। এইবার create an account দিতে হবে৪। তারপর ইমেইল ও ফোন নম্বর দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে।৫। একটি ফেসবুক প্রোফাইল তৈরির জন্য বয়স সর্বনিম্ন ১৪ বছর হতে হবে। মোবাইল ফোন থেকে যেভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলবেন:১। গুগল প্লে স্টোর থেকে ফেইসবুক অ্যাপ ইন্সটল করে নিতে হবে২। তারপর  create account এ যেতে হবে৩। অ্যাপ্লিকেশনে ঢুকে নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, মোবাইল নম্বর দিতে হবে৪। পাসওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে৮.তারপর ভ্যারিফিকেশনের পর আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলো।অ্যাকাউন্ট তৈরির পর এখানে প্রোফাইল ছবি, কভার ছবি, পেশা এসব যুক্ত করতে পারবেন।  এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ করতে পারবেন। বিভিন্ন পেইজ, গ্রুপ এবং ইভেন্টে যুক্ত হতে পারবেন, বন্ধুদের সাথে মেসেজিং করতে পারবেন। কীভাবে টুইটার অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন:১. www.twitter.com এ প্রবেশ করতে হতে তারপর sign up এ ক্লিক করতে হবে।২. তারপর আপনার কিছু তথ্য দিতে হবে। যেমন নাম,মোবাইল নম্বর বা ইমেইল এগুলো দিয়ে  পাসওয়ার্ড নির্বাচন করলে আপনার অ্যাকাউন্টটি তৈরি হয়ে যাবে।এবার অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনি আপনার প্রোফাইল পিকচার, নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিতে পারবেন, বিভিন্ন ব্যক্তি বা পেইজকে অনুসরণ (follow)   করতে পারেন। যেভাবে মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট খুলবেন:১। প্রথমে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের ইন্টারনেট ব্রাউজার থেকে মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট খোলার লিংকে যেতে হবে।২। যাবার পর সাইন আপ অপশন আসবে। এখন আপনার ইমেইল দিন।৩।  আপনার ইমেইলটি দিয়ে পূর্বে কোন মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট করা হয় নি এমন হতে হবে।৪। ইমেইল দিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে দিলেই অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে যাবে।মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট দিয়ে এর সাথে সম্পর্কিত সকল পরিসেবা যেমন ওয়ান ড্রাইভ, ওয়ান নোট, skype এসব ব্যবহার করতে পারবেন। যেভাবে একটি হোয়াটস অ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলবেন:1। প্রথমে আপনারা প্লে স্টোর থেকে whatsapp নামের অ্যাপটি  ডাউনলোড করে নিবেন ।2। এরপর whatsapp ওপেন করে আপনাদের মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে next এ ক্লিক করতে হবে ।3। এরপর যে নাম্বারটি আপনারা দিবেন সেই নাম্বারে ছয় সংখ্যার কোড আসবে সেটি দিলেই অ্যাকাউন্ট যাচাই হয়ে যাবে।4। এরপর প্রোফাইলে আপনার আরও কিছু তথ্য দিতে পারবেন। যেমন : নাম, ছবি5। এরপর সব তথ্য ঠিক আছে কিনা যাচাই করে করে দেখে নিয়ে Finish এ ক্লিক করলে আমাদের whatsapp অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।এরপর এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে আমরা বন্ধুদের সাথে অথবা আত্মীয়স্বজনদের সাথে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে এই অ্যাপ এর মাধ্যমে অডিও, ভিডিও কল, মেসেজিং, ফাইল শেয়ার করতে পারবেন।

আরও জানুন
Issue area কোথায় অ্যাকাউন্ট করা হচ্ছে, কী তথ্য দেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে সতর্কতা

অনলাইন মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় অ্যাকাউন্ট করার প্রয়োজন পড়ে। এসব জায়গায় অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে কোন সাইটে অ্যাকাউন্ট করছি এবং কী তথ্য দিচ্ছি এসব ব্যাপারে সতর্ক না থাকলে একাউন্ট হ্যাকিং, ফিশিং সহ বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের শিকার হতে হয়। এসব ব্যাপারে কী সতর্কতা মেনে চলা উচিত১। ওয়েব এড্রেস লক্ষ্য করুনযেখানে অ্যাকাউন্ট করছেন সে ওয়েবসাইটের ওয়েব এড্রেসটি ভালো করে খেয়াল করে দেখুন। অনেক সময় প্রায় একই ঠিকানায় ভুয়া সাইটও থাকতে পারে। কিংবা কিছু এড্রেস দেখবেন স্বাভাবিক ওয়েব এড্রেসের মত না, সেগুলো ভালো করে খেয়াল করলে অনিরাপদ ওয়েবসাইট চিনতে পারবেন। যেমন youtube.com হচ্ছে ইউটিউবের ওয়েব এড্রেস, যদি দেখেন যে ওয়েব এড্রেসটা youtube.con এমন তাহলে ধরে নিতে পারেন এখানে অ্যাকাউন্ট করাটা আপনার জন্য নিরাপদ হবে না। যেমন বিবিসি-এর সঠিক ওয়েবসাইট হচ্ছে bbc.com। আর bbc.co ও bbc.co.org এড্রেস দুইটি সঠিক নয়।২। ফিশিং সাইট কিনা খেয়াল করুনযে সাইটে অ্যাকাউন্ট করছেন সেটি ফিশিং সাইট অর্থাৎ আপনার তথ্য চুরি এবং একাউন্ট হ্যাক করার উদ্দেশ্যে তৈরি কোন সাইট কিনা খেয়াল করুন। আপনার কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটের সাথে যদি এর মিল না পান, এবং ওয়েব এড্রেস, লিঙ্ক, সাইটের লে-আউট ইত্যাদি বিষয়ে লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন সেই সাইটটি আসলে ফিশিং সাইট কি না।৩। ব্যক্তিগত তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে গোপনীয় তথ্য দিবেন নাঅ্যাকাউন্ট তৈরির জন্যে অনেক ধরণের ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হয় যেমন নাম, ফোন নাম্বার, জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার ইত্যাদি। এসব তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে নিজের একান্তই ব্যক্তিগত এবং গোপনীয় কোন তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন। যদি এসব তথ্য ছাড়া অ্যাকাউন্ট করা না যায় তাহলে এসব তথ্যের প্রাইভেসি স্যাটিংস এমনভাবে দিন যাতে অন্য কেউ এসব তথ্য দেখতে না পারে। প্রয়োজনে এই সাইট বর্জন করে অন্য কোন বিশ্বাসযোগ্য সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ করুন।৪। সাইট এবং অ্যাপ কোন ধরণের তথ্য চাচ্ছে সেদিকে খেয়াল করুনঅনেক সময় কোন সাইট বা অ্যাপ এমন কোন তথ্য চাইতে পারে যা এই সাইটের কাজ চালানোর জন্য অপ্রয়োজনীয়। এ ধরণের অপ্রয়োজনীয় কিন্তু ব্যক্তিগত তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, এই সময়ে তথ্যের নিরাপত্তাহীনতা আপনাকে অনেক বড় বিপদে ফেলতে পারে।  ৫। অ্যাপগুলো ডিভাইসের কোন কোন বিষয়ের এক্সেস চাচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য করুনঅ্যাপ ইন্সটল করার পর সেটি আপনার ডিভাইসের বিভিন্ন অংশ যেমন গ্যালারি, লোকেশন, ফোনবুক, মেসেজ, ক্যামেরা এসবের এক্সেস চায়। এসবে এক্সেস দেয়ার আগে কোন কোন জায়গার এক্সেস দিচ্ছেন তা খেয়াল করুন। অ্যাপটির প্রয়োজনের বাইরে কোন বিষয়ের এক্সেস দেয়া থেকে বিরত থাকুন। এবং এক্সেস দেয়ার ক্ষেত্রে ‘অ্যাপ’ ব্যবহারের সময়ই যাতে এসবের এক্সেস পায় সেভাবে এক্সেস দিন।৬। নতুন কোন ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি না করে কাজ করা গেলে তা-ই করুনধরুন আপনি নতুন কোন একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোন কাজ করতে যাচ্ছেন। তাহলে খেয়াল করলেই দেখবেন কিছু সাইটে অ্যাকাউন্ট না করেও কাজগুলো করার সুযোগ থাকে। অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল না করেও সেগুলোর ওয়েবসাইট থেকে তাদের প্রদত্ত সার্ভিস গ্রহণ করা যায়। তাহলে এমন ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট তৈরি না করে এবং অ্যাপ ডাউনলোড না করেই কাজগুলো করার চেষ্টা করুন।

আরও জানুন
Issue area অ্যাকাউন্ট তৈরি ও লগইন করতে সতর্কতা ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্বাচন

অনলাইন মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন প্রয়োজনে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার প্রয়োজন হয়। সেখানে ইমেইল এড্রেস ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা লাগে। আবার পাসওয়ার্ড নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অ্যাকাউন্ট তৈরি ও লগইন করতে কী কী সতর্কতা ব্যবস্থা নেয়া উচিত? ১। কোন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করছেন এবং লগইন করছেন খেয়াল করুনঅনেক সময় তথ্য চুরি এবং অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং এর জন্য কিছু ভুয়া ওয়েবসাইট বানানো হয়। যেগুলোর মূল উদ্দেশ্যই গ্রাহকের তথ্য চুরি করে জালিয়াতি করা। সেজন্য অ্যাকাউন্ট করার আগে বা লগইন করার আগে ওয়েবসাইটটি ঠিক আছে কিনা তা দেখে নেয়া জরুরি। ২। অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুনঅ্যাকাউন্ট তৈরির সময় ব্যক্তিগত তথ্য চাইবে। অনেক সময় তাদের প্রয়োজনের বাইরে এমন কিছু তথ্য চাইতে পারে যা অনলাইন নিরাপত্তা, অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার সাথে জড়িত। সেসব তথ্য দিয়ে বিপদে পরবেন না। সেজন্য যেকোনো তথ্য দেয়ার আগে ভালোমতো যাচাই না করে তথ্য দিবেন না। ৩। যে ইমেইল ও পাসওয়ার্ড নির্বাচন করবেন তা মনে রাখুন, মনে না থাকলে গোপন কোথাও সংরক্ষণ করুনঅ্যাকাউন্ট করার পর লগইন করার জন্য ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। এই ইমেইল ও পাসওয়ার্ড পরবর্তীতে লগইন করার জন্যে প্রয়োজন হবে। ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড মনে না থাকলে ঝামেলা পোহাতে  হবে। সেজন্য চেষ্টা করবেন এগুলো মনে রাখতে। একান্তই যদি মনে না থাকে তাহলে এগুলো গোপন কোথাও সংরক্ষণ করতে পারেন। ৪। যেখানে অ্যাকাউন্ট করছেন সেখানে কাজ শেষ হয়ে গেলে অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করে দিন। অব্যবহৃত অ্যাকাউন্ট ফেলে রাখবেন না। কোথাও অ্যাকাউন্ট করা মানে সেখানে আপনার অনেক ব্যক্তিগত এবং অনলাইন এক্টিভিটির তথ্য সংরক্ষণ হয়ে আছে। যদি কোন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট করার পর আপনার সেই অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় তাহলে সেটি ফেলে না রেখে ডিলিট করে দিন। ৫। লগইন করার সময় সঠিক পাসওয়ার্ড দিনলগইন করার সময় সঠিক পাসওয়ার্ড না দিলে একাউন্টে প্রবেশ করা যাবে না।৬। লগইন করার সময় পাসওয়ার্ড কোন সাইটে সংরক্ষণ করে রাখবেন নাঅনেক ওয়েবসাইটে লগইন করার জন্য ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দেয়ার পর সেসব সাইটে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে রাখার জন্য বলে। আপনি চাইলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন তাহলে পরবর্তীতে লগইন করার ক্ষেত্রে পুনরায় পাসওয়ার্ড দেয়ার প্রয়োজন হবে না। এই কাজটি না করাই ভালো, পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে রাখলে এই ডিভাইস যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ঝুঁকিতে পরতে পারে। ৭। একাউন্টে সঠিক তথ্য দিন, মিথ্যা তথ্য দিবেন নাঅনেকেই একাউন্টে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাখেন। অনেকেই ফেইক অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন সময় মজা করে থাকেন, অন্য কারো ফোন নাম্বার দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলেন বা টাইপ করায় ভুল হবার জন্য অন্য কারো ফোন নাম্বার দিয়ে দিতে পারেন। এই কাজগুলো করা যাবে না। কারণ অন্য কারো নাম্বার দিলে সে আপনার অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। আবার ফেইক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে জন্য অনেক সময় আইনি জটিলতায় পরতে পারেন। ৮। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুনপাসওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিন। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হ্যাকার থেকে অ্যাকাউন্ট নিরাপদে রাখতে পারে। কীভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্বাচন করবেন? অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা অ্যাপে পাসওয়ার্ড নির্বাচন করতে হয়। এসব জায়গায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই আমরা খুব দুর্বল পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্টকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিই। এসব ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকার জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড কীভাবে নির্বাচন করবেন সে বিষয়ে জানা জরুরি। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্বাচন করবেন সে সম্পর্কে-১। ব্যক্তিগত তথ্য যেমন- নিজের নাম, জন্ম তারিখ, ইমেইল এড্রেস কখনোই পাসওয়ার্ড হিসাবে দিবেন না।২। যথাসম্ভব বড় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন, ছোট পাসওয়ার্ড তেমন শক্তিশালী হয় না।৩। পাসওয়ার্ডে বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা, কমা, ফুল স্টপ ইত্যাদি ব্যবহার করলে পাসওয়ার্ড শক্তিশালী হবে।৪। অর্থপূর্ণ শব্দ ও বাক্যাংশ পাসওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করবেন না।৫। একাধিক অ্যাকাউন্টের জন্যে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না।৬। এমন পাসওয়ার্ড দিবেন না যা সচরাচর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন – ১২৩৪

আরও জানুন
Issue area পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করণীয়

এত এত অ্যাকাউন্ট আমাদের ব্যবহার করতে হয় যে অনেক সময় একটি অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক না। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে আমরা সাধারণত ভয় পেয়ে যাই যে এখন মনে হয় অ্যাকাউন্টটা অচল হয়ে গেলো। কিন্তু না, আপনি চাইলে সহজেই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে অ্যাকাউন্ট পুনরায় সচল করতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে আপনি পাসওয়ার্ড রিকোভার করবেন। ইমেইল অ্যাকাউন্ট-  জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার সময় একটি রিকভারি ইমেইল এড্রেস এবং ফোন নাম্বার দিতে হয়।- এই ইমেইল এড্রেস আপনার হতে পারে বা আপনার খুব কাছের কারো হতে পারে।- আপনি যদি ইমেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যান তাহলে forget password এ ক্লিক করলে আপনার রিকোভারি ইমেইল এড্রেস এবং ফোন নাম্বার দেখাবে।-  যে মাধ্যমে আপনি পাসওয়ার্ড রিকোভার করতে চান সেই মাধ্যমে (মোবাইল ফোন বা ইমেইল) নির্বাচন করলে সেখানে একটি মেসেজের মাধ্যমে ভ্যারিফিকেশন কোড চলে যাবে।- এই কোড ইনপুট দিলে নতুন করে পাসওয়ার্ড দেয়ার অপশন আসবে। নতুন করে পাসওয়ার্ড দিল।-যদি আপনার সেকেন্ডারি ইমেইল এড্রেস না থাকে তাহলে ফোনের মেসেজে ভ্যারিফিকেশন কোড পাঠিয়ে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন। মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট-  মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট করার জন্য ইমেইল এড্রেস প্রয়োজন হয়। এই ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়েই মাইক্রোসফট একাউন্টে লগইন করতে হয়।-  পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে forget password এ ক্লিক করে এই ইমেইলে ভ্যারিফিকেশন কোড পাঠিয়ে তারপর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারেন। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট-   ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সাথে ইমেইল এবং ফোন নাম্বার দুটোই যুক্ত থাকে।-  ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে লগইন করার পেইজে Forgotten password? নির্বাচন করুন।-তারপর ইমেইল বা মোবাইল নাম্বার দিলে সে নাম্বারে ভ্যারিফিকেশন কোড পাঠিয়ে পরিচয় যাচাই করা হয়।- পরিচয় যাচাইয়ের পর নতুন পাসওয়ার্ড নির্বাচন করতে দেয়া হয়। পাসওয়ার্ড ও অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কিছু সতর্কতা –১। অ্যাকাউন্ট তৈরির সাথে সাথে ব্যাক আপ ফোন নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস যুক্ত করুন।২। পাসওয়ার্ড এমনভাবে নির্বাচন করুন যাতে ভুলে যাবার সম্ভাবনা কম থাকে।৩। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে রিকোভার করার পর পরবর্তী নিরাপত্তার জন্য অ্যাকাউন্টের স্যাটিংসে গিয়ে ব্যাক আপ ফোন নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস দিয়ে দিন।৪। পাসওয়ার্ড রিকোভারের জন্য আরেকটা সুযোগ আছে তাকে বলে ‘ট্রাস্টেড কন্টাক’। এর মানে হচ্ছে আপনার কাছের কারো অ্যাকাউন্টের তথ্য বা ইমেইল এড্রেস আপনার একাউন্টে ট্রাস্টেড কন্টাক হিসেবে দিয়ে রাখলে অ্যাকাউন্ট রিকোভারের সময় তার একাউন্টে বা মেইলে ভ্যারিফিকেশন কোড পাঠিয়ে পাসওয়ার্ড নির্বাচনের সুযোগ দেয়া হবে। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে ভয় পাবার কিছু নেই। অ্যাকাউন্ট রিকোভার করা, পাসওয়ার্ড নতুন করে দেয়ার পদ্ধতি প্রায় সব ধরণের একাউন্টেই থাকে।

আরও জানুন
Issue area অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার

পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া, অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের হাতে পড়াসহ বিভিন্ন কারণেই অ্যাকাউন্টসমূহ পুনরুদ্ধার করার প্রয়োজন পড়ে। বিভিন্ন মাধ্যমের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড থাকলে অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত হয় ঠিকই কিন্তু, এর ফলে পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় বহুগুণ। তখন অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পাবলিক ওয়াই-ফাই, সাইবার ক্যাফে ব্যবহার কিংবা ফিশিং এর কারণে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে থাকে। তাই, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণের অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়াগুলি জেনে রাখা জরুরি। গুগল, ফেসবুক, ইত্যাদি বহুল প্রচলিত মাধ্যমগুলির অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়া নিম্নরূপ: গুগল একাউন্ট পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়া:ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ যেসকল ওয়েবসাইট, অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন তার মধ্যে গুগল সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে, জি স্যুট (গুগল ফর্ম,স্প্রেডশিট ইত্যাদি) ব্যবহার করতে অথবা গুগল ক্লাসরুমে জয়েন করতে গুগল অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক। তবে গুগল সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম - ‘ইমেইল’ আদান-প্রদানের জন্য। গুগল অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার জন্য যে সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে – ১. পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া দুটি উপায়ে শুরু করা যেতে পারে। যথা-ক) https://mail.google.com/ এ গিয়ে Gmail সাইন ইন পৃষ্ঠাতে যান এবং আপনার ইমেইল ঠিকানাটি প্রবেশ করার পরে "পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন বা Forgot Password?" লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।অথবা, খ) পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করতে সরাসরি https://accounts.google.com/signin/recovery তে যান। ২। এখানে আপনাকে একটি "Account Support" পৃষ্ঠা দেখবে, যেখানে আপনার ইমেইল ঠিকানাটি দিতে হবে এবং প্রক্রিয়াটি শুরু করতে Next বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। ৩। পরবর্তী ধাপে গুগল আপনার নিকট অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জানতে চাবে। পাসওয়ার্ড মনে থাকলে তা প্রদান করার সাথে সাথেই একাউন্টে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে। ৪। যদি আপনার সর্বশেষ ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড মনে না থাকে তখন –· এই অ্যাকাউন্টের জন্য পূর্বে ব্যবহার করেছেন এমন একটা পাসওয়ার্ড গুগল আপনার কাছে জানতে চাইবে।· আপনি যদি পূর্বে ব্যবহার করা কোনও পাসওয়ার্ডই মনে করতে না পারেন তবে, আপনাকে কিছু প্রশ্নোত্তরের সম্মুখীন হতে হবে।৫। প্রশ্নোত্তরের কোনও উত্তর এড়িয়ে না গিয়ে সম্ভাব্য সকল উত্তর প্রদান করলে গুগলে আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এছাড়াও, ৬। যদি আপনার অ্যাকাউন্টে ‘রিকভারি ইমেইল ঠিকানা’ (যেই ইমেইল ঠিকানায় পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার কোড পাঠানো হবে) সংযুক্ত থাকে তবে, গুগল আপনার কাছে ‘রিকভারি ইমেইল ঠিকানা’ জিজ্ঞেস করবে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রিকভারি ইমেইল ঠিকানা সাধারণত ইমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার সময়েই সংযোজন করে রাখা উচিৎ। রিকভারি ইমেইল ঠিকানার পাশাপাশি রিকভারি মোবাইল নম্বর ও সংযুক্ত করে রাখা যায়।৭। পরবর্তী ধাপে গুগল রিকভারি ইমেইল ঠিকানাতে একটি ৬ সংখ্যার কোড পাঠিয়ে দিয়ে থাকে। এটি ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড পুনরায় সংযোজন করতে পারবেন এবং অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার হয়ে যাবে। ফেসবুক একাউন্ট পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়া:প্রাত্যহিক সামাজিক যোগাযোগ, পছন্দের সেলেব্রিটিদের জীবনযাত্রা অনুসরণ, অনলাইনে বিভিন্ন কেনাকাটা কিংবা নিজের মনের ভাব প্রকাশের জন্য ফেসবুকের জুড়ি মেলা ভার। তবে বিভিন্ন থার্ড পার্টি অ্যাপ এ অবাধ বিচরণের কারণে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার নিয়মগুলি জেনে রাখাও অত্যন্ত জরুরি। নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন– ১। প্রথমে ‘facebook.com/login/identify’ পাতায় প্রবেশ করতে হবে এবং প্রদত্ত নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।এক্ষেত্রে, অবশ্যই এমন কম্পিউটার/মোবাইল ফোন ব্যবহার করবে যেটির মাধ্যমে ইতোপূর্বে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিতে লগ-ইন করা হয়েছিলো।২। এবারে, যেই অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে চান, নির্দিষ্ট ঘরে সেই একাউন্টের ‘ইউজার নেইম (অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা নাম), ইমেইল ঠিকানা অথবা ফোন নম্বরের সাহায্যে অ্যাকাউন্টটি খুঁজতে হবে।৩। স্ক্রিনে আপনার অ্যাকাউন্ট আসলে সেটিকে বাছাই (সিলেক্ট) করতে হবে।৪। এরপরে অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত ইমেইল ঠিকানা অথবা মোবাইল নম্বরে পুনরুদ্ধার কোড পাঠানোর অনূর্ধ্ব করতে হবে।৫। এই কোডটি ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের সুযোগ পাবে এবং একাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে পারবে। যে ভাবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করবেন:আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে সাইন ইন করবেন তারপর ৬ ডিজিটের কোড নম্বর যাবে সেটা দিয়ে যাচাই করতে হবে যদি না পারেন তাহলে আবার যাবে যাচাই কোড। যাচাই কোড দেয়ার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হবে যে অ্যাকাউন্টের সত্যিকার মালিক আপনি কি না। কোড দিলে আপনাকে পাসওয়ার্ড রিকভার করার সুযোগ দিবে। নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে দিলেই অ্যাকাউন্ট ঠিক হয়ে যাবে। তারপর স্বাভাবিক নিয়মে লগ ইন করে কাজ করতে পারবেন।

আরও জানুন